স্বতঃকণ্ঠ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আফগানিস্তান সরকার জানিয়েছে যে, পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে ঘাঁটি সরিয়ে নিয়েছে।

তালেবানরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দখলে নিলে এই ঘটনা ঘটেছে এবং ভয় হচ্ছে যে সরকার অশাসিত স্থানগুলি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি ব্যবহার করতে পারে। বিশেষ করে লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ এর নাম উল্লেখ করা হয়।

ভারত বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজধানীর সাথে বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছে আফগান সরকার।

আফগান কর্মকর্তারা বলেন, “গত এক বছর ধরে আমরা যে প্রবণতা দেখেছি তা হচ্ছে পাকিস্তান এই সমস্ত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান থেকে আফগানিস্তানে স্থানান্তরকরার চেষ্টা করছে।”

এই মাসের শুরুতে, প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে তিরস্কার করে আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানি উল্লেখ করেন যে “গত মাসে পাকিস্তান থেকে ১০ হাজারেরও বেশি জিহাদি যোদ্ধা দেশে প্রবেশ করেছে”।

তিনি উজবেকিস্তান সংযোগ শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপস্থিতিতে এই মন্তব্য করেন যাতে ইসলামাবাদের আচরণে হতাশার অনুভূতি দেখানো হয়।

এখন দেখা যাচ্ছে যে, গত কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানে নিহত যোদ্ধাদের নিকট পাকিস্তানি পরিচয়পত্র ছিল এবং আহত তালেবান সদস্যদের অনেকেই পাকিস্তানের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানের মাদরাসা থেকে আফগানিস্তানে “জিহাদে” যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং চীন সবাই আফগানিস্তানের তালেবান শাসিত অঞ্চলগুলি নিয়ে চিন্তিত। তারা ধারনা করছে যে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি এই অঞ্চলসমূহ ব্যবহার করতে পারে।

উজবেকিস্তান চিন্তিত যে, এই অঞ্চলটি জঙ্গি ইসলামপন্থী দল ইসলামিক মুভমেন্ট অফ উজবেকিস্তান ব্যবহার করতে পারে এবং চীন পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম) এই স্থানগুলিতে পা রাখার বিষয়ে চিন্তিত।

সূত্রঃ জি নিউজ ইন্ডিয়া

আরও পড়ুনঃ ইরানে তালেবান ও আফগান সরকারের আলোচনার ফলাফল