ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদী লোকোসেড আবারও মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৩৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 119

পাবনার সাঁথিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে মাদকসেবীর জেল

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদী শহরের  মধ্যে মাদকের অন্যত্তম ঘাটি হলো লোকেসেড। এই অঞ্চলে ছোট বড় মিলে প্রায় ২০-২৫ জন মাদক কারবারী রয়েছে। তবে মাদক কারবারীদের মূল হোতারা অধিকাংশ সময়ই থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে

একাাধিক স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশের সাময়িক অভিযানের সময় মাদক বিক্রয় বন্ধ থাকলেও কিছুদিন পরেই আবার শুরু হয় মাদক বিক্রয়। চিহ্নিত এসব মাদক কারবারীরা কাদের ছত্রছায়ায় অবাধে মাদক বিক্রি করছে তা এলাকাবাসীর বোধগম্য নয়।

ঈশ্বরদী থানা অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকাতেই হাত বাড়ালেই মেলে মাদক। ঈশ্বরদী থানায় নতুন ওসি যোগদান করার পর কিছুদিন কারবার চলে গোপনে। তারপর অদৃশ্য কারনে প্রকাশ্যেই চলে এই কারবার।

এ অঞ্চলে গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেনসিডিলের কোন কমতি নেই। হাত বাড়ালেই মেলে এসব মাদক। এছাড়া ঈশ্বরদী থানা পুলিশের নাকের ডগায় চিহ্নিত মাদক কারবারি সহ বেশ কয়েকজন নতুন মাদক কারবারি প্রকাশ্যে দিন-রাত বিক্রি করছে গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন।

বর্তমানে ঈশ্বরদী থানা অঞ্চলে এক বোতল ফেনসিডিলের দাম ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। আর এই টাকা যোগাড় করতে দিন রাত এক করে ফেলছে মাদক সেবিরা। কম খরচে নেশা পুশিয়ে নিতে অনেকে সেবন করছে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা ও টাফেনটাডল ট্যাবলেট। মাদকের টাকা যোগাড় করতে চুরি ছিনতাই, ব্ল্যাকমেইলসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে তারা।

এসব এলাকার মোড়ে দোকান ঘরে ও একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটলেও আটক হচ্ছেনা চোর। উদ্ধার হচ্ছে না চুরির মালামাল। উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা নিয়েই বসবাস করছেন এখানকার বাসিন্দারা।

ঈশ্বরদীতে দির্ঘদিন যাবৎ পুলিশের উল্লেখযোগ্য কোন অভিযান নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।  অনুসন্ধানে জানা গেছে, একাধিক মাদক মামলার আসামী ও মূল মাদক কারবারীরা প্রকাশ্যেই বুক ফুলিয়ে বিক্রি করছে সকল প্রকার মাদকদ্রব্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানান, ঈশ্বরদী থানা এলাকার মধ্যে নাজিম উদ্দিন স্কুলের সামনে ভাত পট্টি, তিনতালা , গার্লস স্কুল পিছনে, লোকেসেড বেলতলা, বিহারী পাড়া, কলা বাগান এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারীরা অবাধে মাদকদ্রব্য বিক্রয় করছে।

সরকারি নাজিম উদ্দিন স্কুলের সামনে এভাবে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য বিক্রিতে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ।

ঈশ্বরদীথানা সূত্রে জানা যায়, পুরো ঈশ্বরদী লোকো সেট ছোট বড় মিলে মাদক কারবারী রয়েছে ২০-২৫জন। এর মধ্যে  ঝটিকা অভিযানে  এই  পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৪-৫ জন মাদক কারবারী। এর মধ্যে  চিহ্নিত মাদক কারবারী রয়েছে ২ জন।

এ ব্যপারে  ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ  জানান, মাদক কারবারীর কোন ছাড় নাই। থানার প্রত্যেক অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাদক কারবারী যেই হোক মাদক পেলেই গ্রেফতার করে মামলা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পর্যায় ক্রমে সকল মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হবে।

আরও পড়ুনঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: স্বামী আহত ঘাতক আটক

ঈশ্বরদী লোকোসেড আবারও মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে

প্রকাশিত সময় ১২:৩৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদী শহরের  মধ্যে মাদকের অন্যত্তম ঘাটি হলো লোকেসেড। এই অঞ্চলে ছোট বড় মিলে প্রায় ২০-২৫ জন মাদক কারবারী রয়েছে। তবে মাদক কারবারীদের মূল হোতারা অধিকাংশ সময়ই থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে

একাাধিক স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশের সাময়িক অভিযানের সময় মাদক বিক্রয় বন্ধ থাকলেও কিছুদিন পরেই আবার শুরু হয় মাদক বিক্রয়। চিহ্নিত এসব মাদক কারবারীরা কাদের ছত্রছায়ায় অবাধে মাদক বিক্রি করছে তা এলাকাবাসীর বোধগম্য নয়।

ঈশ্বরদী থানা অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকাতেই হাত বাড়ালেই মেলে মাদক। ঈশ্বরদী থানায় নতুন ওসি যোগদান করার পর কিছুদিন কারবার চলে গোপনে। তারপর অদৃশ্য কারনে প্রকাশ্যেই চলে এই কারবার।

এ অঞ্চলে গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেনসিডিলের কোন কমতি নেই। হাত বাড়ালেই মেলে এসব মাদক। এছাড়া ঈশ্বরদী থানা পুলিশের নাকের ডগায় চিহ্নিত মাদক কারবারি সহ বেশ কয়েকজন নতুন মাদক কারবারি প্রকাশ্যে দিন-রাত বিক্রি করছে গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন।

বর্তমানে ঈশ্বরদী থানা অঞ্চলে এক বোতল ফেনসিডিলের দাম ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। আর এই টাকা যোগাড় করতে দিন রাত এক করে ফেলছে মাদক সেবিরা। কম খরচে নেশা পুশিয়ে নিতে অনেকে সেবন করছে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা ও টাফেনটাডল ট্যাবলেট। মাদকের টাকা যোগাড় করতে চুরি ছিনতাই, ব্ল্যাকমেইলসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে তারা।

এসব এলাকার মোড়ে দোকান ঘরে ও একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটলেও আটক হচ্ছেনা চোর। উদ্ধার হচ্ছে না চুরির মালামাল। উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা নিয়েই বসবাস করছেন এখানকার বাসিন্দারা।

ঈশ্বরদীতে দির্ঘদিন যাবৎ পুলিশের উল্লেখযোগ্য কোন অভিযান নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।  অনুসন্ধানে জানা গেছে, একাধিক মাদক মামলার আসামী ও মূল মাদক কারবারীরা প্রকাশ্যেই বুক ফুলিয়ে বিক্রি করছে সকল প্রকার মাদকদ্রব্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানান, ঈশ্বরদী থানা এলাকার মধ্যে নাজিম উদ্দিন স্কুলের সামনে ভাত পট্টি, তিনতালা , গার্লস স্কুল পিছনে, লোকেসেড বেলতলা, বিহারী পাড়া, কলা বাগান এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারীরা অবাধে মাদকদ্রব্য বিক্রয় করছে।

সরকারি নাজিম উদ্দিন স্কুলের সামনে এভাবে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য বিক্রিতে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ।

ঈশ্বরদীথানা সূত্রে জানা যায়, পুরো ঈশ্বরদী লোকো সেট ছোট বড় মিলে মাদক কারবারী রয়েছে ২০-২৫জন। এর মধ্যে  ঝটিকা অভিযানে  এই  পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৪-৫ জন মাদক কারবারী। এর মধ্যে  চিহ্নিত মাদক কারবারী রয়েছে ২ জন।

এ ব্যপারে  ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ  জানান, মাদক কারবারীর কোন ছাড় নাই। থানার প্রত্যেক অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাদক কারবারী যেই হোক মাদক পেলেই গ্রেফতার করে মামলা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পর্যায় ক্রমে সকল মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হবে।

আরও পড়ুনঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: স্বামী আহত ঘাতক আটক