ঈশ্বরদী বাজারের প্রবেশ পথে যত্রতত্র অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় ভোগান্তিতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ
- প্রকাশিত সময় ০১:৪১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
- / 176
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদী বাজার জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এই বাজারের প্রবেশমুখেই দাঁড়িয়ে থেকে এই অটোরিকশা গুলো। ঈশ্বরদী বাজারে প্রবেশের মূল রাস্তা হলো স্টেশন রোড। আর এই স্টেশন রোডের উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে এই অটোরিকশা গুলো। যত্রতত্রভাবে অটোরিকশা গুলি রাখার জন্য সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। ফলে ঈশ্বরদী বাজারে প্রবেশ মুখে বড় কোন ধরনের বাহন, সাধারণ পথচারী এবং ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
ভুক্তভোগী অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় জানা যায় যে, মূল রাস্তার উপর এভাবে অটোরিকশা গুলো দাঁড়িয়ে থাকার জন্য সাধারন জনগনের এবং অন্যান্য চলাচলে অনেক অসুবিধা পোহাতে হয়।
শুধু তাই নয়, যত্রতত্রভাবে গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে থাকার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের মত জরুরী সেবা কাজে নিয়জিত বাহনেরও এদিক দিয়ে যেতে হলে যানজটের মুখোমুখি হতে হয়।
এবিষয়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ট্রাফিক কনস্টেবল আব্দুল হামিদ কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে, এদের কোনো লাইসেন্স নাই, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় তাদেরকে সরিয়ে দেন। ওদের এখান থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও অটোরিকশার ড্রাইভারগুলি অবৈধভাবে এইখানে গাড়িগুলো পার্কিং করে রাখে।
তিনি আরও জানান, ঈশ্বরদী পৌর কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই অটোরিকশার ড্রাইভারগুলি এখানে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এখানে অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে রাখে।
এব্যাপারে ঈশ্বরদী বাজারের বেশকিছু ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা জানান, এই অটোরিকশা গুলি ঈশ্বরদী বাজারের প্রবেশ মুখে অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, পথচারীরা রাস্তার পাশ দিয়ে চলাচল করতে পারে না এবং রাস্তার পার্শ্ববর্তী দোকান গুলোয় প্রবেশ করতে পারে না ফলে আমরা বাণিজ্যিকভাবে প্রতিনিয়ত ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি।
এবং তারা আরও অভিযোগ করেন যে, শতবার বললেও তারা দোকানের সামনে থেকে অটোরিকশা গুলো সরায় না।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শামীম হোসেন নামের এক ব্যক্তি এই অটোরিকশার সিরিয়াল লিখছেন। তাকে সিরিয়াল লেখা দায়িত্ব কে দিয়েছেন বা অটোরিক্সা গুলোর দাঁড়িয়ে থাকার কোন বৈধ অনুমোদন আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে সে নির্বিকার হয়ে এই প্রতিবেদকের দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং কোন উত্তর দিতে পারেন না।
সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীরা বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।