ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার সাঁথিয়ায় ওএমএস বিক্রয়কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন, ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২
  • / 150

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় ওএমএসের মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রয়কেন্দ্র গুলোতে সাধারণ মানুষের সাড়ি দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় চাল ও আটা কিনতে না পেরে খালি হাতে অনেকেই ফিরছেন। সে জন্যই ওএমএসের বরাদ্দ ও বিক্রয়কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি সাধারান মানুষের।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, চাল ও আটা বরাদ্দ বাড়ানোর নিদের্শনা এখনো আসেনি, তাই এ মুহুর্তে বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, গত ৪ জানুয়ারী থেকে সাঁথিয়া পৌর এলাকার কালিবাড়ির সামনে, দৌলতপুর ব্রীজের নিকট, বোয়াইলমারী মাদরাসা গেটের সামনে ও গোপিনাথপুর বাজারে ৪ জন ডিলারের মাধ্যামে চাল ও আট বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রত্যেক ডিলার ২০০ জনকে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রি করছেন। একজন ডিলার প্রতিদিন খাদ্য গুদাম থেকে ১ টন চাল ও ১টন আটা উত্তোলন করে থাকেন।

চাল ও আটা কিনতে আসা লাইনে দাঁড়িয়া থাকা একাধিক ক্রেতা জানান, বাজারে ধান, চাল, আটাসহ ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রমশ বাড়ায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় স্বল্প আয়ের খেটে থাওয়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে ভোগ্যপণ। তাই সাধারণ মানুষ বাজারে বেশী দামে চাল ও আটা কিনতে পারছেন না।

উপজেলার নন্দনপুর গ্রাম থেকে আসা ফজর আলী বলেন, বাজারে এক কেজি মোটা চালের দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এত টাকা দিয়ে চাল কিনব কী করে। তাই সরকারী চালের জন্য অনেক দুর থেকে এখানে এসেছি।

অন্যদিকে সাঁথিয়া পৌর এলাকার শশীদয়া গ্রামের মাহিরন বেওয়া বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি তাতের কাজ করি। সারাদিনে এক শত থেকে দেড় শত টাকা আয় হয়। এ টাকা দিয়ে বাজার থেকে চাল কিনলে অন্য কোন কিছু করা যায় না। তাই ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল ও আটা কিনি। কোন কোন দিন কিনতে পারি আবার কিনতে পারি না। তখন খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। গরিব মানুষের সংখ্যা বেশী, তাই চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।

নওয়ানী পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, আমি একজন অপারেশনের রোগি। বেশী সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। ডিলারদের অনুরোধ করেও আজ আটা না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। ছেলে মেয়েদের সকালে কি খাওয়াবো এই চিন্তায দিশেহারা হয়ে পরেছি। তিনি আরো বলেন, অসুস্থ্য ব্যক্তিদের পৃথকভাবে চাল, আটা দেওযার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে আমার মত অসুস্থ্য, প্রতিবন্ধিদের এত কষ্ট করতে হবে না।

পৌর এলাকার ওএসএমের ডিলার মুক্তার হোসেন বলেন, ওএমএসের পন্য নিতে প্রতিদিনই মানুষের ভীড় বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম খাকায় পন্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অনেককে। তবে সরকার চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ালে আরো অনেক গরিব মানুষই সুফল পেত। তিনি আরো বলেন, চালের চাহিদার চেয়ে আটার চাহিদা একটু বেশী। ১টন আটা নিমেষেই শেষ হয়ে যায়। তাই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহিনুর আলম বলেন, চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানোর নির্দেশনা এথনো আসেনি। তাই এই মুহুর্তে চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। আমরা বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছি। বরাদ্দ বাড়ানো হলে ডিলারদের চাল ও আটার পরিমান বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

পাবনার সাঁথিয়ায় ওএমএস বিক্রয়কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন, ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে

প্রকাশিত সময় ০৮:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় ওএমএসের মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রয়কেন্দ্র গুলোতে সাধারণ মানুষের সাড়ি দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় চাল ও আটা কিনতে না পেরে খালি হাতে অনেকেই ফিরছেন। সে জন্যই ওএমএসের বরাদ্দ ও বিক্রয়কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি সাধারান মানুষের।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, চাল ও আটা বরাদ্দ বাড়ানোর নিদের্শনা এখনো আসেনি, তাই এ মুহুর্তে বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, গত ৪ জানুয়ারী থেকে সাঁথিয়া পৌর এলাকার কালিবাড়ির সামনে, দৌলতপুর ব্রীজের নিকট, বোয়াইলমারী মাদরাসা গেটের সামনে ও গোপিনাথপুর বাজারে ৪ জন ডিলারের মাধ্যামে চাল ও আট বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রত্যেক ডিলার ২০০ জনকে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রি করছেন। একজন ডিলার প্রতিদিন খাদ্য গুদাম থেকে ১ টন চাল ও ১টন আটা উত্তোলন করে থাকেন।

চাল ও আটা কিনতে আসা লাইনে দাঁড়িয়া থাকা একাধিক ক্রেতা জানান, বাজারে ধান, চাল, আটাসহ ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রমশ বাড়ায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় স্বল্প আয়ের খেটে থাওয়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে ভোগ্যপণ। তাই সাধারণ মানুষ বাজারে বেশী দামে চাল ও আটা কিনতে পারছেন না।

উপজেলার নন্দনপুর গ্রাম থেকে আসা ফজর আলী বলেন, বাজারে এক কেজি মোটা চালের দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এত টাকা দিয়ে চাল কিনব কী করে। তাই সরকারী চালের জন্য অনেক দুর থেকে এখানে এসেছি।

অন্যদিকে সাঁথিয়া পৌর এলাকার শশীদয়া গ্রামের মাহিরন বেওয়া বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি তাতের কাজ করি। সারাদিনে এক শত থেকে দেড় শত টাকা আয় হয়। এ টাকা দিয়ে বাজার থেকে চাল কিনলে অন্য কোন কিছু করা যায় না। তাই ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল ও আটা কিনি। কোন কোন দিন কিনতে পারি আবার কিনতে পারি না। তখন খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। গরিব মানুষের সংখ্যা বেশী, তাই চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।

নওয়ানী পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, আমি একজন অপারেশনের রোগি। বেশী সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। ডিলারদের অনুরোধ করেও আজ আটা না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। ছেলে মেয়েদের সকালে কি খাওয়াবো এই চিন্তায দিশেহারা হয়ে পরেছি। তিনি আরো বলেন, অসুস্থ্য ব্যক্তিদের পৃথকভাবে চাল, আটা দেওযার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে আমার মত অসুস্থ্য, প্রতিবন্ধিদের এত কষ্ট করতে হবে না।

পৌর এলাকার ওএসএমের ডিলার মুক্তার হোসেন বলেন, ওএমএসের পন্য নিতে প্রতিদিনই মানুষের ভীড় বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম খাকায় পন্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অনেককে। তবে সরকার চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ালে আরো অনেক গরিব মানুষই সুফল পেত। তিনি আরো বলেন, চালের চাহিদার চেয়ে আটার চাহিদা একটু বেশী। ১টন আটা নিমেষেই শেষ হয়ে যায়। তাই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহিনুর আলম বলেন, চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানোর নির্দেশনা এথনো আসেনি। তাই এই মুহুর্তে চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। আমরা বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছি। বরাদ্দ বাড়ানো হলে ডিলারদের চাল ও আটার পরিমান বাড়িয়ে দেওয়া হবে।