পাবনার ভাঙ্গুড়া কবরস্থানের টাকা আত্মসাতে মামলা বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
- প্রকাশিত সময় ০২:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১
- / 178
স্টাফ রিপোর্টারঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বেতয়ান কবরস্থানের উন্নয়ন ফান্ডের পৌনে আট লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বর্তমান কমিটির সেক্রেটারী আদালতে মামলা করেছেন (মমলা নং ৪৭/২০২১, তারিখ ১৯/০৭/২০২১)।
বেতুয়ান গ্রামের সামাজিক কবরস্থনের ব্যবস্থাপনা কমিটি সভাপতি হলেন বীর মুক্তি যোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন খান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা পিআইবিকে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মামলা থেকে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন খাঁন কে সভাপতি ও আব্দুল কাদেরকে সম্পাদক করে ২০১৭ সালে বেতুয়ান গ্রামের সামাজিক কবরস্থানের ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন হয়। বিগত ৪ বছরে বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় পৌনে আট লাখ টাকা আয় হয়।
গত ৫ ডিসেম্বর ২০২০ সালে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মারা যান। ঠিক তার পরের দিন কমিটির কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরের দুটি চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা তোলেন।
কিন্তু, গত ২০ মে ২০২১ সালে মাসে গঠিত নতুন কমিটির আগের কমিটির উত্তোলন করা এই টাকা কবরস্থানের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলে। নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সভাপতি মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ১৯ জুলাই পাবনার আমলি-৪ আদালতে মামলা করেন।
মামলার আরও ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। বেতুয়ান গ্রামের ইউপি সদস্য সাহেব আলী বলেন, মোসলেম উদ্দিন কবরস্থানের টাকা আত্মসাৎ করেছেন ঠিক আমার জনা নেই। কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিমকে মামলায় আসামি করা হয়নি।
তিনি বাদীর সঙ্গে আঁতাত করে মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন বলে অভিযোগ। অনুসন্ধানে জানাযায়, কবরস্থানের মাটি ভরাটের কাজে জরুরী ভিত্তিতে টাকার প্রয়োজন হলে কমিটির সেক্রেটারী ও সভাপতি টাকা উত্তোলনের কিছু দিন পুর্বে চেক স্বাক্ষর করেন। এর পর ৫ ডিসেম্বর সেক্রেটারী আব্দুল কাদের মারা গেলে ৬ ডিসেম্বর কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিম নিজের কাছে রেখে কবরস্থানের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করেছেন।
অবশিষ্টটাকা এখনো রেজাউলের কাছে জমা রয়েছে বলে আগের কমিটি সদস্যের অভিযোগ। চেকে স্বাক্ষর বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দলু কাদের জীবিত থাকা অবস্থায় চেকে স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর কবর স্থানের উন্নয়ন কাজের প্রয়োজনে টাকা তোলা হয়।
সেই টাকা কমিটির অনুমোদনে খরচ হয়েছে। কাজ শেষে অবশিষ্ট টাকা কোষাধ্যক্ষের কাছে জমা আছে। বেতুয়ান করস্থানের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনান তার বিরুদ্ধে উপস্থাপিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন একটি গোষ্ঠি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষরযন্ত মুলক মামলা করে সামাজি ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে।
অপর দিকে বর্তমান কবর স্থানের কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম জানান, কবস্থানের সঠিক হিসাব না পাওয়ায় তিনি কিমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবে বাদী হয়ে মামলা করেরছেন।
কোষাধ্যক্ষকে আসামি না করার বিষয়ে তিনি বলেন, কোষাধ্যক্ষ মামলার বিষয়ে তাদের সহযোগিতা করেছেন, তাই তাকে মামলার আসামি করা হয়নি। কমিটির কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন,কমিটির সেক্রেটারী মারা যাওয়ার আগেই দুটি চেকে স্বাক্ষর করে গিয়েছিলেন।
তিনি ওই চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা ওঠান। সেখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। রেজুলেশন করে টাকা উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হয়। গতকাল ২ আগস্ট মঙ্গলবার সরেজমীনে বেতুয়ান কবরস্থানে গেলে বর্তমান কমিটির সভাপতি সম্পাদক সহ এলাকাবাসী অভিযুক্ত সাবেক সভাপতির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন করেছে।