ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

টাঙ্গাইলে জলিল হত্যার বিচার ও লাশ ময়নাতদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৩০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 56

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের বড় নলছিয়া গ্রামের আব্দুল লাল চাঁন মুন্সীর ছেলে জলিল (৩৫) কে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন জলিলের স্ত্রী বুলবুলি বেগম ও পরিবারের লোকজন। দিনমজুর আ: জলিল হত্যার বিচার ও লাশ ময়নাতদন্তের দাবিতে মানববন্ধন।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুষ্পকলি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক বিদ্যালয় সামনে স্ত্রী বুলবুলি তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসী মিলে জলিল হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

জলিলের স্ত্রী বুলবুলি জানান, আমার স্বামী গো-খাদ্য ক্রয় ও বিক্রয়ের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। গত ০৬ আগস্ট শুক্রবার বেলা ১২টার সময় ভূঞাপুর উপজেলার বড় নলছিয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে হাফেজ (৪৫),আব্দুলের ছেলে মিজানুর (২৫), রুস্তমের ছেলে নূর ইসলাম (৩০), সুরমানের ছেলে শাকিল (২৮), ইউছুফের ছেলে জহির (২৮), মজনুর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮), জানি’র ছেলে পরবত (৩৫),চেরাগ আলীর ছেলে লাল চাঁন (৩৩)

আমাদের বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে খড় ক্রয় ও বিক্রয়ে যাওয়ার জন্য তাগাদা করে। আমার স্বামী বলে, আমি তো গতকালই তোমাদের বলে দিয়েছি আমি আজকে যাবো না।

আমার স্বামীর লাশ বাড়িতে আনার পর তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন দেখতে পাই এবং ভূঞাপুর থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করি।

আসামীগণ জোরপূর্বক আমার স্বামীর মরাদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই এলাকার কিছু মাতাব্বর ও অভিযুক্তদের সহযোগিতার স্থানীয় নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করে।

আমার মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে ভূঞাপুর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের আবেদন করি। কিন্তু ভূঞাপুর থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণ না করে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানায় মামলা দায়েরের কথা বলে।

আমার বিশ্বাস আসামীগণ পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য আসামীগণের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি ভূঞাপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। আমি আমার স্বামীর লাশ কবর থেকে উত্তোলণ করে ময়নাতদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল ওহাব জানান, টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ আদালত মামলা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে সমস্ত তথ্যাদি চেয়েছে তা সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবো।

আর পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে শাপলা তুলে গিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না শিফাতের

টাঙ্গাইলে জলিল হত্যার বিচার ও লাশ ময়নাতদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত সময় ১১:৩০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের বড় নলছিয়া গ্রামের আব্দুল লাল চাঁন মুন্সীর ছেলে জলিল (৩৫) কে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন জলিলের স্ত্রী বুলবুলি বেগম ও পরিবারের লোকজন। দিনমজুর আ: জলিল হত্যার বিচার ও লাশ ময়নাতদন্তের দাবিতে মানববন্ধন।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুষ্পকলি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক বিদ্যালয় সামনে স্ত্রী বুলবুলি তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসী মিলে জলিল হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

জলিলের স্ত্রী বুলবুলি জানান, আমার স্বামী গো-খাদ্য ক্রয় ও বিক্রয়ের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। গত ০৬ আগস্ট শুক্রবার বেলা ১২টার সময় ভূঞাপুর উপজেলার বড় নলছিয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে হাফেজ (৪৫),আব্দুলের ছেলে মিজানুর (২৫), রুস্তমের ছেলে নূর ইসলাম (৩০), সুরমানের ছেলে শাকিল (২৮), ইউছুফের ছেলে জহির (২৮), মজনুর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮), জানি’র ছেলে পরবত (৩৫),চেরাগ আলীর ছেলে লাল চাঁন (৩৩)

আমাদের বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে খড় ক্রয় ও বিক্রয়ে যাওয়ার জন্য তাগাদা করে। আমার স্বামী বলে, আমি তো গতকালই তোমাদের বলে দিয়েছি আমি আজকে যাবো না।

আমার স্বামীর লাশ বাড়িতে আনার পর তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন দেখতে পাই এবং ভূঞাপুর থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করি।

আসামীগণ জোরপূর্বক আমার স্বামীর মরাদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই এলাকার কিছু মাতাব্বর ও অভিযুক্তদের সহযোগিতার স্থানীয় নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করে।

আমার মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে ভূঞাপুর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের আবেদন করি। কিন্তু ভূঞাপুর থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণ না করে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানায় মামলা দায়েরের কথা বলে।

আমার বিশ্বাস আসামীগণ পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য আসামীগণের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি ভূঞাপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। আমি আমার স্বামীর লাশ কবর থেকে উত্তোলণ করে ময়নাতদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল ওহাব জানান, টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ আদালত মামলা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে সমস্ত তথ্যাদি চেয়েছে তা সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবো।

আর পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে শাপলা তুলে গিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না শিফাতের