পাবনার চাটমোহরের বোঁথর মহাদেব মন্দির প্রাঙ্গনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটী
- প্রকাশিত সময় ১১:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
- / 61
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ভারতে অনেক ধর্মের মানুষ বাস করে। বাংলাদেশেও কয়েকটি ধর্মের মানুষ বাস করে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নিকটতম প্রতিবেশী।
এ দুটি দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। চাটমোহর সম্প্রীতির শহর। এখানে বহু বছর ধরে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছে। এক সাথে ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে।
১৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরে পাবনার চাটমোহরের বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর গ্রামে শ্রী শ্রী মহাদেব পূজা (চড়ক পূজা) ও মেলা উপলক্ষে আয়েজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার রাজশাহী সঞ্জীব কুমার ভাটী।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পূজা ও মেলা উদযাপন কমিটি তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন। শ্রী শ্রী মহাদেব মন্দিরের সভাপতি বিরেন্দ্র নাথ দাসের সভাপতিত্বে এবং
রাজীব কুমার বিশ্বাস রাজুর সঞ্চালনায় এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে চাটমোহর পৌরসভার মেয়র এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখো, চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম,
চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম নজরুল ইসলাম, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি রকিবুর রহমান টুকুন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক চক্রবর্ত্তী, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দত্ত চৈতন্য, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাইদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় চাটমোহর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইছাহক আলী মানিক, চাটমোহর থানার ওসি তদন্ত হাসান বাসীরসহ বিভিন্ন ইউনয়নের পূজা উদযাপন পরিষদের নের্তৃবৃন্দ ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কয়েক শত বছর যাবত চাটমোহরের বোঁথরে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা চলে আসছে। চড়ক পূজা উপলক্ষে এ বছরও গত ৭ এপ্রিল মেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। ১৩ এপ্রিল পুকুর থেকে চড়ক গাছ উত্তোলন করে মন্দির প্রাঙ্গনে আনা হয়েছে।
সকাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত হাজার হাজার ভক্ত চড়ক গাছে অর্ঘ্য নিবেদন করেন। এ পূজা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গনে তিনদিন ব্যাপী মেলা শুরু হয়েছে। সাত দিন পর উল্টো চড়ক ঘুড়ানো ও পূজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে চড়ক পূজার আনুষ্ঠানিকতা।