দীপার প্রশ্নবিদ্ধ আত্মহত্যা ও সরকারি হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শামীমের প্রতিবাদ
- প্রকাশিত সময় ০৮:৩৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
- / 178
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ শফিকুল ইসলাম শামীমের মালাকানাধীন হাসপাতালের আনুমানিক ১০০ মিটারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত আলো জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ পত্রিকায় “দীপার প্রশ্নবিদ্ধ আত্মহত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবী পরিবারের” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তার প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিটি দৈনিক স্বতঃকন্ঠ’র দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদটির শিরোনাম উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পরবর্তী অংশে তিনি তার পেশাগত দক্ষতা, চিকিৎসা সেবা ও করোনাকালীন সময়ে তার অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তৎপরবর্তী অংশে তিনি আত্মহত্যাকারী দীপা মেয়েটি তার(ডাঃ শামীম) নাম ব্যবহার করে টাকা লেনদেন বা সন্দেহ করা হচ্ছে যা সঠিক নয় এবং তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোন কিছু প্রকাশ করে না। দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ সংবাদের এ অংশটি ডাঃ শামীমের ফেসবুক আইডিতে গত ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি পোস্ট থেকে নেওয়া। তার পোস্টের লেখাগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো-
***IMPORTANT NOTICE***
***গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট***
আলো জেনারেল হাসপাতালের দীপা নামে মেয়েটি আর চাকরি করে না। তার সাথে আলো জেনারেল হাসপাতাল এর আর কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ কোন প্রকার টাকা লেনদেন করলে আমি বা আলো জেনারেল হাসপাতাল দায়ী থাকবে না।
***আলো জেনারেল হাসপাতাল।
তাঁর ফেসবুকে প্রকাশিত এই পোস্ট পরবর্তীতে দীপার আত্মহত্যা এবং পাওনাদারদের বক্তব্যের ভিত্তিতে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ উক্ত বক্তব্য প্রকাশ করে যা মূলত ডাঃ শামীমেরই বক্তব্য।
অথচ দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে প্রকাশের পর তিনি তার নিজের বক্তব্যেরই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন যা আমাদের বোধগম্য নয়।
দীপার আত্মাহুতি, বিশাল অংকের অর্থের দেনা, পরিবারের বিচার দাবি, এত টাকা কোথায় গেল, এবং পুলিশের মামলা রজুতে বিলম্বতা নিয়ে জনমনে নানা ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জনসাধারণ বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। প্রশ্নবিদ্ধ মৃত দীপার পরিবারের পক্ষ থেকেও বিচার দাবি করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ চাঞ্চল্যকর এই আত্মহত্যার প্রেক্ষিতে ঘটে যাওয়া ঘটনার সত্য প্রকাশের স্বার্থে এর শালীন অংশটুকুই প্রকাশ করেছে। বিশাল অংকের টাকা দীপা কাকে কেন দিয়েছে জনমনে এই ধুম্রজাল এখনো কাটেনি। স্বতঃকণ্ঠের সাংবাদিকবৃন্দ একজন দরিদ্র রিক্সাচালকের মেয়ে দীপার উপরে পাওনাদারদের বিপুল অংকের টাকার দাবির সত্য উদঘাটনে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। এবং এ ধরনের অনুসন্ধান দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করে।