ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

কুষ্টিয়ার কৃষকেরা পাটকাঠি বিক্রি করে করছেন বাড়তি আয়

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১
  • / 95

(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়াতে সোনালী আঁশ পাট এবার ভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে কৃষকের কাছে দেখছেন আসার আলো। কারণ পাটের আর কোনো কিছুই মূল্যহীন নয়।

কিন্তু এখন বিশ্ববাজারে পাটকাঠির চাহিদা বেড়েছে অনেক গুণ। তাইতো এই অঞ্চলের কৃষক সোনালী আঁশের রুপালী কাঠিতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। বিগত সময় পাট চাষীরা চাহিদা অনুযায়ী পাটের দাম না পেয়ে এই মৌসুমে সোনালি আঁশে ও কাঠিতে তা পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।

সদর উপজেলা, কুমারখালী, খোকসা, মিরপুর, ভেড়ামারা, দৌলতপুরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ এলাকার পাট চাষিরা জানান, গত কয়েক বছর আগেও পাটকাঠির তেমন চাহিদা ছিল না। দূর দূরান্তের পাঠকাঠি ব্যবসায়ীরা এসে পাটের এই রুপালী কাঠি কিনছেন, ভালো দামও দিচ্ছেন।

একশ’ মোটা পাটকাঠি বিক্রয় হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। চাষিরা বলেন, শুধু পাট বিক্রয় করেই নয় এবার পাটের এই কাঠিও আমাদের আশা জাগিয়েছে বেশ কয়েকগুণ।

এখন এই রুপালি কাঠি দেশের পার্টিকেল বোর্ড তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় পাটকাঠির ছাই বিদেশে রফতানি হচ্ছে আর তাই ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।

পাটকাঠিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু কারখানা গড়ে উঠেছে। এক দিকে সোনালি আঁশ অন্য দিকে রুপালি কাঠি দুটি মিলে নতুন সম্ভাবনা
তৈরি হয়েছে পাট উৎপাদনে বলে মনে করেন কৃষকরা।

তারা আরো বলেন, বিভিন্ন দেশে পাটকাঠির ছাই থেকে কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ারের কালি, আতশবাজি ও ফেসওয়াশের উপকরণ, মোবাইলের ব্যাটারি, প্রসাধনী পণ্য, এয়ারকুলার, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ ক্ষেতের সার উৎপাদনের কাঁচা মাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে কারণেই প্রতিনিয়ত পাটকাঠির চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

কৃষি পণ্যকে শিল্পে রূপান্তরের জন্য কৃষি ক্ষেত্রে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। গত কয়েক বারের তুলনায় পাট ও পাটকাঠি বিক্রি করে কৃষক এবার বেশিলাভবান হবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসূত্রে জানা যায়, এবছর কুষ্টিয়া জেলায় ১ লাখ একরের অধিক জমিতে পাট চাষ হয়েছে। সর্বাধিক ৪১ হাজার একক জমিতে পাট চাষ হয়েছে দৌলতপুর উপজেলায়।

জনমানুষের মন্তব্য হলো পাট চাষিদের জন্য সরকারের বিশেষ আর্থিক প্রণোদনাসহ নানাবিধ উদ্যোগেই পাটের বাজারের এমন উন্নতি। আর বেশি পাঠ চাষ হওয়াতে জেলাজুড়ে পাঠের পাশাপাশি বেড়েছে পাঠকাঠিও।

আরও পরুনঃ নবনির্মিত পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ফেরির ধাক্কা

কুষ্টিয়ার কৃষকেরা পাটকাঠি বিক্রি করে করছেন বাড়তি আয়

প্রকাশিত সময় ০৬:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১

(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়াতে সোনালী আঁশ পাট এবার ভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে কৃষকের কাছে দেখছেন আসার আলো। কারণ পাটের আর কোনো কিছুই মূল্যহীন নয়।

কিন্তু এখন বিশ্ববাজারে পাটকাঠির চাহিদা বেড়েছে অনেক গুণ। তাইতো এই অঞ্চলের কৃষক সোনালী আঁশের রুপালী কাঠিতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। বিগত সময় পাট চাষীরা চাহিদা অনুযায়ী পাটের দাম না পেয়ে এই মৌসুমে সোনালি আঁশে ও কাঠিতে তা পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।

সদর উপজেলা, কুমারখালী, খোকসা, মিরপুর, ভেড়ামারা, দৌলতপুরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ এলাকার পাট চাষিরা জানান, গত কয়েক বছর আগেও পাটকাঠির তেমন চাহিদা ছিল না। দূর দূরান্তের পাঠকাঠি ব্যবসায়ীরা এসে পাটের এই রুপালী কাঠি কিনছেন, ভালো দামও দিচ্ছেন।

একশ’ মোটা পাটকাঠি বিক্রয় হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। চাষিরা বলেন, শুধু পাট বিক্রয় করেই নয় এবার পাটের এই কাঠিও আমাদের আশা জাগিয়েছে বেশ কয়েকগুণ।

এখন এই রুপালি কাঠি দেশের পার্টিকেল বোর্ড তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় পাটকাঠির ছাই বিদেশে রফতানি হচ্ছে আর তাই ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।

পাটকাঠিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু কারখানা গড়ে উঠেছে। এক দিকে সোনালি আঁশ অন্য দিকে রুপালি কাঠি দুটি মিলে নতুন সম্ভাবনা
তৈরি হয়েছে পাট উৎপাদনে বলে মনে করেন কৃষকরা।

তারা আরো বলেন, বিভিন্ন দেশে পাটকাঠির ছাই থেকে কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ারের কালি, আতশবাজি ও ফেসওয়াশের উপকরণ, মোবাইলের ব্যাটারি, প্রসাধনী পণ্য, এয়ারকুলার, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ ক্ষেতের সার উৎপাদনের কাঁচা মাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে কারণেই প্রতিনিয়ত পাটকাঠির চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

কৃষি পণ্যকে শিল্পে রূপান্তরের জন্য কৃষি ক্ষেত্রে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। গত কয়েক বারের তুলনায় পাট ও পাটকাঠি বিক্রি করে কৃষক এবার বেশিলাভবান হবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসূত্রে জানা যায়, এবছর কুষ্টিয়া জেলায় ১ লাখ একরের অধিক জমিতে পাট চাষ হয়েছে। সর্বাধিক ৪১ হাজার একক জমিতে পাট চাষ হয়েছে দৌলতপুর উপজেলায়।

জনমানুষের মন্তব্য হলো পাট চাষিদের জন্য সরকারের বিশেষ আর্থিক প্রণোদনাসহ নানাবিধ উদ্যোগেই পাটের বাজারের এমন উন্নতি। আর বেশি পাঠ চাষ হওয়াতে জেলাজুড়ে পাঠের পাশাপাশি বেড়েছে পাঠকাঠিও।

আরও পরুনঃ নবনির্মিত পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ফেরির ধাক্কা