ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

জুয়ার আসরে চাঁদা দাবির ঘটনায় ইউপি মেম্বারের অস্ত্রের মহড়া

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:২৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 164

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদীতে একটি জুয়ার আসরে চাঁদা দাবি করায় দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তিলকপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ সরদারের ছেলে শাহিন রানা মাসুম সর্দারের মার্কেটে চাঁদা দাবি করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মার্কেট মালিক শাহিন রানা মাসুম।

তিনি জানান, তিলকপুরে মোড়ে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত সরদার মার্কেটের মালিক তিনি। ব্যবসার সুবাদে মাঝে মাঝে ঢাকায় যাতায়াত করতে হয়। আমার অনুপস্থিতিতে তিলকপুর গ্রামের ইয়ারুল ফরাজী নামের এক ব্যক্তি ঐসব প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা দাবি করেন।

শনিবার চাঁদা না দেওয়ায় কয়েকজন দোকানদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ইয়ারুল। ঘটনা শুনে মার্কেট মালিক শাহিন রানা মাসুম এগিয়ে আসলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয় ইয়ারুলের। পরে শাহিন রানা তার মার্কেটের মূল গেটের ভেতরে নিয়ে ইয়ারুল ফরাজীকে মারপিট করেন। এসময় ইয়ারুলের ভাই সুজন ও শাহিন রানার পিতা সোনাউল্লাহ এগিয়ে আসলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে শাহিন রানা ইয়ারুল ফরাজীর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় একটি চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ দেন।

তবে ঘটনার উল্টো ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইয়ারুল ফরাজী। চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, শাহিন রানার মার্কেটে রাত হলেই নিয়মিত জুয়া খেলা হয়। প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার জুয়ার বোর্ড থেকে শাহিন রানা ঘর ভাড়া বাবদ ২ হাজার ও মাহবুব মেম্বার ১ হাজার টাকা করে নেন।

আমি সাংবাদিকদের এসব তথ্য দিয়েছি এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকে শাহিন আমাকে মারধর করছে। পরে আমি নিজেই বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

তবে জুয়া খেলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শাহিন রানা, তিনি বলেন আমার জানা মতে আমার মার্কেটে কোন জুয়া খেলা হয় না। তবে আমি নিয়মিত এখানে থাকি না। আমার মার্কেটের দোকানদার ভুলু সহ কয়েকজন সময় কাটানোর জন্য হয়তো মাঝে-মাঝে খেলতে পারে।

অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান দৈনিক স্বতঃকণ্ঠকে জানান, উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে যাবার সময় মাহাবুল মেম্বারের পথরোধ করে ইয়ারুল ফরাজী তাকে মারধরের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছেন মাহবুবুল ইসলাম। এই ঘটনার পরপরই পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে তিলকপুর মোড়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় প্রতিপক্ষদের।

ঘটনার খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিলকপুর গ্রামে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

জুয়ার আসরে চাঁদা দাবির ঘটনায় ইউপি মেম্বারের অস্ত্রের মহড়া

প্রকাশিত সময় ০৯:২৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদীতে একটি জুয়ার আসরে চাঁদা দাবি করায় দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তিলকপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ সরদারের ছেলে শাহিন রানা মাসুম সর্দারের মার্কেটে চাঁদা দাবি করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মার্কেট মালিক শাহিন রানা মাসুম।

তিনি জানান, তিলকপুরে মোড়ে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত সরদার মার্কেটের মালিক তিনি। ব্যবসার সুবাদে মাঝে মাঝে ঢাকায় যাতায়াত করতে হয়। আমার অনুপস্থিতিতে তিলকপুর গ্রামের ইয়ারুল ফরাজী নামের এক ব্যক্তি ঐসব প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা দাবি করেন।

শনিবার চাঁদা না দেওয়ায় কয়েকজন দোকানদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ইয়ারুল। ঘটনা শুনে মার্কেট মালিক শাহিন রানা মাসুম এগিয়ে আসলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয় ইয়ারুলের। পরে শাহিন রানা তার মার্কেটের মূল গেটের ভেতরে নিয়ে ইয়ারুল ফরাজীকে মারপিট করেন। এসময় ইয়ারুলের ভাই সুজন ও শাহিন রানার পিতা সোনাউল্লাহ এগিয়ে আসলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে শাহিন রানা ইয়ারুল ফরাজীর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় একটি চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ দেন।

তবে ঘটনার উল্টো ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইয়ারুল ফরাজী। চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, শাহিন রানার মার্কেটে রাত হলেই নিয়মিত জুয়া খেলা হয়। প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার জুয়ার বোর্ড থেকে শাহিন রানা ঘর ভাড়া বাবদ ২ হাজার ও মাহবুব মেম্বার ১ হাজার টাকা করে নেন।

আমি সাংবাদিকদের এসব তথ্য দিয়েছি এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকে শাহিন আমাকে মারধর করছে। পরে আমি নিজেই বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

তবে জুয়া খেলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শাহিন রানা, তিনি বলেন আমার জানা মতে আমার মার্কেটে কোন জুয়া খেলা হয় না। তবে আমি নিয়মিত এখানে থাকি না। আমার মার্কেটের দোকানদার ভুলু সহ কয়েকজন সময় কাটানোর জন্য হয়তো মাঝে-মাঝে খেলতে পারে।

অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান দৈনিক স্বতঃকণ্ঠকে জানান, উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে যাবার সময় মাহাবুল মেম্বারের পথরোধ করে ইয়ারুল ফরাজী তাকে মারধরের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছেন মাহবুবুল ইসলাম। এই ঘটনার পরপরই পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে তিলকপুর মোড়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় প্রতিপক্ষদের।

ঘটনার খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিলকপুর গ্রামে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।