ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
  • / 63

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পাকুড়িয়া ইউনিয়নে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ প্যাকেজ কাজের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে রাজশাহীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রধিকার ভিত্তিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি’র প্রচেষ্টায় পদ্মা নদীর বাম তীরের স্থাপনাসমূহ ভাঙন হতে রক্ষার জন্য ৭২২ কোটি ২৪ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়।

প্রকল্প অনুমোদনের পর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ও গোকুলপুর এবং চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ও রাওথা এলাকায় ৪.৩ কিলোমিটার নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ, বাঘা উপজেলার আলাইপুর এলাকায় এক কিলোমিটার বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ,

৮০০ মিটার নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ পুনর্বাসন, আলাইপুর থেকে চকরাজাপুর পর্যন্ত ১২.১ কিলোমিটার পদ্মা নদীর ড্রেজিং কাজ শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ৫,৬,৭,৮,৯ ও ১০ নম্বর প্যাকেজের কাজে চরম অনিয়ম হচ্ছে বলে রাজশাহীর পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে, জিও ব্যাগ ভরাট করার ক্ষেত্রে মোটা বালি ব্যবহার করার কথা রয়েছে অথচ নিম্নমানের পঁচা ধুলাযুক্ত বালি দিয়ে জিও ব্যাগ ভরাট করা হচ্ছে। যা প্রকল্পের কাজের অনিয়ম ও হুমকি স্বরুপ।

এছাড়া নদীর পানিতে যে পরিমান বস্তা ড্রাম্পিং করার কথা সেখানেও অনিয়ম হচ্ছে। ফলে পদ্মা নদী রক্ষা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে পদ্মার তীরবর্তী গোকুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও নাপিতপাড়া গ্রামের ভানু বেগম বলেন, ভাঙ্গনের কবলে পড়ে কয়েক বছরে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি, বসত ভিটা, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্টান।

এছাড়া অনেকেই ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বহারা হয়েছে। ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করতে আমাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় বাঁধ নির্মান কাজ শুরু হয়েছে।

ফলে আমরা এখন স্বস্তিতে রয়েছি। কিন্তু অনিয়মভাবে বাঁধের কাজ করলে টেকসঁই হবেনা। বাঁধ টেকসই করতে স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের ম্যানেজার তানভীর আহম্মেদ বলেন,

পদ্মা নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ, বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ পুনর্বাসন, ড্রেজিং ভাল হচ্ছে। কিন্তু কিছু মানুষ ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মানখুন্ন করার জন্য বিভিন্নভাবে অভিযোগ করছেন।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন,এবিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে ভুয়া দলিল ব্যবহার করে মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ০৯:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পাকুড়িয়া ইউনিয়নে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ প্যাকেজ কাজের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে রাজশাহীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রধিকার ভিত্তিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি’র প্রচেষ্টায় পদ্মা নদীর বাম তীরের স্থাপনাসমূহ ভাঙন হতে রক্ষার জন্য ৭২২ কোটি ২৪ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়।

প্রকল্প অনুমোদনের পর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ও গোকুলপুর এবং চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ও রাওথা এলাকায় ৪.৩ কিলোমিটার নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ, বাঘা উপজেলার আলাইপুর এলাকায় এক কিলোমিটার বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ,

৮০০ মিটার নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ পুনর্বাসন, আলাইপুর থেকে চকরাজাপুর পর্যন্ত ১২.১ কিলোমিটার পদ্মা নদীর ড্রেজিং কাজ শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ৫,৬,৭,৮,৯ ও ১০ নম্বর প্যাকেজের কাজে চরম অনিয়ম হচ্ছে বলে রাজশাহীর পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে, জিও ব্যাগ ভরাট করার ক্ষেত্রে মোটা বালি ব্যবহার করার কথা রয়েছে অথচ নিম্নমানের পঁচা ধুলাযুক্ত বালি দিয়ে জিও ব্যাগ ভরাট করা হচ্ছে। যা প্রকল্পের কাজের অনিয়ম ও হুমকি স্বরুপ।

এছাড়া নদীর পানিতে যে পরিমান বস্তা ড্রাম্পিং করার কথা সেখানেও অনিয়ম হচ্ছে। ফলে পদ্মা নদী রক্ষা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে পদ্মার তীরবর্তী গোকুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও নাপিতপাড়া গ্রামের ভানু বেগম বলেন, ভাঙ্গনের কবলে পড়ে কয়েক বছরে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি, বসত ভিটা, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্টান।

এছাড়া অনেকেই ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বহারা হয়েছে। ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করতে আমাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় বাঁধ নির্মান কাজ শুরু হয়েছে।

ফলে আমরা এখন স্বস্তিতে রয়েছি। কিন্তু অনিয়মভাবে বাঁধের কাজ করলে টেকসঁই হবেনা। বাঁধ টেকসই করতে স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের ম্যানেজার তানভীর আহম্মেদ বলেন,

পদ্মা নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ, বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ পুনর্বাসন, ড্রেজিং ভাল হচ্ছে। কিন্তু কিছু মানুষ ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মানখুন্ন করার জন্য বিভিন্নভাবে অভিযোগ করছেন।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন,এবিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে ভুয়া দলিল ব্যবহার করে মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন