দিনাজপুরের বিরামপুরে ঘাস চাষ করে স্বাবলম্বী বিরামপুরের কৃষক আতিকুর
- প্রকাশিত সময় ০৫:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
- / 125
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ গো-খ্যাদের দাম বৃদ্ধিতে হাইব্রিট (নেপিয়ার,পাড়া জার্মান) জাতসহ অনেক প্রজাতির ঘাস চাষ করে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় আতিকুর রহমানের অল্প ব্যয়ে আর স্বল্প শ্রমে অধিক লাভের আশায় ঘাসের চাষ।
প্রতি দেড় মাস ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকার ঘাস বিক্রি করেন তিনি। বিরামপুরে ঘাস চাষে করে স্বাবলম্বী কৃষক আতিকুর রহমান। বাড়ির পাশে ৫ বিঘা জমির উপর ঘাস চাষ করেছেন তিনি। আতিকুর রহমান এক বছর আগে ঘাসের চাষ শুরু করেন।
প্রথমে বিঘাপ্রতি ৩ টলি গোবর সার, ১বস্তা ডেপ, ইউরিয়া ১বস্তা ও ২কেজি ম্যাগনেসিয়াম দিয়ে জমি তৈরি করে। গরম মৌসুমে দেড় মাসের মধ্যে ঘাস কেটে বাজার জাত করার উপযুক্ত হয়। আবার শীতের মৌসুমে তা বৃদ্ধি হতে সময় লাগে দুই মাস।
ঘাস কাটা অব্দি দুইবার পানির সেচ দিতে হয়। ঘাস কাটার পর আবারও অল্প করে ডেপ ও ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়। ঘাস ব্যবসায়ীরা জমিতে এসে বিঘা হিসাব করে ঘাস কিনে নেয়। প্রতি বিঘা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে ক্রয় করে ক্রেতারা। পূর্বপাড়ার গরুর খামারি মানিক মিয়া বলেন, আমার বাড়িতে ১০টি গরুর খামার আছে।
প্রতিদিন অনেক টাকার ঘাস কিনে খাওয়াতে হতো। তাই আমি নিজেই ১বিঘা জমিতে ঘাসের চাষ করেছি। এখন আর বাজার থেকে ঘাস ক্রয় করতে হচ্ছে না। নিজের আবাদের ঘাস খেয়ে তারা শেষ করতে পারে না। নতুন বাজারের ঘাস ব্যবসায়ী মোরফিদুল বলেন, ঘাস চাষীদের নিকট থেকে আমার আটি হিসাবে ঘাস ক্রয় করে আনি।
প্রতি আটি ১৪ থেকে ১৫ টাকা দরে পাইকারি কিনি, তা ২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। প্রতিদিন প্রায় আমার ১০০ থেকে ১২০ আটি ঘাস বিক্রি করি। তাতে খরচ বাদ দিয়ে দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাভ হয়। ঘাস চাষী আতিকুর বলেন, আমি নিজেকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য এই ঘাসের চাষ শুরু করেছি। এর পাশাপাশি আরও একটা ব্যবসা করি, তাতে আমার দিন ভালোই কাটে।
প্রতি বিঘায় প্রথমে আমার ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৫ বিঘা জমিতে ঘাসের চাষ করছি। দেড় মাস পরপর ঘাস কাটি এবং ব্যবসায়ীদের নিকট পাইকারিতে বিক্রি করি। এতে করে প্রতি দেড় মাস প্রায় ৯০ হাজার টাকার ঘাস বিক্রি করি।
এক বছর হলো এই জমিতে ঘাস লাগিয়েছি, আশা করছি আরও এক বছর যাবৎ ঘাস বিক্রি করতে পারবো। বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, এবছর উপজেলায় মোট ২৫ হেক্টর জমিতে ঘাস চাষ হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত তার ঘাস ক্ষেত পরিদর্শন করে আসছি। ভালো ফলনের জন্য তাকে আমরা সব সময় পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়াও ঘাস চাষ করে উপজেলায় অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে।