ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ শুভ’র ৭২ ঘন্টা পরেও খোঁজ মেলেনি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • / 111

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে পদ্মা নদীর সাড়া পাঁচ নাম্বার ঘাট এলাকায় নিখোঁজ শুভ রায় (২৫) এর ৭২ ঘন্টা পার হলেও কোন খোঁজ মেলেনি।

শুক্রবার ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় প্রতিমা বিসর্জনের সময় নৌকা থেকে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়।

নিখোঁজ শুভ রায় ঈশ্বরদী পৌরসভার কর্মকার পাড়া (নূরমহল্লা) এলাকার বাবলু রায়ের একমাত্র ছেলে।

শনিবার ১৬ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪ টা থেকে রাজশাহী থেকে আগত উদ্ধারকারীর একটি দল ঈশ্বরদী সাড়া ৫নং ঘাটে অভিযান পরিচালনা করেন।

উদ্ধারকারী দল সূত্রে জানা যায়, প্রথমে নিখোঁজ শুভ রায় যে নৌকা দুর্ঘটনা কবলিত হয় সেই নৌকার মাঝি উজ্জল ও অমলের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানেন। তারপর উজ্জ্বল ও অমলের দেখানো মত স্থানে উদ্ধারকারী দল উদ্ধার তৎপরতা চালায়। যে স্থানে শুভ রায় ডুবে যায় ঐ স্থানে উদ্ধারকারী দলের কাছে থাকা ১৫০ ফুট রশি দিয়েও ঐ স্থানের মাটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে নাই।

এরপর শুভর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের দেখানো স্থানে তারা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। উদ্ধারকারী দল দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও শুভ রায় কে উদ্ধার করতে পারেনি।

উদ্ধারকারী দলের প্রধান নুরনবী জানান, নদীর অনেক প্রশস্ততা, গভীরতা এবং স্রোত থাকার পরেও আমাদের ডুবুরি দল আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ভিক্টিমের পরিবার উদ্ধার অভিযানের সময় আমাদের সঙ্গে ট্রলারে ছিল। আমাদের যতোটুকু সাধ্য ছিল ততটুকুর কমতি আমরা করিনি।

তারপরও ফায়ার সার্ভিসের ভাসমান উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, পানিতে ডুবে মারা গেলে মরদেহ আনুমানিক ২৪ ঘন্টায় অথবা ২৪ ঘণ্টার আগেও পানির উপরে ভেসে ওঠে।

এই উদ্ধার নিয়োজিত ছিলেন তিনজন ডুবুরি ও দুইজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী। তারা হলেন, ডুবুরীর প্রধান মোহাম্মদ নূরনবী, মোহাম্মদ গোলাম রহমান, মোহাম্মদ জুয়েল রানা, দুইজন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হলেন, মোঃ মোখলেছুর রহমান, মোহাম্মদ মামুন রশিদ।

এই বিষয়ে মাঝি উজ্জল দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ‘র এই প্রতিবেদককে জানান, শুভ রায় সহ ৫-৬ জন বন্ধু মিলে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত আমার ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া করেন। তারা নৌকায় উঠার পরে ঘাট থেকে কিছুদূর ফাঁকে একটি ট্রলার এর সঙ্গে ধাক্কা লাগলে নৌকা থেকে ছিটকে শুভ সহ ৫-৬ জন পড়ে যায়। এমতাবস্থায় সবাইকে উদ্ধার করার সম্ভব হলেও নিখোঁজ শুভ রায়কে নৌকার কাছে থেকে নদীর স্রোত দু্রে নিয়ে যায়। তারপর থেকে শুভ রায়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ডুবুরি টিমের সঙ্গে আমিও উদ্ধারকাজে সাথে ছিলাম।

সাড়ার ৫নং ঘাটের এলাকাবাসী বলেন, আমাদের এই ঘাটে মাঝে মাঝেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের কাছে কোন ডুবুরি না থাকায় রাজশাহী থেকে ডুবুরি আনতে হয়।

এলাকাবাসী দাবি করেন ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসে ডুবুরি নিয়োগ দেওয়া হোক এতে হয়তোবা কোন দুর্ঘটনা কবলিতদের উদ্ধার কাজ সহজ হবে।

আরও পড়ুনঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নদীতে পড়ে এক যুবক নিখোঁজ

ঈশ্বরদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ শুভ’র ৭২ ঘন্টা পরেও খোঁজ মেলেনি

প্রকাশিত সময় ০১:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে পদ্মা নদীর সাড়া পাঁচ নাম্বার ঘাট এলাকায় নিখোঁজ শুভ রায় (২৫) এর ৭২ ঘন্টা পার হলেও কোন খোঁজ মেলেনি।

শুক্রবার ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় প্রতিমা বিসর্জনের সময় নৌকা থেকে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়।

নিখোঁজ শুভ রায় ঈশ্বরদী পৌরসভার কর্মকার পাড়া (নূরমহল্লা) এলাকার বাবলু রায়ের একমাত্র ছেলে।

শনিবার ১৬ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪ টা থেকে রাজশাহী থেকে আগত উদ্ধারকারীর একটি দল ঈশ্বরদী সাড়া ৫নং ঘাটে অভিযান পরিচালনা করেন।

উদ্ধারকারী দল সূত্রে জানা যায়, প্রথমে নিখোঁজ শুভ রায় যে নৌকা দুর্ঘটনা কবলিত হয় সেই নৌকার মাঝি উজ্জল ও অমলের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানেন। তারপর উজ্জ্বল ও অমলের দেখানো মত স্থানে উদ্ধারকারী দল উদ্ধার তৎপরতা চালায়। যে স্থানে শুভ রায় ডুবে যায় ঐ স্থানে উদ্ধারকারী দলের কাছে থাকা ১৫০ ফুট রশি দিয়েও ঐ স্থানের মাটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে নাই।

এরপর শুভর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের দেখানো স্থানে তারা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। উদ্ধারকারী দল দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও শুভ রায় কে উদ্ধার করতে পারেনি।

উদ্ধারকারী দলের প্রধান নুরনবী জানান, নদীর অনেক প্রশস্ততা, গভীরতা এবং স্রোত থাকার পরেও আমাদের ডুবুরি দল আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ভিক্টিমের পরিবার উদ্ধার অভিযানের সময় আমাদের সঙ্গে ট্রলারে ছিল। আমাদের যতোটুকু সাধ্য ছিল ততটুকুর কমতি আমরা করিনি।

তারপরও ফায়ার সার্ভিসের ভাসমান উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, পানিতে ডুবে মারা গেলে মরদেহ আনুমানিক ২৪ ঘন্টায় অথবা ২৪ ঘণ্টার আগেও পানির উপরে ভেসে ওঠে।

এই উদ্ধার নিয়োজিত ছিলেন তিনজন ডুবুরি ও দুইজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী। তারা হলেন, ডুবুরীর প্রধান মোহাম্মদ নূরনবী, মোহাম্মদ গোলাম রহমান, মোহাম্মদ জুয়েল রানা, দুইজন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হলেন, মোঃ মোখলেছুর রহমান, মোহাম্মদ মামুন রশিদ।

এই বিষয়ে মাঝি উজ্জল দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ‘র এই প্রতিবেদককে জানান, শুভ রায় সহ ৫-৬ জন বন্ধু মিলে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত আমার ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া করেন। তারা নৌকায় উঠার পরে ঘাট থেকে কিছুদূর ফাঁকে একটি ট্রলার এর সঙ্গে ধাক্কা লাগলে নৌকা থেকে ছিটকে শুভ সহ ৫-৬ জন পড়ে যায়। এমতাবস্থায় সবাইকে উদ্ধার করার সম্ভব হলেও নিখোঁজ শুভ রায়কে নৌকার কাছে থেকে নদীর স্রোত দু্রে নিয়ে যায়। তারপর থেকে শুভ রায়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ডুবুরি টিমের সঙ্গে আমিও উদ্ধারকাজে সাথে ছিলাম।

সাড়ার ৫নং ঘাটের এলাকাবাসী বলেন, আমাদের এই ঘাটে মাঝে মাঝেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের কাছে কোন ডুবুরি না থাকায় রাজশাহী থেকে ডুবুরি আনতে হয়।

এলাকাবাসী দাবি করেন ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসে ডুবুরি নিয়োগ দেওয়া হোক এতে হয়তোবা কোন দুর্ঘটনা কবলিতদের উদ্ধার কাজ সহজ হবে।

আরও পড়ুনঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নদীতে পড়ে এক যুবক নিখোঁজ