ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার চাটমোহর কৃষি অফিসে ব্যাপক অনিয়ম

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:২০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
  • / 49

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিসে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহর ব্যাপক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, বৈষম্য নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন চাটমোহরের হাজার হাজার কৃষক।

অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসছে এসব তথ্য। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তিনি নিজের ইচ্ছে মতো রাজস্ব খাতের গমের ফলোআপের বীজ বিতরণ করেছেন।

২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে গমের ১১ টি প্রদর্শনী স্থাপন করলেও উক্ত ৬ ইউনিয়নের কোন কৃষককেই ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ফলো আপের বীজ দেওয়া হয়নি।

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং খামার বাড়ি ঢাকার পরিচালক একেএম মনিরুল আলম কতৃপক্ষ ১৬ মার্চ ২০২১ তারিখে ১২.০১.০০০০.০০৫.৪১.০১০.১৯-২০ (৪র্থ খন্ড)

স্মারকে স্বাক্ষরিত ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রদর্শনী স্থাপন ও ফলোআপ কার্যক্রম বাস্তবায়নের নীতিমালা সূতে জানা যায়, প্রতি ব্লকে বিদ্যমান ১২ টি কৃষক গ্রুপের মাধ্যমে প্রদর্শনী ও ফলোআপ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রথম গ্রুপ, ২০২১-২২ অর্থ বছরে দ্বিতীয় গ্রুপ, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে তৃতীয় গ্রুপ এভাবে পর্যায়ক্রমে নতুন গ্রুপের মাধ্যমে প্রদর্শনী স্থাপন করতে হবে।

২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষক ও উক্ত কৃষক গ্রুপের ৩০ জন কৃষকই ২০২০-২১ অর্থ বছরে বীজ সহায়তা পাবার কথা ছিল। তদ্রুপ ভাবে গ্রহন করণ কার্যক্রমের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষকসহ ফসলের আনুপাতিক হারে গ্রুপের ৩০ জন কৃষকই চলমান ২০২১-২২ অর্থ বছরে বীজ সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে বিলচলন ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের রহমত সরকারের ছেলে আশরাফ হোসেন, দড়িপাড়া গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে জাফর আলী,

হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘলবাড়ি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মিলন হোসেন, দরাপপুর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, নিমাইচড়া ইউনিয়নের চিনাভাতকুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে ইয়ার খান সেতু,

বিন্যাবাড়ি গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে আজাদ, ফৈলজানা ইউনিয়নের ইদিলপুরের লোকমান হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলাম, ছাইকোলা ইউনিয়নের ছাইকোলা দক্ষিণ পাড়ার দেলবার হোসেনের ছেলে আয়নাল হক,

কুকড়াগাড়ি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোতালেব হোসেন এবং পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সেলিম মাহমুদ ও মল্লিকবাইন গ্রামের নজির উদ্দিনের ছেলে খাইরুল ইসলামকে গমের প্রদর্শনী দেওয়া হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী এ ছয়টি ইউনিয়নের ১১ টি প্রদর্শনীর আওতার প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষকসহ গ্রুপের সবাই ২০২১-২২ অর্থ বছরে ফলোআপের ১৫ কেজি করে গম বীজ পাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু  এ ছয় ইউনিয়নের কোন কৃষককেই গমের ফলোআপের বীজ দেওয়া হয়নি। ২০২০-২১ অর্থ বছরে গমের প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষক ছাইকোলা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আয়নাল হক জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরে তিনি বা তার গ্রুপের কোন কৃষককে গমের বীজ দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ১১টি প্রদর্শনীর ৩৩০ জন কৃষকের জন্য তো বরাদ্দ আসে না। এবার ফলোআপ গমের বীজ বিতরণের জন্য বরাদ্দ এসেছে ১২০ জনের।

আমরা সেই অনুপাতে বিতরণ করেছি। সবাইকে দেয়া সম্ভব হয় না। আবার প্রদর্শণী কৃষক গ্রুপের মধ্যে ফলোআপ বীজ বিতরণের কথা থাকলেও, সবাইকে সেটা দিতে পারি না। কারণ অনেক কৃষক করতে চায় না।

তখন গ্রুপের বাইরের কৃষকদেরও দিতে হয়। এটা নীতিমালার মধ্যে পরে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় নীতিমালা অনুসরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি পাবনার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান জানান, আমি সরকারি কাজে বাইরে যাচ্ছি। খোঁজ নিয়ে পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

আরও পড়ুনঃ পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ১৪ গ্রাম হেরোইন সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

পাবনার চাটমোহর কৃষি অফিসে ব্যাপক অনিয়ম

প্রকাশিত সময় ০৮:২০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিসে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহর ব্যাপক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, বৈষম্য নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন চাটমোহরের হাজার হাজার কৃষক।

অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসছে এসব তথ্য। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তিনি নিজের ইচ্ছে মতো রাজস্ব খাতের গমের ফলোআপের বীজ বিতরণ করেছেন।

২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে গমের ১১ টি প্রদর্শনী স্থাপন করলেও উক্ত ৬ ইউনিয়নের কোন কৃষককেই ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ফলো আপের বীজ দেওয়া হয়নি।

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং খামার বাড়ি ঢাকার পরিচালক একেএম মনিরুল আলম কতৃপক্ষ ১৬ মার্চ ২০২১ তারিখে ১২.০১.০০০০.০০৫.৪১.০১০.১৯-২০ (৪র্থ খন্ড)

স্মারকে স্বাক্ষরিত ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রদর্শনী স্থাপন ও ফলোআপ কার্যক্রম বাস্তবায়নের নীতিমালা সূতে জানা যায়, প্রতি ব্লকে বিদ্যমান ১২ টি কৃষক গ্রুপের মাধ্যমে প্রদর্শনী ও ফলোআপ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রথম গ্রুপ, ২০২১-২২ অর্থ বছরে দ্বিতীয় গ্রুপ, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে তৃতীয় গ্রুপ এভাবে পর্যায়ক্রমে নতুন গ্রুপের মাধ্যমে প্রদর্শনী স্থাপন করতে হবে।

২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষক ও উক্ত কৃষক গ্রুপের ৩০ জন কৃষকই ২০২০-২১ অর্থ বছরে বীজ সহায়তা পাবার কথা ছিল। তদ্রুপ ভাবে গ্রহন করণ কার্যক্রমের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষকসহ ফসলের আনুপাতিক হারে গ্রুপের ৩০ জন কৃষকই চলমান ২০২১-২২ অর্থ বছরে বীজ সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে বিলচলন ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের রহমত সরকারের ছেলে আশরাফ হোসেন, দড়িপাড়া গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে জাফর আলী,

হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘলবাড়ি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মিলন হোসেন, দরাপপুর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, নিমাইচড়া ইউনিয়নের চিনাভাতকুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে ইয়ার খান সেতু,

বিন্যাবাড়ি গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে আজাদ, ফৈলজানা ইউনিয়নের ইদিলপুরের লোকমান হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলাম, ছাইকোলা ইউনিয়নের ছাইকোলা দক্ষিণ পাড়ার দেলবার হোসেনের ছেলে আয়নাল হক,

কুকড়াগাড়ি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোতালেব হোসেন এবং পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সেলিম মাহমুদ ও মল্লিকবাইন গ্রামের নজির উদ্দিনের ছেলে খাইরুল ইসলামকে গমের প্রদর্শনী দেওয়া হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী এ ছয়টি ইউনিয়নের ১১ টি প্রদর্শনীর আওতার প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষকসহ গ্রুপের সবাই ২০২১-২২ অর্থ বছরে ফলোআপের ১৫ কেজি করে গম বীজ পাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু  এ ছয় ইউনিয়নের কোন কৃষককেই গমের ফলোআপের বীজ দেওয়া হয়নি। ২০২০-২১ অর্থ বছরে গমের প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষক ছাইকোলা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আয়নাল হক জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরে তিনি বা তার গ্রুপের কোন কৃষককে গমের বীজ দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ১১টি প্রদর্শনীর ৩৩০ জন কৃষকের জন্য তো বরাদ্দ আসে না। এবার ফলোআপ গমের বীজ বিতরণের জন্য বরাদ্দ এসেছে ১২০ জনের।

আমরা সেই অনুপাতে বিতরণ করেছি। সবাইকে দেয়া সম্ভব হয় না। আবার প্রদর্শণী কৃষক গ্রুপের মধ্যে ফলোআপ বীজ বিতরণের কথা থাকলেও, সবাইকে সেটা দিতে পারি না। কারণ অনেক কৃষক করতে চায় না।

তখন গ্রুপের বাইরের কৃষকদেরও দিতে হয়। এটা নীতিমালার মধ্যে পরে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় নীতিমালা অনুসরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি পাবনার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান জানান, আমি সরকারি কাজে বাইরে যাচ্ছি। খোঁজ নিয়ে পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

আরও পড়ুনঃ পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ১৪ গ্রাম হেরোইন সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার