কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে
- প্রকাশিত সময় ০১:৩৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
- / 100
কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ায় পদ্মা ও গড়ায় নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে, একইসাথে ভাঙ্গন শুরু দেখা দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায় । এদিকে পানি বাড়ার কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায়।
এরই মধ্যেই বেশ কিছু কৃষি জমি ও বসতবাড়ী বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষেরা। নদী ভাঙ্গনে ভিটামাটি হারা এলাকার অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান, তালবাড়ীয়া মোবারক বাঁধের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ কিলোমিটার বেশি ঝুকিপূর্ণ। নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে এই ইউনিয়নের
প্রায় কয়েকশ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাড়ি জমিয়েছেন।
ক্রমাগত ভাঙ্গনে প্রায় কয়েক হাজার একর ফসলি জমি, ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৬টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। তিনি আরও জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর বছর পদ্মা নদী ভাঙনের তীব্রতা অনেকটা বেশি, প্রতিদিনই ফসলি জমিসহ বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে তীরবর্তী এলাকা ভেঙ্গে ইউনিয়নের মূল ভূখন্ডের আয়তন ক্রমেই কমছে।
এ বিষয়ে মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন বলেন, অতিদ্রুত নদী ভাঙ্গনরোধ না করা গেলে হুমকির মুখে পরতে পারে উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের এক মাত্র কুষ্টিয়া–ঈশ্বরদী মহাসড়কটি।
নদীর পানিতে প্লাবিত হতে পারে কুষ্টিয়া সহ আশপাশের কয়েকটি জেলার অধিকাংশ অঞ্চল। তিনি জানান, গত দুই বছর আগে ৯শ কোটি টাকার একটি (ডিপিডি) প্রকল্প পরিকল্পনা
মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এটি সম্পন্ন হলে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে ওই তালবাড়ীয়া ইউনিয়নসহ কুষ্টিয়া জেলা এবং আশপাশের কয়েকটি জেলা। এছাড়াও রক্ষা উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের এক মাত্র কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কটি।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হেমিক জানান, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে দেশের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। পদ্মা ও গড়াই নদীতে পানি বাড়ার কারণে মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় দ্রæতই জিও ব্যাগের মাধমে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হবে।