ঢাকা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষিকা আটক

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 34

পাবনা প্রতিনিধিঃ হালাল উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারন মানুষদের কাছে থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পাবনার স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

১৪ সেপ্টম্বর এই ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার হওয়া ভুক্তভোগীরা ওই নারী প্রতারক শিক্ষীকার বাড়ি অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই নারী প্রতারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

প্রতারনার স্বাীকার ভুক্তভোগীরা জানান, পাবনা পৌর এলাকার পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার শিক্ষিকা মোছাঃ সীমা আক্তার, এই শিক্ষিকা সাধারন মানুষদের ইসলামী শরিয়া মোতাবেক গরুর খামার ও আরো নানা ধরনের হালাল উপর্জনের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তিনি শুধু সাধারন মানুষই নয় বোকা বানানিয়েছেন নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিক্ষক, পুলিশ সস্যদের সাথেও। মানুষ তার কথায় বিশ্বস করে লাভের আশায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অর্থ বিনিয়োগ করে।

লাভের অংক বেশি হওয়ায় লোভে পরে অনেকেই সেখানে অর্থ বিনিয়োগে করতে আগ্রহী হয়। প্রথম পর্যায়ে বিনিয়োগ কারীদের আকৃষ্ঠ করতে তাদেরকে লাভের অর্থ প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে টাকার অংক বৃদ্ধি পেলে তিনি সমস্ত টাকা আত্মসাত করে গেল এক মাস গা ঢাকা দেন।

এদিকে ওই প্রতারকের কাছে অর্থদিয়ে অনেকেই এখন সর্বশান্ত হয়ে পরেছেন বলে জানান। এই ঘটনার পরে স্কুল কতৃপক্ষ ওই নারী প্রতারককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

ঘটনার পরে ভুক্তভোগীরা পাবনা সদর থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন। এই প্রতারক নারী শিক্ষিকা অনেকের কাছ থেকে চেক ও স্টেম্পের মাধ্যমেও অর্থ নিয়েছেন।

তবে ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই প্রতারক নারী ব্যবসায়ীর বৈধ কোন কাগজ পত্র পাওয়া যায়নি। তিনি স্বীকার করেছেন মানুষের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার বিষয়টি।

তিনি এক জনের কাছে থেকে অর্থ নিয়ে আরেক জনকে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা প্রতারনার স্বীকার হওয়া সাধারন মানুষ তাদের অর্থ ফিরে পাবার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিগ্ধ আখতার বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। তার বিরুদ্ধে এই ধরনরে অভিযোগের কারনে তাকে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

তার প্রতারণার বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসছিলো ভুক্তভোগীরা। আমরা তাকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করেছি। অনেকেই তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমান নিয়ে এসেছেন।

আরও পড়ুনঃ পাবনার সাঁথিয়ায় ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

পাবনায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষিকা আটক

প্রকাশিত সময় ০৯:০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

পাবনা প্রতিনিধিঃ হালাল উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারন মানুষদের কাছে থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পাবনার স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

১৪ সেপ্টম্বর এই ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার হওয়া ভুক্তভোগীরা ওই নারী প্রতারক শিক্ষীকার বাড়ি অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই নারী প্রতারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

প্রতারনার স্বাীকার ভুক্তভোগীরা জানান, পাবনা পৌর এলাকার পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার শিক্ষিকা মোছাঃ সীমা আক্তার, এই শিক্ষিকা সাধারন মানুষদের ইসলামী শরিয়া মোতাবেক গরুর খামার ও আরো নানা ধরনের হালাল উপর্জনের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তিনি শুধু সাধারন মানুষই নয় বোকা বানানিয়েছেন নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিক্ষক, পুলিশ সস্যদের সাথেও। মানুষ তার কথায় বিশ্বস করে লাভের আশায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অর্থ বিনিয়োগ করে।

লাভের অংক বেশি হওয়ায় লোভে পরে অনেকেই সেখানে অর্থ বিনিয়োগে করতে আগ্রহী হয়। প্রথম পর্যায়ে বিনিয়োগ কারীদের আকৃষ্ঠ করতে তাদেরকে লাভের অর্থ প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে টাকার অংক বৃদ্ধি পেলে তিনি সমস্ত টাকা আত্মসাত করে গেল এক মাস গা ঢাকা দেন।

এদিকে ওই প্রতারকের কাছে অর্থদিয়ে অনেকেই এখন সর্বশান্ত হয়ে পরেছেন বলে জানান। এই ঘটনার পরে স্কুল কতৃপক্ষ ওই নারী প্রতারককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

ঘটনার পরে ভুক্তভোগীরা পাবনা সদর থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন। এই প্রতারক নারী শিক্ষিকা অনেকের কাছ থেকে চেক ও স্টেম্পের মাধ্যমেও অর্থ নিয়েছেন।

তবে ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই প্রতারক নারী ব্যবসায়ীর বৈধ কোন কাগজ পত্র পাওয়া যায়নি। তিনি স্বীকার করেছেন মানুষের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার বিষয়টি।

তিনি এক জনের কাছে থেকে অর্থ নিয়ে আরেক জনকে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা প্রতারনার স্বীকার হওয়া সাধারন মানুষ তাদের অর্থ ফিরে পাবার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিগ্ধ আখতার বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। তার বিরুদ্ধে এই ধরনরে অভিযোগের কারনে তাকে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

তার প্রতারণার বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসছিলো ভুক্তভোগীরা। আমরা তাকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করেছি। অনেকেই তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমান নিয়ে এসেছেন।

আরও পড়ুনঃ পাবনার সাঁথিয়ায় ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার