খাদ্য মন্ত্রীর ৭৩ তম জন্মদিন আজ
- প্রকাশিত সময় ১১:০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
- / 264
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ ৪৬-১ (সাপাহার,পোরশা,নেয়ামতপুর) আসনের সংসদ সদস্য, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ৭২তম জন্মদিন আজ।
জন্মদিন শনিবার(১৭ জুলাই ২০২১)। শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৬-১ নওগাঁ (সাপাহার, পোরশা, নেয়ামতপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
২০১৮ সালে আ”মীলীগের সরকার গঠনে তিনিই একমাত্র উত্তরবঙ্গের একজন পূর্নাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নওগাঁর এই আসন থেকে সাংসদ হিসেবে মন্ত্রিসভার সদস্য হন।
চার কন্যা সন্তানের জনক সাধন চন্দ্র। বড় মেয়ে সোমা মজুমদার ও সেজ মেয়ে কাদেরী মজুমদার ব্যাংকার, মেজ মেয়ে কৃষ্ণা মজুমদার পেশায় চিকিৎসক এবং ছোট মেয়ে তৃণা মজমুদার প্রকৌশলী।
১৯৫০ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার হাজী নগর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবা মৃত কামিনী কুমার মজমুদার শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি কৃষিকাজ ও ধানের আড়তের (ধান কেনাবেচা) ব্যবসা করতেন। মা সাবিত্রী বালা মজুমদার ছিলেন গৃহিণী। সাধন চন্দ্র মজুমদারেরা ৯ ভাইবোন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তিনি তাঁর বাবাকে হারান। এরপর থেকে তাঁর বড় ভাই (দাদা) নিরোধ চন্দ্র মজুমদার কৃষিকাজ ও ধানের আড়তের ব্যবসা করে ছোট ভাইবোনদের বড় করেন।
ছাত্র জীবন থেকেই অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান ও পরিশ্রমী হিসেবে সাধন চন্দ্র মজুমদারের সুখ্যাতি ছিল। সাধারণ মানুষের মাঝেও তিনি ছিলেন পরম আস্হাভাজন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। কলেজ জীবন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬৭ সালে তিনি ছাত্রলীগের সদস্য হন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন প্রাথমিক সদস্য থেকে শুরু করে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। এখন তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদারের প্রথম জনপ্রতিনিধি হওয়া ১৯৮৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। ১৯৯০ সালে তিনি নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ২০০৮ সালে ১,৭৭,২৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী এবং ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৮ এ অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মোট ১৮৭,৫৯২ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল – বি.এন.পি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে পরাজিত করে বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে এই আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর সম্মেলনে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের পদ লাভ করেন।
তিনি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহন করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়ীত্ব পালন করে চলেছেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি অত্যন্ত সদাচারি এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা।
রাজনীতিতে ও ব্যক্তি জীবনে তিনি অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের অধিকারী। তিনি খাদ্য মন্ত্রালয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এলাকার সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্নীতি দমনে তিনি কঠোর ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি সাংসদ থাকা অবস্হায় নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল থেকে নেতাকর্মী সু-সংগঠিত ও এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন সাধন। এ তিন উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানির সু-ব্যবস্থা, আম্র বাগান, বনায়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থায় দৃষ্টান্তমূলক অবদান রেখেছেন তিনি।
সাপাহার ,পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছেন। সব মিলিয়ে নওগাঁ জেলায় তিনি নিজের ও আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
দলমত নির্বিশেষে তিনি সকলের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার পাত্র। সাধন চন্দ্র ঢাকায় খাদ্যমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালনকালেও তিনি তারঁ নির্বাচনী এলাকা ও নওগাঁ জেলায় জনমানুষের চিন্তায় নিমগ্ন থাকেন।
তিনি সকল ধর্মের মানুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখেন। তিনি সাপাহার পোরশা নেয়ামতপুরে অসংখ মাদ্রাসা সহ স্কুল কলেজ এমপিও করেছেন। তিনি উপজেলার সকল মসজিদে সরকারী অনুদান প্রদান নিশ্চিত করেন।
তিনিই প্রথম সাংসদ হিসেবে ইমাম মোয়াজ্জেম ও খাদেমদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এজন্য তাঁর ভূয়ূসী প্রশংসা করে বলেন,
সাধন আমার সংসদে এতোগুলো মুসলিম সাংসদ থাকতে কেউ তো এই বিষয়ে কখনো বলেনি। তোমাকে অভিনন্দন। ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা মডেল মসজিদগুলোতে ইমাম,মোয়াজ্জেম ও ২ জন খাদেমের পদ সৃষ্টি করে তাদের বেতন ভাতা নিশ্চিত করা হয়।
তার কাছ থেকে কাউকে খালি হাতে ফিরতে হয় না বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে তিনি কভিড ৯ এ উর্ধগতী নিয়ন্ত্রনে নওগাঁ জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও নেতা কর্মীদের বাস্তব সম্মত নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
অসহায় দুস্হজনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরন, গৃহহীনদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহ প্রদান, আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁয় স্বাস্হবিধি মেনে আমক্রয় বিক্রয়,
জেলা উপজেলা পর্যায়গুলোতে জনসচেতনা তৈরীর লক্ষে স্বেচ্ছা সেবী টিম গঠন, নেতা কর্মীদেরকে সরকারী ও ব্যাক্তিগত ভাবে কর্মহীন মানুষের পাশে থাকার নির্দেশনা প্রদান করছেন।
এছাড়াও তিনি সাংবাদিকদের বিষয়ে গভীর ভাবে ভাবেন, ইতিপূর্বে তিনি সাপাহার উপজেলার সকল সাংবাদিকদের সুসংগঠিত করনের লক্ষে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন।
বাংলাদেশের সফল খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার তাঁর কৃতিত্বপূর্ন কর্মের জন্য নওগাঁ জেলা সহ বাংলাদেশের কোটি মানুষের হৃদয়গহীনে ঠাঁই করে নিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগন তার সুস্বাস্হতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।