যৌতুকের কারনে বলির শিকার হতে যাচ্ছে গৃহবধু
- প্রকাশিত সময় ০১:৫৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
- / 134
ছবিতে মেয়ের খোজে বিচারের আশায় দারে দারে ঘুড়ছেন সিমার মা যৌতুকের কারনে বলির শিকার হতে যাচ্ছে সিমা খাতুন নামের এক গৃহবধু ।
যৌতুকের কারনে বলির শিকার হতে যাচ্ছে সিমা খাতুন নামের এক গৃহবধু । পাবনা শহরের বিসিক ৩ নাম্বার গেটের কাজীপাড়ার মোঃ তসলেম মন্ডল এর মেয়ে মোছাঃ সিমা খাতুনের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয় মালিগাছা ইউনিয়নের রুপপুর বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের মোঃ রায়হানের সাথে।
তাদের সুখের সংসারে কোলজুরে দুটি ছেলে মেয়ে হয়। এরই মাঝে বারংবার রায়হান তার বাবা এবং মার যোগসাজসে সিমা খাতুনকে অসংখ্য বার নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
তারপরও সিমা খাতুন সংসার ছাড়েনি মায়ের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে স্বামী রায়হানের ঘরে ফিরে আসে। এতে রায়হানের পিতা মাতা ফিরে আসা টাকে সয্য করতে পারেনি।
এ ঘটনায় মেয়ের মা বলেন আমার মেয়ে সিমাকে রায়হানের মা রায়হানের বাবা পিটিয়ে বেশ কয়েকবার আহত করেছে এগুলোও আমি সয্য করেছি এবং মেয়েকে শশুড়বাড়ি পাঠিয়েছি।
এরই এক সময় আমার মেয়েকে বিসিকে চাকরিও করিয়েছি। সেখানে বোতল ফেক্টোরিতে মেশিন মেন হিসেবে ৬/৭ হাজার টাকা বেতন পেত। এ ব্যাপারে রায়হান গভীর রাতে আমার কাছে ফোন করে যে আপনের মেয়ে সিমাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
তখন সিমার মা ফোনে বলেন কেন আমার মেয়ে সুস্থ সুন্দর দুই সন্তানের মা সে কেন হারাবে। এ ঘটনায় সিমার মা বাদি হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে সিমার মাকে থানার থেকে বলা হয় যে এটা মামলা হয়না এটা নিখোজ সংবাদ হয়।
সিমার মা তাৎক্ষনিক অবস্থায় নিখোজের উপর একটি থানায় ডাইরী করেন ডাইরী নং ২৬২। এদিকে সিমার গ্রামে লোকজন বলাবলি করছে সহজ সরল মেয়েটাকে গুম করে ফেলেছে কেউ বলছে দেখেনগা কোথায় যেন মারি গারি রাখছে ঐ ছাওয়ালের মা বাপেক ধরি লিয়ে আসি কোসন দিলি যৌতুকের লোভ ছুটি জাবিনি এবং ফসফস করি বলি দিবিনি মেয়ে কোথায় আছে।
বিসিক ৩ নম্বর গেটে হাবিবের চায়ের দোকানের আশপাশের লোকজন সাংবাদিকের কাছে এ সকল অভিযোগ করেন। এ ব্যপারে একটি নাম্বার দেওয়া হয় সাংবাদিকের কাছে ০১৭৪০-১১৬৪৫৩। সেই নাম্বারের মালিক সাংবাদিকের কাছে কোন পরিচয় না দিয়ে বলে যে আপনি কি করবেন এই মেয়ের বিষয়ে যা বলার আমি বলে দিছি।
আবারও তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় মানসিক রুগী কিভাবে বলেন তাকে আপনি। মানসিক রুগী এক ডাক্তারী সার্টিফিকেট ছাড়া বলতে পারেননা। এ সময় সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ঐ ব্যাক্তি ফোন কেটে দেয়।
এ ঘটনায় এলাকার লোক মনে করেন ঘটনার সাথে ঐ মোবাইল নাম্বারের মালিক জড়িত আছে। তাই এলাকাবাসি প্রশাসনের নিকট ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানিয়েছেন।