কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আ.লীগ নেতার আত্মীয়করণে নৌকার পরাজয়
- প্রকাশিত সময় ০৮:৪১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
- / 135
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী কামরুজ্জামান মান্নান মোল্লার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
২৯/১২/২০২১ বৃহস্পতিবার দুপুরে পান্টি বাজারে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম আব্দুল্লাহ ওরফে টিপু মিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত ২৬ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার দুপুরে নৌকা মার্কার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে জড়িয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নৌকার পক্ষে ভোট করেছে তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে।বিগত জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে সেটা প্রমাণিত।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, ‘ এবারের নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ের অন্যতম কারীগর ও সম্পূর্ণরূপে দায়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর।
নৌকার বিরুদ্ধে তাঁর ভাগিনা মো. মাসুদ হোসেন মঞ্জু ওরফে মাসুদ মোল্লাকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। এবারের নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী প্রায় দুই হাজার ভোট পায়। এতেই নৌকার পরাজয় হয়।আর নৌকাকে পরাজিত করতে সরাসরি ভূমিকা রাখেন জাহিদ হোসেন জাফর।
সাধারণ সম্পাদক লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, ‘ অতীতে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি দল থেকে বহিস্কার হয়েছিলেন।
গেল উপজেলা নির্বাচনেও নৌকার বিপক্ষে তাঁর আপন ছোট ভাইকে বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোটে দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। আপনারা লক্ষ্য করবেন জাহিদ হোসেন জাফর, কামরুজ্জামান মান্নান মোল্লা ও মাসুদ হোসেন মোল্লা গত তিন বছর একই সাথে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। গত চার বার পান্টিতে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের মূল নায়ক জাহিদ হোসেন জাফর।
লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ দলীয় অভ্যন্তরীন ক্রন্দল ও জাফর সাহেবের আত্মীয়করণে এখানে নৌকার পরাজয় হয়েছে। এবারের নির্বাচন পরিচালনা করেছেন জাফর সাহেব। নির্বাচনী কোন কর্মকাণ্ডে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে রাখা হয়নি। তবুও দলের স্বার্থে আমরা নৌকায় ভোট করেছি।’
এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের জৈষ্ঠ্য সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর বলেন, ‘ এবারের নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকা ছিলো অত্যন্ত নিন্দনীয় ।
তবে বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্য এবারো নৌকার পরাজয় হয়েছে আমি তা স্বীকার করছি। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীকে আমি দাঁড় করিয়েছি এ অভিযোগ সত্য নয়।’বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘ জাফর সাহেব আমার চাচাতো মামা। আমার রাজনৈতিক উপদেষ্টা। আমার রাজনৈতিক পদ পদবী তিনিই দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশেই বিদ্রোহী ভোট করেছি।
অতীতের নির্বাচনেও তাঁর নির্দেশনায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছি।’উল্লেখ্য যে গত মঙ্গলবার ভোটে হেরে যাওয়ার পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাকের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নৌকার প্রার্থী কামরুজ্জামান মান্নান মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ষড়যন্ত্রের ফলে ইউপি নির্বাচনে নৌকার পরাজয় হয়েছে। এছাড়াও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপি স্বতন্ত্র প্রার্থীর খোলামেলা নির্বাচন করেছেন এবং ভোটের পরেও নৌকার সমর্থকদের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছেন।