সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ভুল সিজারে মা ও নবজাতকের মৃত্যু
- প্রকাশিত সময় ০৪:২৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
- / 36
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসদরের থানার ঘাটে অবস্থিত নিউ রংধনু হাসপাতালে ভুল সিজারে প্রসূতি মা সোনিয়া খাতুন (৩০) ও নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে । ঘটনার পর থেকে ডাক্তার ও নার্স পলাতক রয়েছে।
ইতিপূর্বে ওই হাসপাতালে একই রকম ঘটনা ঘটায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল।
নিহত প্রসূতির স্বামী ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার ভোররাতে উল্লাপাড়া উপজেলার যুগ্নিবাড়ী গ্রামের হাবিবুর রহমান সরকার তার প্রসূতি স্ত্রীকে নিয়ে শাহজাাদপুুর পৌরসদরের থানারঘাট পাড়া নিউ রংধনু প্রাইভেট হাসপাতালে আসেন ।
এ সময় হাসপাতলের ডাক্তার ও নার্সরা নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন । পরে হাসপাতালের ডাঃ আয়শা খাতুন সিজার করার সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রসূতির স্বামী হাবিবুরকে কে জানান হয় ।
প্রসূতি মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে বলে তার প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাকে রক্ত দিতে হবে । এমতাবস্থায় প্রসূূতির পরিবার যখন রক্ত সংগ্রহে ব্যস্ত তখন ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ডাঃ আয়শা খাতুন একটি এ্যাম্বুলেন্স ডেকে রোগীর অভিভাবক ছাড়াই মৃত প্রসুতি ও নবজাতক শিশুটিকে এ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দেয়।
এ সময় নিহতের স্বামী হাবিবুর সরকার আসলে ডাঃ আয়শা খাতুন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তখন হাবিবুর এ্যাম্বুলেন্সে উঠে বুঝতে পারে তার স্ত্রী বেঁচে নেই।
সেই সময় হাবিবুর তার নিহত স্ত্রী- সন্তানকে গাড়ী থেকে নামিয়ে হাসপাতালের ভিতরে রাখে। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছালে এর আগেই হাসপাতালের ডাঃ আয়শা ও সকল নার্স পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, যদি প্রসূতির পরিবার কোন অভিযোগ করে তবে আমরা ঐ হাতাপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব ।
তাছাড়াও প্রসূতি ও নবজাতক কেন মারা গেল এ ব্যাপারে তদন্ত করে ঐ হাসপাতাল বা ডাক্তার দায়ী থাকলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
নিহতদের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়মের মধ্যে চলে আসছে।
ইতোপূর্বেও ওই হাসপাতালে একটি রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমিনুল ইসলাম খান ও উপজেলা র্নিবাহী অফিসার শাহ মো: শামসুজ্জোহা হাসপাতালের মালিক ডাক্তার তুষারকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছিল।