ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

মস্কো প্রদর্শনীতে বাংলাদেশী আলোকচিত্রীদের তোলা ফটো

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:২৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অগাস্ট ২০২১
  • / 65

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর বিশ্বখ্যাত ত্রিতিয়াকোভ আর্ট গ্যালারীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চিত্তাকর্ষক এক প্রদর্শনী। মস্কো ডিজাইন মিউজিয়াম এবং রুশ রাষ্ট্রীয় পরমানু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের প্রকৌশল শাখা এটমোস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) এই প্রদর্শনীর সহ-আয়োজক।

এই প্রদর্শনীটি গত ৭ জুলাই শুরু হয়েছে এবং আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উম্মুক্ত থাকবে বলে এটমোস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) এর গণমাধ্যম শাখা বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সম্প্রতি প্রদর্শনীটি ঘুরে করেন এবং এর কনসেপ্ট ও আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার বিভিন্ন কারখানায় নির্মানাধীন যন্ত্রপাতির ইন্সপেকশনের জন্য রাশিয়া ভিজিটকারী একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

গতবছর আয়োজিত এএসই আন্তর্জাতিক ফটো প্রতিযোগিতার বিজয়ী এবং ফাইনালিস্টদের দ্বারা ধারণকৃত বিভিন্ন আলোকচিত্র এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী আলোকচিত্রীরা অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে।

অন্যান্য যেসকল দেশের আলোকচিত্রীদের তোলা ফটো প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে – ভারত, মিশর, হাঙ্গেরী, ফিনল্যান্ড, তুরস্ক, বেলারুশ এবং রাশিয়া।

রসাটম বিশ্বের যেসকল দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মান করেছে বা করছে সেই সকল দেশের সৌন্দর্য ও অনন্য বৈশিষ্ট পৃথিবীর সামনে তুলে ধরাই এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে। একই সাথে ঐ সকল দেশের প্রতিভাবান আলোকচিত্রীদের খুঁজে বের করা এবং স্বীকৃতি প্রদানও এর অন্যতম আরেকটি লক্ষ্য।

৬টি ক্যাটাগরিতে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাটাগরিগুলো ছিল “আমার দেশ”, “প্রকৃতির সঙ্গে সংলাপ”, “ফ্রিজ ফ্রেম শট”, “নিকটবর্তী পরমাণু”, “পোট্র্রেট” এবং “খাদ্যের মাধ্যমেই আমাদের পরিচয়”।

প্রায় ১,৪০০ আলোকচিত্র থেকে অভিজ্ঞ বিচারকমন্ডলী প্রতি ক্যাটাগরীতে বিজয়ীদের নির্বাচন করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে বিজয়ী বাংলাদেশীরা হলেন, আজিম খান রনি (প্রথম স্থান, ক্যাটাগরি- খাদ্যের মাধ্যমেই আমাদের পরিচয়), ফাইজুল মাওলা (প্রথম স্থান, ক্যাটাগরি- প্রকৃতির সঙ্গে সংলাপ), নাফিস আমিন  (প্রথম স্থান, ক্যাটাগরি- প্রকৃতির সঙ্গে সংলাপ), মনিরুজ্জামান সজল (প্রথম স্থান, ক্যাটাগরি- পোট্রেট) এবং সৈয়দ মাহবুবুল কাদের (দ্বিতীয় স্থান, ক্যাটাগরি- আমার দেশ)।

প্রদর্শনীতে বিজয়ী ও ফাইনালিস্টদের তোলা অসাধারণ কিছু ফটোর পাশাপাশি স্থান পেয়েছে রাশিয়ার সমসাময়িক ডিজাইনার ও স্থপতিদের বিভিন্ন শিল্পকর্ম। এসবের মধ্যে রয়েছে- গ্রাফিক্স, শৈল্পিক আসবাবপত্র, আলোর নকশা, টেক্সটাইল এবং সিরামিকসহ অন্যান্য সামগ্রী।

প্রদর্শনীটিকে একটি নতুন মাত্রা প্রদানের জন্য মূলত এসবের আয়োজন। প্রদর্শনীর সার্বিক ডিজাইনের দায়িত্বে আছে রাশিয়ার আইকনিক গ্রাফিক আর্টিস্ট ইগোর গুরোভিচ। প্রদর্শনীর জন্য একটি মিউজিক কম্পোজ করেছেন ভিক্টর ওসাদচেভ; উদ্দেশ্য হলো ভিজিটরদের মধ্যে একটি কাল্পনিক অনুভূতির সৃষ্টি।

আরও পরুনঃ তালেবানরা ৯০ দিনের মধ্যে আফগান রাজধানী দখলে নিতে পারে -মার্কিন গোয়েন্দাবিভাগ

মস্কো প্রদর্শনীতে বাংলাদেশী আলোকচিত্রীদের তোলা ফটো

প্রকাশিত সময় ১২:২৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অগাস্ট ২০২১

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর বিশ্বখ্যাত ত্রিতিয়াকোভ আর্ট গ্যালারীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চিত্তাকর্ষক এক প্রদর্শনী। মস্কো ডিজাইন মিউজিয়াম এবং রুশ রাষ্ট্রীয় পরমানু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের প্রকৌশল শাখা এটমোস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) এই প্রদর্শনীর সহ-আয়োজক।

এই প্রদর্শনীটি গত ৭ জুলাই শুরু হয়েছে এবং আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উম্মুক্ত থাকবে বলে এটমোস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) এর গণমাধ্যম শাখা বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সম্প্রতি প্রদর্শনীটি ঘুরে করেন এবং এর কনসেপ্ট ও আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার বিভিন্ন কারখানায় নির্মানাধীন যন্ত্রপাতির ইন্সপেকশনের জন্য রাশিয়া ভিজিটকারী একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

গতবছর আয়োজিত এএসই আন্তর্জাতিক ফটো প্রতিযোগিতার বিজয়ী এবং ফাইনালিস্টদের দ্বারা ধারণকৃত বিভিন্ন আলোকচিত্র এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী আলোকচিত্রীরা অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে।

অন্যান্য যেসকল দেশের আলোকচিত্রীদের তোলা ফটো প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে – ভারত, মিশর, হাঙ্গেরী, ফিনল্যান্ড, তুরস্ক, বেলারুশ এবং রাশিয়া।

রসাটম বিশ্বের যেসকল দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মান করেছে বা করছে সেই সকল দেশের সৌন্দর্য ও অনন্য বৈশিষ্ট পৃথিবীর সামনে তুলে ধরাই এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে। একই সাথে ঐ সকল দেশের প্রতিভাবান আলোকচিত্রীদের খুঁজে বের করা এবং স্বীকৃতি প্রদানও এর অন্যতম আরেকটি লক্ষ্য।

৬টি ক্যাটাগরিতে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাটাগরিগুলো ছিল “আমার দেশ”, “প্রকৃতির সঙ্গে সংলাপ”, “ফ্রিজ ফ্রেম শট”, “নিকটবর্তী পরমাণু”, “পোট্র্রেট” এবং “খাদ্যের মাধ্যমেই আমাদের পরিচয়”।

প্রায় ১,৪০০ আলোকচিত্র থেকে অভিজ্ঞ বিচারকমন্ডলী প্রতি ক্যাটাগরীতে বিজয়ীদের নির্বাচন করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে বিজয়ী বাংলাদেশীরা হলেন, আজিম খান রনি (প্রথম স্থান, ক্যাটাগরি- খাদ্যের মাধ্যমেই আমাদের পরিচয়), ফাইজুল মাওলা (প্রথম স্থান, ক্যাটাগরি- প্রকৃতির সঙ্গে সংলাপ), নাফিস আমিন  (প্রথম স্থান, ক্যাটাগরি- প্রকৃতির সঙ্গে সংলাপ), মনিরুজ্জামান সজল (প্রথম স্থান, ক্যাটাগরি- পোট্রেট) এবং সৈয়দ মাহবুবুল কাদের (দ্বিতীয় স্থান, ক্যাটাগরি- আমার দেশ)।

প্রদর্শনীতে বিজয়ী ও ফাইনালিস্টদের তোলা অসাধারণ কিছু ফটোর পাশাপাশি স্থান পেয়েছে রাশিয়ার সমসাময়িক ডিজাইনার ও স্থপতিদের বিভিন্ন শিল্পকর্ম। এসবের মধ্যে রয়েছে- গ্রাফিক্স, শৈল্পিক আসবাবপত্র, আলোর নকশা, টেক্সটাইল এবং সিরামিকসহ অন্যান্য সামগ্রী।

প্রদর্শনীটিকে একটি নতুন মাত্রা প্রদানের জন্য মূলত এসবের আয়োজন। প্রদর্শনীর সার্বিক ডিজাইনের দায়িত্বে আছে রাশিয়ার আইকনিক গ্রাফিক আর্টিস্ট ইগোর গুরোভিচ। প্রদর্শনীর জন্য একটি মিউজিক কম্পোজ করেছেন ভিক্টর ওসাদচেভ; উদ্দেশ্য হলো ভিজিটরদের মধ্যে একটি কাল্পনিক অনুভূতির সৃষ্টি।

আরও পরুনঃ তালেবানরা ৯০ দিনের মধ্যে আফগান রাজধানী দখলে নিতে পারে -মার্কিন গোয়েন্দাবিভাগ