রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় ১৩ হাজার জনশক্তির প্রয়োজন হবে
- প্রকাশিত সময় ০২:৪৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / 167
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ ঈশ্বরদীর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় দক্ষ ও পরোক্ষ প্রায় ১৩ হাজার জনশক্তির প্রয়োজন হবে ।
১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঈশ্বরদীর পারমাণবিক তথ্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে রূপপুর এনপিপি নির্মাণের অবদান” শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় আরো বলা হয় বর্তমানে নির্মাণ কাজে প্রায় ২১ হাজার জনশক্তি নিয়োজিত রয়েছে।
রোসাটম স্টেট কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) যৌথভাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বলা হয়,বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জ্বালানি পুনরায় লোডিং, রণাবেণ, ওভারহোলিং এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রূপপুরের দুটি চুল্লীর জন্য জনশক্তির প্রয়োজন হবে। (১২০০ + ১২০০) ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতা সম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে।
এএসই গ্রুপের যোগাযোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ নাটালিয়া গনচারোভা “প্রকৌশল বিভাগে টেকসই উন্নয়ন” বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মস্কোর জেএসসি এটমস্ট্রযয়এক্সপোর্টের প্রধান বিশেষজ্ঞ কনস্ট্যান্টিন ফোকিন “রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের জন্য রোসাটম পারমাণবিক ব্যবস্থার উপর” বক্তব্য রাখেন।
কনস্ট্যান্টিন ফোকিন বলেন, “রোসাটম বিদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১৩৮ বিলিয়ন ডলার অর্ডার পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, আরএফ বিজ্ঞান ও উচ্চশিা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত কোটার উপর ভিত্তি করে,বাংলাদেশের নাগরিকদের রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পরমাণু এবং অন্যান্য পারমাণবিক নির্দিষ্ট শাখায় অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
“রোসাটম কোটার কমপে ৬৯ জন ছাত্র স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছে এবং তাদের মধ্যে ২৬ জন স্নাতক বিএইসিতে নিযুক্ত হয়েছে। “তিনি বুয়েটের মতো এখানকার ঢাকা এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালযয়ে পরমাণু বিজ্ঞান কোর্স চালু করার জন্য রোসাটমের সাথে সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেন।
এএসই-এর যোগাযোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ নাটালিয়া গনচারোভা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন হলে পরিচালনার জন্য উচ্চমানের ২,৫০০-৩,০০০ বিশেষজ্ঞের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরোক্ষভাবে আরো দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞের মতে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সারা দেশে দেড় মিলিয়নেরও বেশি পরিবারকে সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহ করবে।
এসময় রোসাটমের এনার্জি অব দি ফিচার বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল আলেক্সজেন্ডার বেবেকেভ এবং বাংলাদেশী কনসালটেন্স ডা: ফরহাদ কামাল বক্তব্য রাখেন।