রাজশাহীর ছাত্রলীগ নেতা শাহীন হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ২২ জনের যাবজ্জীবন
- প্রকাশিত সময় ০৭:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
- / 120
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহী ছাত্রলীগ নেতা শাহিন শাহ হত্যা মামলায় সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ নয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এই সঙ্গে আরো ২২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওএইচএম ইলিয়াস হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় সাক্ষী ছিলেন ২৪ জন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আটজন হলেন- হাসানুজ্জামান হিমেল (৩৮), তৌফিকুল ইসলাম চাঁদ (৪৫), মো. মহাসীন (৫০), মো. সাইরুল (২৬), রজব (৩২), বিপ্লব (৩৫), গুড়িপাড়া এলাকার মো. মমিন (৩০) এবং আরিফুল ইসলাম (২৬)। এরমধ্যে মমিন ও আরিফুল পলাতক।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বুলনপুর জিয়ানগর এলাকার লাল মোহাম্মদ ওরফে লালু (৩৮), মাহাবুল হোসেন (৪২), সাত্তার (৪৫), সাজ্জাদ হোসেন (৩৮), বখতিয়ার আলম রানা ওরফে রংলাল (৩৫), হাসান আলী (৩২), মাসুদ
(৩৫), রাসেল (৩২), রাজা (৩২), মর্তুজা (৩০), সুমন (৩০), গুড়িপাড়া এলাকার আসাদুল (২২), আখতারুল (২৫), জইদুর রহমান (৪৮), ফরমান আলী (৪০), জয়নাল আবেদিন (২৫), রাজু আহমেদ (২৮), আকবর আলী (৪৫), সম্রাট হোসেন (১৯), টিয়া আলম (৩০), আজাদ হোসেন (৩৫) ও মো. মাসুম (২৬)। এদের মধ্যে আজাদ ও মাসুম পলাতক।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট গুড়িপাড়া সাকিনের ক্লাব মোড়ে শাহিন শাহকে পেয়ে আসামিরা তাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরিবারের সদস্যরা শাহিন শাহকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এনিয়ে নিহতের ভাই নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে ২৯ আগস্ট নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়। তদন্তের পর ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।
এরপর মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মামলাটি বিচারের জন্য রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
নিহতের ভাই নাহিদ আক্তার নাহান জানান, ‘চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায়ে আমরা সন্তষ।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোসাব্বিরুল ইসলাম জানান, আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। প্রথম রায় ঘোষণার দিনের এক বছর পর রায় ঘোষণা করা হলো। মামলায় সাক্ষী ছিলেন ২৪ জন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী হামিদুল হক বলেছেন- উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা।