ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জেগে উঠেছে কামারশালা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৩৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১
  • / 159

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রতি বছর ঈদ-উল আযহার কোরবানির পশু জবাই ও মাংস পরিজাত করতে ছুড়ি, চাপাতি, দা-বটি ও কুড়ালের বিক্রি কয়েক গুন বেড়ে যায়। আর এ সংগত কারণে কোরবানির ঈদের মাস খানেক পুর্ব থেকেই কামারশালা টুং-টাং ধাতব শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এবারের চিত্র কিছুটা হলেও ভিন্ন। দীর্ঘ সময় লকডাউন-বিধিনিষেধে কামার পল্লীতে কাজ কর্মে কিছুটা ভাটা পড়েছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় কামারশালা গুলোতে দেখা যায়নি কোনো কর্মচাঞ্চল্যতা।

বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও ঈদের আগ মুহুর্তে লকডাউন শিথিল হওয়াতে দেরীতে হলেও জেগে উঠেছে কামারশালা গুলো, প্রাণ ফিরে পেয়েছেন কামার শিল্পে। তবে সব মিলে পেশাগত ভাবে ভালো তারা। অতীতে ঈদ-উল আযহার মৌসুমে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তপ্ত লোহায় হাতুড়ির পিটুনিতে ছুড়ি, দা-বটি, চাপাতি, ও কুড়াল বানানোয় ব্যস্ত সময় পার করতেন তারা। ঈদের সময় রোজগারে কয়েক মাস চলে যেত তাদের কিন্তু, করোনার কারণে সেই দিন আর নেই।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার পৌর এলাকার ভাঙ্গুড়া বাজার রেল চত্বর, শরৎনগর বাজার বড়াল কিন্ডার গার্ডেন এলাকা, দক্ষিণ মেন্দা কালীবাড়ী বাজার, ভেড়ামারা বাজার, অষ্টমনিষা কামার পল্লী, খাঁনমরিচের ময়দানদীঘি, চন্ডিপুর বাজার, বড়বিশাকোল বাজার, রূপসী বাঁধ বাজারে প্রায় অর্ধ শতাধিক কামারের দোকান এখনো টিকে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

করোনার আগে বছরের পুরো সময় জুড়ে দা-বটি, কাঁচি-হাসি বেচা-কেনা থাকলেও বড় বাণিজ্যটা হয় ঈদ-উল আযহার (কোরবানির) ঈদের আগে।

লকডাউনের কারণে এর ব্যত্যয় ঘটেছে। শুকুমার কর্মকার এখানকার একজন পেশাভিত্তিক কামার। গত বছর কম হলেও আয় হয়েছে। কিন্তু, এবার দোকানই খুলতে পারিনি। বৃহস্পতিবার থেকে দোকান খুলেছি। রোজ ৫ শত টাকাও বিক্রি নেই। তারপরও এ ব্যবসায় উপকণের ব্যয় বেড়েছে। ১ বস্তা কয়লার দাম ৫০০-৬০০ টাকা , লোহা প্রতি কেজী ৭০-৮০ টাকা সহ অন্যান্য সব কিছুরই দাম বেড়েছে।

কামার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, চামড়া ছাড়ানোর ছুড়ি-১৫০-২০০ টাকা, পশু জবাই করা ছুড়ি ১৫০০-২০০০ টাকা, দা-বটি ১০০০-১২০০ টাকা, চাপাতি ৮৫০-৯৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চাপাতি, দা-বটি ও পশু জবাই করার ছুড়ির ওজন বাড়িয়ে নিলে মূল্য আরো বেশি পড়ে যায়।

ব্যবসায় এভাবে টানা লোকসান হতে থাকলে এ পেশা ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবেনা।

আরও পড়ুনঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় টিকা নিতে আগ্রহ বেড়েছে

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জেগে উঠেছে কামারশালা

প্রকাশিত সময় ১১:৩৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রতি বছর ঈদ-উল আযহার কোরবানির পশু জবাই ও মাংস পরিজাত করতে ছুড়ি, চাপাতি, দা-বটি ও কুড়ালের বিক্রি কয়েক গুন বেড়ে যায়। আর এ সংগত কারণে কোরবানির ঈদের মাস খানেক পুর্ব থেকেই কামারশালা টুং-টাং ধাতব শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এবারের চিত্র কিছুটা হলেও ভিন্ন। দীর্ঘ সময় লকডাউন-বিধিনিষেধে কামার পল্লীতে কাজ কর্মে কিছুটা ভাটা পড়েছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় কামারশালা গুলোতে দেখা যায়নি কোনো কর্মচাঞ্চল্যতা।

বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও ঈদের আগ মুহুর্তে লকডাউন শিথিল হওয়াতে দেরীতে হলেও জেগে উঠেছে কামারশালা গুলো, প্রাণ ফিরে পেয়েছেন কামার শিল্পে। তবে সব মিলে পেশাগত ভাবে ভালো তারা। অতীতে ঈদ-উল আযহার মৌসুমে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তপ্ত লোহায় হাতুড়ির পিটুনিতে ছুড়ি, দা-বটি, চাপাতি, ও কুড়াল বানানোয় ব্যস্ত সময় পার করতেন তারা। ঈদের সময় রোজগারে কয়েক মাস চলে যেত তাদের কিন্তু, করোনার কারণে সেই দিন আর নেই।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার পৌর এলাকার ভাঙ্গুড়া বাজার রেল চত্বর, শরৎনগর বাজার বড়াল কিন্ডার গার্ডেন এলাকা, দক্ষিণ মেন্দা কালীবাড়ী বাজার, ভেড়ামারা বাজার, অষ্টমনিষা কামার পল্লী, খাঁনমরিচের ময়দানদীঘি, চন্ডিপুর বাজার, বড়বিশাকোল বাজার, রূপসী বাঁধ বাজারে প্রায় অর্ধ শতাধিক কামারের দোকান এখনো টিকে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

করোনার আগে বছরের পুরো সময় জুড়ে দা-বটি, কাঁচি-হাসি বেচা-কেনা থাকলেও বড় বাণিজ্যটা হয় ঈদ-উল আযহার (কোরবানির) ঈদের আগে।

লকডাউনের কারণে এর ব্যত্যয় ঘটেছে। শুকুমার কর্মকার এখানকার একজন পেশাভিত্তিক কামার। গত বছর কম হলেও আয় হয়েছে। কিন্তু, এবার দোকানই খুলতে পারিনি। বৃহস্পতিবার থেকে দোকান খুলেছি। রোজ ৫ শত টাকাও বিক্রি নেই। তারপরও এ ব্যবসায় উপকণের ব্যয় বেড়েছে। ১ বস্তা কয়লার দাম ৫০০-৬০০ টাকা , লোহা প্রতি কেজী ৭০-৮০ টাকা সহ অন্যান্য সব কিছুরই দাম বেড়েছে।

কামার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, চামড়া ছাড়ানোর ছুড়ি-১৫০-২০০ টাকা, পশু জবাই করা ছুড়ি ১৫০০-২০০০ টাকা, দা-বটি ১০০০-১২০০ টাকা, চাপাতি ৮৫০-৯৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চাপাতি, দা-বটি ও পশু জবাই করার ছুড়ির ওজন বাড়িয়ে নিলে মূল্য আরো বেশি পড়ে যায়।

ব্যবসায় এভাবে টানা লোকসান হতে থাকলে এ পেশা ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবেনা।

আরও পড়ুনঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় টিকা নিতে আগ্রহ বেড়েছে