নিজ চাচার বিরুদ্ধে মামলা করলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ন্যান্সি!!
- প্রকাশিত সময় ০৮:২১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
- / 161
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: এবার নিজের চাচার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। বেদখল হওয়া পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধার করতে মামলাটি করেছেন তিনি।
ন্যান্সি বলেন, “আইন ও আদালতের প্রতি আমার আস্থা আছে। আশা করছি ন্যায়বিচার পাব”। তবে ন্যান্সির পরিবার জানিয়েছেন আগামী ১৯ জুলাই সোমবার মামলার প্রথম শুনানির দিন ধার্য করা হলেও লকডাউনের কারণে ন্যান্সি আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন না।
নড়াইল জেলা আদালতে ন্যান্সির পক্ষে মামলাটি করেছিলেন তার বড়ভাই জাকারিয়া নোমান গত ১৭ জুন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের বড়দিয়া এলাকার চোরখালি মৌজায় ন্যান্সির বাবা প্রয়াত সৈয়দ নাইমুল হকের ১৬ শতক পৈতৃক জমি আছে এবং তার বাবা নাইমুল হক ও মা মায়াতুন নাহারের ক্রয়কৃত আরও ৮ শতক জমি আছে।
তার চাচা সৈয়দ কামরুল হাসান গং দীর্ঘদিন যাবত ঐ জমি অবৈধভাবে দখল করে আছেন। ওয়ারিশ সূত্রে যার মালিকানা ন্যান্সি, তার দুই ভাই জাকারিয়া নোমান, শাহরিয়া আমান সানি ও অন্য ওয়ারিশরা।
চাচাকে বারবার সতর্ক করার পরেও পৈতৃক সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে না পেরে বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানান ন্যান্সি। এরপর থানার পরামর্শে তিনি আদালতে গিয়ে মামলাটি করেন।
এ বিষয়ে ন্যান্সি জানিয়েছেন, “বিষয়টি একান্তই আমাদের পরিবারিক। তাই আমি ও আমার দুই ভাই মিলে পারিবারিকভাবেই স্থানীয় আত্মীয়স্বজন নিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এতেও কোনো কাজ না হলে বাধ্য হয়েই আমরা আদালতে মামলা করেছি। সোমবার মামলার প্রথম শুনানি, কিন্তু লকডাউনের কারণে আমি সেখানে হাজির হতে পারছি না। মামলা হওয়ার পরও আদালতকে অবমাননা করে আমার চাচা ভবন নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।”
ন্যান্সি আরও জানান, তার বাবা মারা যাওয়ার পর পরই তাদের মালিকানাধীন পুরো জমিতেই বাউন্ডারি দেওয়াল তুলে ন্যান্সির সেজো চাচা ও ফুফু। সেখানে তারা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
মামলা করার পর কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকলেও লকডাউনের মধ্যেও ন্যান্সির চাচা সৈয়দ কামরুল হাসান সেখানে কাজ শেষ করার জন্য তড়িঘড়ি করছেন। বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানিয়ে ছিলেন ন্যান্সির ভাই। থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এরপর থানার ওসির পরামর্শে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে, সেখানে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। এরপরও ক্ষতিগ্রস্তরা কোনো আইনি সহায়তা চাইলে তা অবশ্যই আমরা দেব।”