ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল চালু হবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
  • / 105

ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হতে ২০২৩ সাল লেগে গেলেও ওই বছর সেপ্টেম্বর নাগাদ টার্মিনালটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী

ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হতে ২০২৩ সাল লেগে গেলেও ওই বছর সেপ্টেম্বর নাগাদ টার্মিনালটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। ছবি: সংগৃহীত



স্বতঃকণ্ঠ নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৬ রাত, এপ্রিল ১৩, ২০২২

সোমবার দুপুরে দেশের প্রধান এ বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, কোভিড মহামারীর মধ্যেও শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। ৮ এপ্রিল ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বাস্তবে হয়েছে এর চেয়ে বেশি; ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ। কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশিত লক্ষ্যের চেয়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ এগিয়ে আছে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আশাবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হলে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।“

টার্মিনালের পাশাপাশি বিমানবন্দরে হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজও দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিজুর রহমান।

বর্তমানে এ কাজের জন্য শাহজালালে রাত ১২টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ রয়েছে। গত ১১ মার্চ থেকে এ কাজ শুরু হওয়ার পর এ অবস্থা আগামী ১০ জুন পর্যন্ত চলবে। এ বিষয়ে গত ২২ নভেম্বর নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) জারি করা হয়েছে।

তবে ওই কাজ মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে জানিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, “কাজটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন হলে এ বিমানবন্দরে অনেক উড়োজাহাজ আসবে রানওয়েতে। বিমানবন্দরে রানওয়ে একটি। তাই উড়োজাহাজ রানওয়েতে থাকার স্থায়িত্ব যাতে কম হয়, দ্রুততার সঙ্গে যেন তা পার্ক করতে পারে- এজন্য দুটি অতিরিক্ত হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

“পরিকল্পনা ছিল জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ করার। কিন্তু কাজটি এই মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।”

শাহজালাল বিমানবন্দরের নতুন রাডার স্থাপনের কাজও শুরু হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

এসময় তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে টার্মিনাল প্রবেশের টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজটি কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে তখন এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে টার্মিনালকে যুক্ত করতে হবে।

“আর টানেল আশকোনা হজ ক্যাম্প পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন।“

এ প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমরা দেখব। যেটা সামঞ্জস্য ব্যয়, সেটাই দেখা হবে।

মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইটের টিকিটের ‘গলাকাটা’ দাম প্রসঙ্গে মাহবুব আলী বলেন, “এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে বসে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। বিমানের টিকেটের বেশি দামের সমস্যাটি ধীরে ধীরে কমে আসছে। এক মাসের মধ্যে আরও কমে আসবে।”

এবারের হজ মৌসুমে ৩০ থেকে ৫০ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরব যেতে পারবেন- এ বিষয়ে প্রস্তুতি কেমন, বিমান ভাড়া বাড়বে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা বিমান ভাড়া সহনশীল পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করব।“





আরও পড়ুনঃ

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল চালু হবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে

প্রকাশিত সময় ০১:০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হতে ২০২৩ সাল লেগে গেলেও ওই বছর সেপ্টেম্বর নাগাদ টার্মিনালটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। ছবি: সংগৃহীত



স্বতঃকণ্ঠ নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৬ রাত, এপ্রিল ১৩, ২০২২

সোমবার দুপুরে দেশের প্রধান এ বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, কোভিড মহামারীর মধ্যেও শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। ৮ এপ্রিল ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বাস্তবে হয়েছে এর চেয়ে বেশি; ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ। কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশিত লক্ষ্যের চেয়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ এগিয়ে আছে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আশাবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হলে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।“

টার্মিনালের পাশাপাশি বিমানবন্দরে হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজও দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিজুর রহমান।

বর্তমানে এ কাজের জন্য শাহজালালে রাত ১২টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ রয়েছে। গত ১১ মার্চ থেকে এ কাজ শুরু হওয়ার পর এ অবস্থা আগামী ১০ জুন পর্যন্ত চলবে। এ বিষয়ে গত ২২ নভেম্বর নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) জারি করা হয়েছে।

তবে ওই কাজ মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে জানিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, “কাজটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন হলে এ বিমানবন্দরে অনেক উড়োজাহাজ আসবে রানওয়েতে। বিমানবন্দরে রানওয়ে একটি। তাই উড়োজাহাজ রানওয়েতে থাকার স্থায়িত্ব যাতে কম হয়, দ্রুততার সঙ্গে যেন তা পার্ক করতে পারে- এজন্য দুটি অতিরিক্ত হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

“পরিকল্পনা ছিল জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ করার। কিন্তু কাজটি এই মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।”

শাহজালাল বিমানবন্দরের নতুন রাডার স্থাপনের কাজও শুরু হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

এসময় তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে টার্মিনাল প্রবেশের টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজটি কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে তখন এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে টার্মিনালকে যুক্ত করতে হবে।

“আর টানেল আশকোনা হজ ক্যাম্প পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন।“

এ প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমরা দেখব। যেটা সামঞ্জস্য ব্যয়, সেটাই দেখা হবে।

মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইটের টিকিটের ‘গলাকাটা’ দাম প্রসঙ্গে মাহবুব আলী বলেন, “এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে বসে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। বিমানের টিকেটের বেশি দামের সমস্যাটি ধীরে ধীরে কমে আসছে। এক মাসের মধ্যে আরও কমে আসবে।”

এবারের হজ মৌসুমে ৩০ থেকে ৫০ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরব যেতে পারবেন- এ বিষয়ে প্রস্তুতি কেমন, বিমান ভাড়া বাড়বে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা বিমান ভাড়া সহনশীল পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করব।“





আরও পড়ুনঃ