সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে প্রতিবন্ধীকে মারপিট ও কুপিয়ে জখম
- প্রকাশিত সময় ০১:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / 49
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এক মানুষিক প্রতিবন্ধী নায়েব আলী ওরফে ইমান আলীকে (৪০) মারপিট ও কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের ফরিদুল ও মজনু হোসেনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে গ্রাম্যমাতব্বরদের কাছে বিচার দাবি করেও বিচার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার রুপাখাড়া পূর্বপাড়া গ্রামে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের রুপাখাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত খোরশেদ আলী মন্ডলের মানুষিক প্রতিবন্ধী ছেলে নায়েব আলী ওরফে ইমান আলী রুপাখাড়া বাজারে একই গ্রামের মৃত মোকবুল হোসেনের ছেলে ফরিদুলকে মার পিট করে আহত করে।
পরে ফরিদুল ইসলাম ও তার ভাই মজনু হোসেন গত বুধবার সকালে মানুষিক প্রতিবন্ধী ইমান রুপাখাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। পরে পথ রোধ করে দেশীয়অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে গুরুত্বর আহত করে।
প্রতক্ষ্যদর্শী সোনাখাড়া গ্রামের শামিম হোসেন জানান, প্রতিবন্ধী ইমান আলী রুপাখাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল পথে তার উপরে অতর্কিত ভাবে হামলা করে তাকে গুরুত্বর আহত করেছে ফরিদুল ইসলাম ও মজনু হোসেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে রুপাখাড়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, ইমান আলী এক জন মানুষিক প্রতিবন্ধী ফরিদুল একজন বেসরকারি চাকুরীজিবি সে কি ভাবে একজন মানুষিক প্রতিবন্ধীকে কুপিয়ে ও মারপিট করে আহত করে।
স্থানীয়রা ফরিদুল ইসলাম ও মজনু হোসেনের শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন ইমান আলীর মত যেন অন্য কারোর সাথে এমন নেক্কার জনক ঘটনা না ঘটে।
মানুষিক প্রতিবন্ধী ইমান আলীর স্ত্রী শারজিনা খাতুন জানান, আমার স্বামী এক জন মানুষিক প্রতিবন্ধী তার সাথে একই গ্রামের ফরিদুল ইসলামের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিল সে সময় আমার স্বামী তাকে মারপিট করছিল পরে গ্রামের বিচার বসলেও ফরিদুল ইসলামরা বিচারে হাজির হয়নি।
বুধবার সকালে আমার স্বামী রুপাখাড়া বাজারে যায়। পরে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল পথে ফরিদুল ও মজনু কুপিয়ে ও মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। পরে গ্রামের লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আমার স্বামী কাজ করে যা কামাই করতো তা দিয়ে আমাদের সংসার চলতো কিন্তু এখন আমার খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছি। আমি এঘটনায় দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করছি।
ফরিদুল ইসলাম জানান, ইমান আলীর সাথে আমার অনেক দিন আগে মারামারি হয়েছিল। পরে বুধবার তার সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে তাকে আমি কুপিয়ে বা পিটিয়ে জখম করি নাই।
সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন বলেন, রুপাখাড়া গ্রামের মানুষিক প্রতিবন্ধি ইমান আলীকে মারপিট ও কুপিয়ে জখমের নেক্কার জনক বিষয়টা শুনেছি। ইমান আলীর পরিবারকে বলা হয়েছে আগে চিকিৎসা করাতে। পরে বিষয়টা নিয়ে সমাধান করা হবে।