ঢাকা ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে আবারও বাড়ছে পুলিশ সোর্সের দৌরাত্ম্য

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:১৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / 166

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ দেশে বিভিন্ন সময় পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ভিকটিমকে হয়রানি, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপকর্মের ঘটনা ঘটেছে। এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সামনে থাকে সোর্স আর পেছনে পুলিশ।

সাধারণত অপরাধী সনাক্ত ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজেই সোর্সের সহযোগিতা নিয়ে থাকে পুলিশ। তবে বেশ কিছু ঘটনায় পেশাগত কাজের বাইরে সোর্সদের সহযোগিতায় ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের ঘটনায় ফেঁসে গেছে কিছু পুলিশ সদস্য।

সম্প্রতি পুলিশ-সোর্সের সম্পর্ক র‍য়েছে বেশ দূরত্বে। সোর্সরাও গা ঢাকা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী থানা এলাকায় অর্ধশত খাত থেকে সোর্সরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে। মামলা পাল্টা-মামলা, চার্জশিট ইত্যাদির নামেও তদবির করে সোর্সরা বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ পুলিশের সোর্স রাখার কোনও বিধান আইনের কোথাও নেই।

ফৌজদারি কার্যবিধি কিংবা পুলিশের পিআরবি’র (পুলিশ রেগুলেশন অব বাংলাদেশ) কোথাও পুলিশের সোর্স রাখা বা পালনের বিষয়টিও উল্লেখ করা নেই।

পুলিশ সূত্র জানায়, আসামি ধরা ও অপরাধীদের স্পট খুঁজতে ব্যক্তিগতভাবে সোর্সের সহযোগিতা নিতে পারে। তবে থানায় সোর্সের আনাগোনাও থাকা যাবে না এমনটাই নির্দেশনা ছিল পুলিশ সদর দফতর থেকে।

বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক দায়িত্ব নেয়ার পরেই বলেছিলেন, যে থানার সামনে সোর্সের আনাগোনা দেখা যাবে, সেই থানার ওসির বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা।

পুলিশ মহাপরিদর্শকের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোর্সদের সাথে সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেন পুলিশ সদস্যদের।

তবে সে কথার হাল আমলে ব্যত্যয় ঘটেছে। বেশ কয়েকটি ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের প্রভাব খাটিয়ে অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে সোর্সরা।

সম্প্রতি এমনই একজন সোর্সের অপকর্মের চিত্র উঠে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীতে মাদকের গডফাদাদের বাঁচিয়ে রাখার নেপথ্যে রয়েছে সোর্স ইমরান। ইমরান ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে পুলিশ সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে সাপ্তাহিক বা মাসিক মাসোহারা নিয়ে থাকেন। ইমরান পুলিশ সদস্যদের ভুল তথ্য সরবরাহ করে মাদক ব্যবসায়ীদের বাচিঁয়ে দেন, তার পরিবর্তে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে লিয়াজোঁ করে মাদকসেবিদের মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশে ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ আছে। মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশে ধরিয়ে দেবে বলে অনেক সাধারণ মানুষের কাছে থেকে চাদাবাজীও করে বলে অভিযোগ আছে। নিরিহ সাধারণ মানুষদের নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ উপার্জন করায় নাকি তার পেশা বলে উল্লেখ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। তিনি আরও বলেন, সোর্সদের হাবভাবে মনে হয় তারা পুলিশের চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান।

বিজ্ঞ মহলের মতে, সোর্সদের অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য সাধারণ মানুষ যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন অপরদিকে পুলিশেরও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে এদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

<>আরও পড়ুনঃ ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনেই অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান প্রসব

ঈশ্বরদীতে আবারও বাড়ছে পুলিশ সোর্সের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত সময় ০৯:১৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ দেশে বিভিন্ন সময় পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ভিকটিমকে হয়রানি, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপকর্মের ঘটনা ঘটেছে। এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সামনে থাকে সোর্স আর পেছনে পুলিশ।

সাধারণত অপরাধী সনাক্ত ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজেই সোর্সের সহযোগিতা নিয়ে থাকে পুলিশ। তবে বেশ কিছু ঘটনায় পেশাগত কাজের বাইরে সোর্সদের সহযোগিতায় ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের ঘটনায় ফেঁসে গেছে কিছু পুলিশ সদস্য।

সম্প্রতি পুলিশ-সোর্সের সম্পর্ক র‍য়েছে বেশ দূরত্বে। সোর্সরাও গা ঢাকা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী থানা এলাকায় অর্ধশত খাত থেকে সোর্সরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে। মামলা পাল্টা-মামলা, চার্জশিট ইত্যাদির নামেও তদবির করে সোর্সরা বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ পুলিশের সোর্স রাখার কোনও বিধান আইনের কোথাও নেই।

ফৌজদারি কার্যবিধি কিংবা পুলিশের পিআরবি’র (পুলিশ রেগুলেশন অব বাংলাদেশ) কোথাও পুলিশের সোর্স রাখা বা পালনের বিষয়টিও উল্লেখ করা নেই।

পুলিশ সূত্র জানায়, আসামি ধরা ও অপরাধীদের স্পট খুঁজতে ব্যক্তিগতভাবে সোর্সের সহযোগিতা নিতে পারে। তবে থানায় সোর্সের আনাগোনাও থাকা যাবে না এমনটাই নির্দেশনা ছিল পুলিশ সদর দফতর থেকে।

বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক দায়িত্ব নেয়ার পরেই বলেছিলেন, যে থানার সামনে সোর্সের আনাগোনা দেখা যাবে, সেই থানার ওসির বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা।

পুলিশ মহাপরিদর্শকের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোর্সদের সাথে সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেন পুলিশ সদস্যদের।

তবে সে কথার হাল আমলে ব্যত্যয় ঘটেছে। বেশ কয়েকটি ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের প্রভাব খাটিয়ে অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে সোর্সরা।

সম্প্রতি এমনই একজন সোর্সের অপকর্মের চিত্র উঠে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীতে মাদকের গডফাদাদের বাঁচিয়ে রাখার নেপথ্যে রয়েছে সোর্স ইমরান। ইমরান ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে পুলিশ সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে সাপ্তাহিক বা মাসিক মাসোহারা নিয়ে থাকেন। ইমরান পুলিশ সদস্যদের ভুল তথ্য সরবরাহ করে মাদক ব্যবসায়ীদের বাচিঁয়ে দেন, তার পরিবর্তে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে লিয়াজোঁ করে মাদকসেবিদের মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশে ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ আছে। মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশে ধরিয়ে দেবে বলে অনেক সাধারণ মানুষের কাছে থেকে চাদাবাজীও করে বলে অভিযোগ আছে। নিরিহ সাধারণ মানুষদের নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ উপার্জন করায় নাকি তার পেশা বলে উল্লেখ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। তিনি আরও বলেন, সোর্সদের হাবভাবে মনে হয় তারা পুলিশের চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান।

বিজ্ঞ মহলের মতে, সোর্সদের অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য সাধারণ মানুষ যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন অপরদিকে পুলিশেরও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে এদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

<>আরও পড়ুনঃ ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনেই অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান প্রসব