ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় ৬ শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে ইশকুল, কিন্তু কীভাবে?

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
  • / 108

খয়ের বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

খয়ের বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ফজলুল হক, পাবনা
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ রাত, ১১ এপ্রিল ২০২২


কথায় আছে ‘দুষ্টু গরুরচে’ শূণ্য গোয়াল ভাল’ – সেই রকম ঘটনা তো না। পাবনা সদর উপজেলা ভাঁড়ারায় ১৯৯০ সালে স্থাপিত হয় খয়ের বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রথম পর্যায়ে স্কুলটি খুব সুনামের সাথে চলেছিলো, বর্তমান দুর্বিষহ অবস্থা।

শ্রেণী কক্ষে ২/৩ জন আর শিক্ষক শিক্ষিকা ছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বিদ্যালয়টি প্রতিদিন দুই শিফট করে প্ররিচালিত হলেও উপস্থিতি হাতেগোণা চার থেকে ছয় জনের বেশি নয়। অথচ্য এবছর পাঁচটি শ্রেণী বিভক্ত করে ১১০ জন ছাত্র-ছাত্রী খাতা কলমে ভর্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি, সরকারি দেওয়া স্কুল ড্রেস টিফিনসহ নানা শিক্ষা অনুষঙ্গ দিয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখতে খাতা কলমে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখানো হয়। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ চার জন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরাও ঠিক মত আসেন না। স্কুল কমিটির সভাপতি ভাগ্নে ও প্রধান শিক্ষক মামা হওয়ায় নানা দূর্নীতি কারণেই এই অবস্থা স্কুলটির, অভিযোগ স্থানীয়দের।

নাম বলতে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সচেতন ব্যাক্তি বলেন, ভাই আমি মাঝে মাঝে ঐ স্কুলে যাই, গিয়ে দেখি স্যাররা পায়ের উপর পা তুলে ঘুমাচ্ছে। কিছু বলার নাই কারণ ছাত্র-ছাত্রী তো নাই। এ বিষয়ে খয়ের বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান শিক্ষক মোঃ মোতাহার হোসেনসহ শিক্ষককেরা জানান, আমাদের ইশকুলের পাশে মাদ্রাসা আর কিন্ডার গার্ডেন রয়েছে এবং করোনা অতিমারির কারণে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি একটু কম হয়।

প্রধান শিক্ষক আরো জানান, তার বোনের ছেলে ঐ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মুনছুর রহমান এর সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা না বলে, ঐ খয়ের বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান শিক্ষক মোঃ মোতাহার হোসেন এর মুঠোফোনে ফোন দিয়ে কথা বলেন এবং এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি খোঁজ খবর নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আরও পড়ুনঃ

পাবনায় ৬ শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে ইশকুল, কিন্তু কীভাবে?

প্রকাশিত সময় ০৫:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
খয়ের বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ফজলুল হক, পাবনা
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ রাত, ১১ এপ্রিল ২০২২


কথায় আছে ‘দুষ্টু গরুরচে’ শূণ্য গোয়াল ভাল’ – সেই রকম ঘটনা তো না। পাবনা সদর উপজেলা ভাঁড়ারায় ১৯৯০ সালে স্থাপিত হয় খয়ের বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রথম পর্যায়ে স্কুলটি খুব সুনামের সাথে চলেছিলো, বর্তমান দুর্বিষহ অবস্থা।

শ্রেণী কক্ষে ২/৩ জন আর শিক্ষক শিক্ষিকা ছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বিদ্যালয়টি প্রতিদিন দুই শিফট করে প্ররিচালিত হলেও উপস্থিতি হাতেগোণা চার থেকে ছয় জনের বেশি নয়। অথচ্য এবছর পাঁচটি শ্রেণী বিভক্ত করে ১১০ জন ছাত্র-ছাত্রী খাতা কলমে ভর্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি, সরকারি দেওয়া স্কুল ড্রেস টিফিনসহ নানা শিক্ষা অনুষঙ্গ দিয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখতে খাতা কলমে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখানো হয়। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ চার জন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরাও ঠিক মত আসেন না। স্কুল কমিটির সভাপতি ভাগ্নে ও প্রধান শিক্ষক মামা হওয়ায় নানা দূর্নীতি কারণেই এই অবস্থা স্কুলটির, অভিযোগ স্থানীয়দের।

নাম বলতে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সচেতন ব্যাক্তি বলেন, ভাই আমি মাঝে মাঝে ঐ স্কুলে যাই, গিয়ে দেখি স্যাররা পায়ের উপর পা তুলে ঘুমাচ্ছে। কিছু বলার নাই কারণ ছাত্র-ছাত্রী তো নাই। এ বিষয়ে খয়ের বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান শিক্ষক মোঃ মোতাহার হোসেনসহ শিক্ষককেরা জানান, আমাদের ইশকুলের পাশে মাদ্রাসা আর কিন্ডার গার্ডেন রয়েছে এবং করোনা অতিমারির কারণে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি একটু কম হয়।

প্রধান শিক্ষক আরো জানান, তার বোনের ছেলে ঐ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মুনছুর রহমান এর সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা না বলে, ঐ খয়ের বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান শিক্ষক মোঃ মোতাহার হোসেন এর মুঠোফোনে ফোন দিয়ে কথা বলেন এবং এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি খোঁজ খবর নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আরও পড়ুনঃ