ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 161

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদীতে ওএমএস ডিলার মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা আটা ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার ৩০ জানুয়ারি স্থানীয় একজন তার ‘দুরন্ত রাজ’ নামের ফেসবুকে লাইভে এ ঘটনা প্রচার করেন। ঈশ্বরদী শহরের বিমান বন্দর রোডে স্কুলপাড়া ইয়াছিন হাজির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ক্রেতারা ঐ ডিলারের দোকানে বিশৃঙখলা সৃষ্টি করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

প্রত্যদর্শীরা অভিযোগ করে বলেন, গোকুলনগর গ্রামের দরীদ্র এক নারী ১৮ টাকা কেজি দরে ওএমএস এর ডিলার মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ এর নিকট থেকে থেকে ৫ কেজি আটা কিনে স্থানীয় চপলের দোকানে ওজন করলে ওজনে কম পান। পরে তিনি সে আটা নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ডিলারের নিকট নিয়ে অভিযোগ দিলে অন্য ক্রেতারাও তাদের আটার ব্যাগ ওজন করেন।

পরে আটার ব্যাগ ওজন করে দেখা যায় সেখানে ৪ কেজি ৭৬৮ গ্রাম আটা আছে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জনগণ। এ নিয়ে ব্যাপক হৈ হুল্লোড় শুরু হলে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে দেখতে পান, ওজনে ৫০-১০০ গ্রাম কম আছে। এবিষয়ে ঐ ডিলারের নিযুক্ত কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, ওজন পরিমাপক যন্ত্রের উপর আস্তরন পড়ার কারনে হয়তো ওজনে কম হচ্ছে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে নতুন ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করলে জনগণ সন্তুষ্ট হন।

এবিষয়ে ওএমএস ডিলার মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম রতনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি সে সময় উপস্থিত ছিলাম না, পরে এসে বিশৃঙ্খলা দেখে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। তিনি ওজন কম দেওয়ার বিষয়ে বলেন, আমার জানামতে ওজনে কম দেওয়া হয় না, আমার কর্মচারী আমাকে জানিয়েছে মেশিনে আটার আস্তরন পড়ার কারনে ওজনে কম হচ্ছিল, পরে আমি মেশিন পরিবর্তন করে দিয়েছি। আর এখানে ডিজিটাল মেশিনে ওজনে কত কেজি উঠছে দেখা যায় আপনারা দেখে নিবেন, পরে বাসা থেকে এসে বলবেন ওজনে কম এটা কেমন কথা। জনতার বিক্ষুব্ধ হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, দেখেন আমার এখানে ১ টন আটা বরাদ্দ আছে যা আমি ২০০ জনকে দিতে পারি, অথচ লোকসংখ্যা থাকে ৩০০ উপরে। সল্প আয়ের মানুষ সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে লাইনে দাঁড়ায় সল্প মূল্যে পন্য ক্রয়ের জন্য, অথচ দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়ে থেকেও যখন পন্য পান না তখন তাদের মানসিক অবস্থা কেমন হতে পারে?

বিশৃঙ্খলা এড়াতে কি করা প্রয়োজন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার লোক সংখ্যার তুলোনায় বরাদ্দ অপ্রতুল, যদি আটার বরাদ্দ ১ টনে পরিবর্তে ২ টন করা হয় তাহলে সকলকে আমরা পন্য দিতে পারব।

এবিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস দৈনিক স্বতঃকণ্ঠকে জানান, ঐ ওএমএস পয়েন্টে বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, তবে আমরা তাৎক্ষনিক তার সমধান করা দিয়েছি এখ আর কোন সমস্যা নাই।

আরও পড়ুনঃ ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনেই অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান প্রসব

ঈশ্বরদীতে ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ০৬:০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদীতে ওএমএস ডিলার মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা আটা ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার ৩০ জানুয়ারি স্থানীয় একজন তার ‘দুরন্ত রাজ’ নামের ফেসবুকে লাইভে এ ঘটনা প্রচার করেন। ঈশ্বরদী শহরের বিমান বন্দর রোডে স্কুলপাড়া ইয়াছিন হাজির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ক্রেতারা ঐ ডিলারের দোকানে বিশৃঙখলা সৃষ্টি করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

প্রত্যদর্শীরা অভিযোগ করে বলেন, গোকুলনগর গ্রামের দরীদ্র এক নারী ১৮ টাকা কেজি দরে ওএমএস এর ডিলার মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ এর নিকট থেকে থেকে ৫ কেজি আটা কিনে স্থানীয় চপলের দোকানে ওজন করলে ওজনে কম পান। পরে তিনি সে আটা নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ডিলারের নিকট নিয়ে অভিযোগ দিলে অন্য ক্রেতারাও তাদের আটার ব্যাগ ওজন করেন।

পরে আটার ব্যাগ ওজন করে দেখা যায় সেখানে ৪ কেজি ৭৬৮ গ্রাম আটা আছে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জনগণ। এ নিয়ে ব্যাপক হৈ হুল্লোড় শুরু হলে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে দেখতে পান, ওজনে ৫০-১০০ গ্রাম কম আছে। এবিষয়ে ঐ ডিলারের নিযুক্ত কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, ওজন পরিমাপক যন্ত্রের উপর আস্তরন পড়ার কারনে হয়তো ওজনে কম হচ্ছে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে নতুন ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করলে জনগণ সন্তুষ্ট হন।

এবিষয়ে ওএমএস ডিলার মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম রতনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি সে সময় উপস্থিত ছিলাম না, পরে এসে বিশৃঙ্খলা দেখে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। তিনি ওজন কম দেওয়ার বিষয়ে বলেন, আমার জানামতে ওজনে কম দেওয়া হয় না, আমার কর্মচারী আমাকে জানিয়েছে মেশিনে আটার আস্তরন পড়ার কারনে ওজনে কম হচ্ছিল, পরে আমি মেশিন পরিবর্তন করে দিয়েছি। আর এখানে ডিজিটাল মেশিনে ওজনে কত কেজি উঠছে দেখা যায় আপনারা দেখে নিবেন, পরে বাসা থেকে এসে বলবেন ওজনে কম এটা কেমন কথা। জনতার বিক্ষুব্ধ হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, দেখেন আমার এখানে ১ টন আটা বরাদ্দ আছে যা আমি ২০০ জনকে দিতে পারি, অথচ লোকসংখ্যা থাকে ৩০০ উপরে। সল্প আয়ের মানুষ সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে লাইনে দাঁড়ায় সল্প মূল্যে পন্য ক্রয়ের জন্য, অথচ দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়ে থেকেও যখন পন্য পান না তখন তাদের মানসিক অবস্থা কেমন হতে পারে?

বিশৃঙ্খলা এড়াতে কি করা প্রয়োজন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার লোক সংখ্যার তুলোনায় বরাদ্দ অপ্রতুল, যদি আটার বরাদ্দ ১ টনে পরিবর্তে ২ টন করা হয় তাহলে সকলকে আমরা পন্য দিতে পারব।

এবিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস দৈনিক স্বতঃকণ্ঠকে জানান, ঐ ওএমএস পয়েন্টে বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, তবে আমরা তাৎক্ষনিক তার সমধান করা দিয়েছি এখ আর কোন সমস্যা নাই।

আরও পড়ুনঃ ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনেই অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান প্রসব