ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছে না জনগন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:১৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১
  • / 167

ফুলবাড়ী(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ থাকলেও দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোথাও নেই বিধিনিষেধের প্রভাব নেই। সর্বত্র ফিরেছে পুরোনো চিরচেনা রুপে।

দোকানপাট, বাজারগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্রেতাদের ভিড়। গাদাগাদি- ঠাসাঠাসি করে ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। বেশির ভাগের মুখে মাস্ক থাকলেও তা মুখে নয়, আছে থুতনিতে।

একই সঙ্গে সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক সময়ের মতো। চলছে গণপরিবহণও। মঙ্গলবার ৩ আগস্ট সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলামোড়সহ পৌরবাজারে গিয়ে দেখা যায়, লোকে লোকারণ্য।

তীব্র ভিড়ের মধ্যে ক্রেতারা গায়ে হা ঘেঁষে বাজার-সওদা করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা অনের মুখে নেই মাস্ক। চায়ের দোকানগুলোতেও অনেকে পাশাপাশি বসে চা পান করছেন, গল্প করছেন।

পৌরবাজারে মাস্ক ছাড়া ঘুরাফেরা করা হাসান আলীর মুখে মাস্ক ছিল না। কথা হলে তিনি হেসে বলেন, করোনা আর নাই। কেউ তো মাস্ক পরছে না। আর বাজারে যে ভিড় তাতে দম আটকাচ্ছে। তাই মাস্ক খুলে হাতে রেখেছি।

প্রশাসনের গাড়ি দেখলে মুখে দেবো। মাস্ক থুতনিতে নামিয়ে সড়কের পাশে ভ্রাম্যমান ফলের দোকান থেকে ফল কিনছিলেন আরেক ক্রেতা। মাস্ক পরার পর তা থুথনিতে নামিয়ে রাখার কারণ কী, এমন প্রশ্ন করলে তিনি জবাব দেন, মাস্ক পরতে হয় তাই পরেছি। স্বাস্থ্যবিধি আর মানুষ মানে না।

কখনো লকডাউন আবার কখনো সব খোলা এভাবে কি করোনা ঠেকানো যাবে? ননীগোপাল মোড়, ঢাকামোড়, বাংলাস্কুল মোড়, চৌধুরী মোড়, প্রাইমারী মোড়, হাজির মোড়, কাউছারির মোড়সহ বটতলীতে দেখা গেছে চিরচেনা রূপ।

লোকজনের স্বাভাবিক চলাচলের পাশাপাশি ছিল প্রায় সবধরণের গণপরিবহণের চলাচল। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান তো ছিলই। ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, ফুলবাড়ীতে আশঙ্কাজনক হারে করোনার সংক্রমন বেড়েছিল।

কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধের কারণে তা তুলনামূলক হারে মেনে গেছে। বর্তমানে ৪৪ জন সক্রিয় করোনা রোগী আছেন। যদি আবারো স্বাভাবিকভাবে সবাই চলাফেরা করে তবে করোনা আবারো উর্ধ্বমূখী হবে।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ জনগনের ভালবাসায় আওয়ামীলীগের ভিত এখন অনেক দৃঢ় ও মজবুত–খাদ্য মন্ত্রী

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছে না জনগন

প্রকাশিত সময় ০১:১৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১

ফুলবাড়ী(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ থাকলেও দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোথাও নেই বিধিনিষেধের প্রভাব নেই। সর্বত্র ফিরেছে পুরোনো চিরচেনা রুপে।

দোকানপাট, বাজারগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্রেতাদের ভিড়। গাদাগাদি- ঠাসাঠাসি করে ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। বেশির ভাগের মুখে মাস্ক থাকলেও তা মুখে নয়, আছে থুতনিতে।

একই সঙ্গে সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক সময়ের মতো। চলছে গণপরিবহণও। মঙ্গলবার ৩ আগস্ট সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলামোড়সহ পৌরবাজারে গিয়ে দেখা যায়, লোকে লোকারণ্য।

তীব্র ভিড়ের মধ্যে ক্রেতারা গায়ে হা ঘেঁষে বাজার-সওদা করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা অনের মুখে নেই মাস্ক। চায়ের দোকানগুলোতেও অনেকে পাশাপাশি বসে চা পান করছেন, গল্প করছেন।

পৌরবাজারে মাস্ক ছাড়া ঘুরাফেরা করা হাসান আলীর মুখে মাস্ক ছিল না। কথা হলে তিনি হেসে বলেন, করোনা আর নাই। কেউ তো মাস্ক পরছে না। আর বাজারে যে ভিড় তাতে দম আটকাচ্ছে। তাই মাস্ক খুলে হাতে রেখেছি।

প্রশাসনের গাড়ি দেখলে মুখে দেবো। মাস্ক থুতনিতে নামিয়ে সড়কের পাশে ভ্রাম্যমান ফলের দোকান থেকে ফল কিনছিলেন আরেক ক্রেতা। মাস্ক পরার পর তা থুথনিতে নামিয়ে রাখার কারণ কী, এমন প্রশ্ন করলে তিনি জবাব দেন, মাস্ক পরতে হয় তাই পরেছি। স্বাস্থ্যবিধি আর মানুষ মানে না।

কখনো লকডাউন আবার কখনো সব খোলা এভাবে কি করোনা ঠেকানো যাবে? ননীগোপাল মোড়, ঢাকামোড়, বাংলাস্কুল মোড়, চৌধুরী মোড়, প্রাইমারী মোড়, হাজির মোড়, কাউছারির মোড়সহ বটতলীতে দেখা গেছে চিরচেনা রূপ।

লোকজনের স্বাভাবিক চলাচলের পাশাপাশি ছিল প্রায় সবধরণের গণপরিবহণের চলাচল। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান তো ছিলই। ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, ফুলবাড়ীতে আশঙ্কাজনক হারে করোনার সংক্রমন বেড়েছিল।

কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধের কারণে তা তুলনামূলক হারে মেনে গেছে। বর্তমানে ৪৪ জন সক্রিয় করোনা রোগী আছেন। যদি আবারো স্বাভাবিকভাবে সবাই চলাফেরা করে তবে করোনা আবারো উর্ধ্বমূখী হবে।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ জনগনের ভালবাসায় আওয়ামীলীগের ভিত এখন অনেক দৃঢ় ও মজবুত–খাদ্য মন্ত্রী