সিরাজগঞ্জের চলনবিলে মানুষ লক ডাউন উপেক্ষা করে ঈদে পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে আসছে
- প্রকাশিত সময় ০৩:৪২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
- / 147
তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ চলনবিলের তাড়াশে লক ডাউন উপেক্ষা করেও ঈদে নিজের মনকে ও পরিবারের সদস্যদের আনন্দ দিতে ছুটছে চলনবিলের জলরাশিতে।
সরকারী সিদ্ধান্ত ২৩ জুলাই থেকে লকডাউন চললেও ঈদের আমেজে দর্শনীয় স্থান গুলোতে চলছে মানুষদের ভীড় । প্রশাসন বাধা দিলেও নানা কৌশলে ঈদের আনন্দ ভোগ করছেন জনগন।
সরেজমিনে তাড়াশ উপজেলার চলনবিল এলাকার কুন্দইল ও ৮নং এবং ৯ ব্রীজে দেখা গেছে, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পড়ন্ত বিকেলে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের ভিড়।
চলনবিলের মনোমুগ্ধকর মিষ্টি বাতাস, মেঘের ছুটে চলা ও পানির ওপর ঢেউয়ের দৃশ্য নজর কেড়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের। প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চলনবিলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলেছেন তারা।
ঐতিহাসিক চলনবিলের তাড়াশ, সিংড়া, গুরুদাসপুর, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত বিলে এমনকি চলনবিল গর্ভে অবস্থিত গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা বিলের ব্রীজে, সিংড়ার ঘাসি দেওয়ান পীরের মাজার ও গুরুদাসপুরের খুবজীপুরের চলনবিল জাদুঘর পরিদর্শনে ছুটছে নৌকা নিয়ে।
হাটিকুমরুল টু বনপাড়া মহাসড়কের ৮নং এবং ৯ ব্রীজে ও মাকড়শোন গ্রামে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় নৌকা সারি সারি সাজানো দেখে মনে হয়েছে এটা নৌকার মেলা।
এই নৌকা কেউ বা সারাদিন,কেউ বা ১ ঘন্টা,কেউবা ৩/৪ঘন্টার জন্য ভাড়া নিয়ে ঘুরছে। এতে নৌকার ভাড়াও কম নয়। নৌকা নিয়ে বেড়ানো এক ব্যক্তি বলেন, ৯ নং ব্রীজে ১টা নৌকা নিয়ে ২০ থেকে ৩০মিনিট পর তাকে ভাড়া দিতে হয়েছে ৪শ টাকা। তার পরেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের আমেজ উপভোগ করছি এবং আনন্দ পেয়েছি।
চলনবিল অধ্যুষিত সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, প্রতি বছরেই বর্ষা মৌসুমে চলনবিলের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য ছুটে
আসেন দুর-দুরান্ত থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তবে এবার লক ডাউনের কারনে ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন অন্যান্য বছরের তুলনায় লোকজনের ভীর কম ছিলো এবং ৩য় দিন অনেকটাই ভীড় কমে গেছে।
মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আতিকুল ইসলাম বুলবুল জানান, চলনবিলের বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৯ নং ও ১০নং ব্রীজ এলাকায় ঈদের ২ দিন ভীড় ছিলো। প্রশাসনের ভূমিকা থাকায় ৩য় দিন থেকে মানুষের ভীড় অনেকটাই কমছে।