ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শুরু হল ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:২৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
  • / 57

তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা আগামী ১৫-১৭ এপ্রিল শুক্রবার হতে রবিবার পর্যন্ত হতে যাচ্ছে। প্রাচীনকাল থেকেই উপজেলা বারুহাস ইউনিয়নের বারুহাস গ্রামে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

এলাকার মুরব্বীদের নিকট থেকে জানা গেছে, এই চাঁদের পুর্নিমা রাতে জমিদার আমলে গড়ে উঠা চলনবিলের ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা প্রতি বছর হয় ।

কোভিট ১৯ মহামারী করোনার কারনে গত ২ বছর এই মেলা বন্ধ থাকা পর এবার হতে যাচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা যা বর্তমান বারুহাস মেলা নামে পরিচিত।

এর অবস্থান তাড়াশ উপজেলার ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে ও সিংড়া উপজেলার ১৫ কিলোমিটার পূবে বারুহাস গ্রামে। সিরাজগঞ্জ ,পাবনা,বগুড়া ও নাটোর জেলার পাশর্বর্তী জনগন এই মেলা আসাকে কেন্দ্র করে ১ মাস আগে থেকেই বাড়িতে বাড়িতে লেপা ,

পরিস্কার পরিচ্ছন্ন , খৈই ,মুড়ি,ঝুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরতো। প্রত্যেকেই নিজ নিজ আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করা, জামাই ঝি আনাসহ উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হতো।

স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত এ মেলার আসা উপলক্ষে জনগনের মাঝে উৎসব,উদ্দিপনা সৃষ্টি হতো। যুবক ছেলে মেয়েদের মনে আনন্দ হতো।

কারণ এ মেলায় সার্কাস,যাত্রাভিনয়,নাগোর দোলা,বাইসস্কোপ,ঘোড়ার দৌড়সহ নানা আয়োজন হতো। ছোট ছেলেরা ঘুড়ি কিনে আকাশে উড়ানোর অপেক্ষায় দিন গুনতো।

আর ছোট মেয়েরা খেলনা হাড়ি পাতিল কিনে বান্ধবীদের সাথে খেলবে এই অপেক্ষায় প্রহর গুনে গুনে থাকতো। অনেক দুর দুরান্তের জনগন ও শৌখিন দর্শনার্থীরা মহিষ ও গরুর গাড়ীর বহর নিয়ে মেলায় এসে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় করে নিয়ে যেত।

মেলার আশে পাশের স্থানীয় সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে ,বারুহাস মেলা ছিল আশে পাশের সকল গ্রামের মানুষের সব চেয়ে বড় উৎসব। জামাইদের উপঢোকন দেওয়া ছিল এ মেলার সব চেয়ে বড় ঐতিহ্য।

শশুড় বাড়ির উপঢোকন পেয়ে জামাইরা মাছ,মাংস ও রঙিন হাড়িতে মিষ্টি কিনে শশুড় বাড়িতে ফিরতেন। এ জন্য এই মেলা জামাই মেলা নামেও পরিচিত হয়ে উঠেছিল।

এছাড়াও প্রাত বাড়িতে বাড়িতে আগামী ১ বছরের জন্য সংসারের সকল জিসিনপত্র কিনে রাখতেন। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে মেলার গতিশীলতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

এখন মেলার জৌলুস একেবারেই কমে গেছে। সেই মেলার উৎসব শুধু এখন বারুহাস সহ আশেপাশের গ্রাাম কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

এছাড়াও মেলার নির্ধারিত জায়গা সংকট, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব সহ নানা কারনে এ মেলার অবস্থান দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে
থাকলে এক সময় প্রায় ২শ বছরের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে।

আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে এমপি তানভীর ইমামের চেক বিতরণ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শুরু হল ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা

প্রকাশিত সময় ০৮:২৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২

তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা আগামী ১৫-১৭ এপ্রিল শুক্রবার হতে রবিবার পর্যন্ত হতে যাচ্ছে। প্রাচীনকাল থেকেই উপজেলা বারুহাস ইউনিয়নের বারুহাস গ্রামে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

এলাকার মুরব্বীদের নিকট থেকে জানা গেছে, এই চাঁদের পুর্নিমা রাতে জমিদার আমলে গড়ে উঠা চলনবিলের ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা প্রতি বছর হয় ।

কোভিট ১৯ মহামারী করোনার কারনে গত ২ বছর এই মেলা বন্ধ থাকা পর এবার হতে যাচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী ভাদাই মেলা যা বর্তমান বারুহাস মেলা নামে পরিচিত।

এর অবস্থান তাড়াশ উপজেলার ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে ও সিংড়া উপজেলার ১৫ কিলোমিটার পূবে বারুহাস গ্রামে। সিরাজগঞ্জ ,পাবনা,বগুড়া ও নাটোর জেলার পাশর্বর্তী জনগন এই মেলা আসাকে কেন্দ্র করে ১ মাস আগে থেকেই বাড়িতে বাড়িতে লেপা ,

পরিস্কার পরিচ্ছন্ন , খৈই ,মুড়ি,ঝুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরতো। প্রত্যেকেই নিজ নিজ আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করা, জামাই ঝি আনাসহ উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হতো।

স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত এ মেলার আসা উপলক্ষে জনগনের মাঝে উৎসব,উদ্দিপনা সৃষ্টি হতো। যুবক ছেলে মেয়েদের মনে আনন্দ হতো।

কারণ এ মেলায় সার্কাস,যাত্রাভিনয়,নাগোর দোলা,বাইসস্কোপ,ঘোড়ার দৌড়সহ নানা আয়োজন হতো। ছোট ছেলেরা ঘুড়ি কিনে আকাশে উড়ানোর অপেক্ষায় দিন গুনতো।

আর ছোট মেয়েরা খেলনা হাড়ি পাতিল কিনে বান্ধবীদের সাথে খেলবে এই অপেক্ষায় প্রহর গুনে গুনে থাকতো। অনেক দুর দুরান্তের জনগন ও শৌখিন দর্শনার্থীরা মহিষ ও গরুর গাড়ীর বহর নিয়ে মেলায় এসে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় করে নিয়ে যেত।

মেলার আশে পাশের স্থানীয় সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে ,বারুহাস মেলা ছিল আশে পাশের সকল গ্রামের মানুষের সব চেয়ে বড় উৎসব। জামাইদের উপঢোকন দেওয়া ছিল এ মেলার সব চেয়ে বড় ঐতিহ্য।

শশুড় বাড়ির উপঢোকন পেয়ে জামাইরা মাছ,মাংস ও রঙিন হাড়িতে মিষ্টি কিনে শশুড় বাড়িতে ফিরতেন। এ জন্য এই মেলা জামাই মেলা নামেও পরিচিত হয়ে উঠেছিল।

এছাড়াও প্রাত বাড়িতে বাড়িতে আগামী ১ বছরের জন্য সংসারের সকল জিসিনপত্র কিনে রাখতেন। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে মেলার গতিশীলতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

এখন মেলার জৌলুস একেবারেই কমে গেছে। সেই মেলার উৎসব শুধু এখন বারুহাস সহ আশেপাশের গ্রাাম কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

এছাড়াও মেলার নির্ধারিত জায়গা সংকট, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব সহ নানা কারনে এ মেলার অবস্থান দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে
থাকলে এক সময় প্রায় ২শ বছরের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে।

আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে এমপি তানভীর ইমামের চেক বিতরণ