স্বতঃকন্ঠ বার্তাকক্ষঃ যদিও শপিং মল এবং মার্কেট বন্ধ এবং গণপরিবহন স্থগিত রয়েছে, তবুও শহরের রাস্তাগুলি প্রায় স্বাভাবিক দেখায় মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে এবং রিকশা, ভ্যান এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এই লঙ্ঘনের মধ্যে, সরকার কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাউনকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

গতকাল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই লক্ষ্যে একটি সার্কুলার জারি করেছে, যা সমস্ত কারখানা এবং শিল্পের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

১ আগস্ট থেকে সরকার রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা পরিচালনার অনুমতি দেয়।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল করবে।

দেশের দুটি বেসরকারি এয়ার অপারেটর ইউএস-বাংলা এবং নভো এয়ারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পুনরায় চালু করতে প্রস্তুত।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নভো এয়ার জানিয়েছে, এয়ারলাইন্সগুলো প্রতিদিন চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর ও যশোরের জন্য ছয়টি এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী এবং কক্সবাজারে প্রতিদিন দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ১১ আগস্ট থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন এবং ১৯ জোড়া মেইল ​​ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

কমিউটার ট্রেনগুলি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা অনুসরণ করবে এবং ট্রেনের অর্ধেক আসন খালি রেখে দেবে। টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে যেখানে লোকাল ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে পাওয়া যাবে।

৫ এপ্রিল থেকে, সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার বন্ধ করতে পর্যায়ক্রমে বিধিনিষেধ প্রয়োগ করছে।

সমস্ত শপিং মল এবং বাজার ১০ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশ সহ সকল প্রকার সামাজিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। কোন রেস্তোরাঁ ডাইন-ইন পরিষেবা প্রদান করতে পারে না এবং শুধুমাত্র টেকওয়ে অফার করতে পারে।

গতকাল করোনাভাইরাস মহামারীর সর্বশেষ ঢেউ ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৮ই আগস্ট ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার ব্যাংক বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাজের দিনগুলিতে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য তাদের দরজা খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লেনদেন কার্যক্রম ব্যতীত অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করতে ব্যাংকগুলো বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।

১০ই আগস্ট পর্যন্ত চলাচলের উপর চলমান কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখার জন্য একটি সরকারি নির্দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঈদুল আযহার সময় আট দিনের বিরতির সঙ্গে ১ জুলাই থেকে “কঠোর লকডাউন” কার্যকর হয়েছে। ২৩ জুলাই সকাল থেকে এটি আবার শুরু হয় এবং এটি গতকাল শেষ হওয়ার কথা ছিল।

মঙ্গলবার কোভিড -১৯ নিয়ে একটি আন্ত -মন্ত্রণালয় বৈঠকের পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক বলেন, ১১ আগস্ট থেকে দোকান ও অফিস খোলা হবে।

তিনি বলেন, গণপরিবহন চলাচলও সীমিত আকারে পুনরায় শুরু হবে।

আরও পড়ুনঃ ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ