ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

চাটমোহরে বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদন হচ্ছে কুমড়ো বড়ি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:২৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৮
  • / 96

চাটমোহর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহর উপজেলার দোলং গ্রামে ঢুকলেই চোখে পড়ে রোদে চাটাইয়ের ওপর সারি সারি বিছানো সাদা ও হলুদ রংয়ের মাসকালাই ও এ্যাংকর ডালের কুমড়ো বড়ি। কেউ শুকানো বড়গুলা চাটাই থেকে খুলছেন, আবার কেউ বড়ি তৈরি করে শুকাতে দিচ্ছেন। দোলং গ্রাম এখন কুমড়ো বড়ির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই গ্রামের নারী-পুরুষ এখন কুমড়ো বড়ি তৈরি, শুকানো আর বিক্রির সাথে জড়িত।

এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এ বড়ি চলে যাচ্ছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে চাটমোহরের কুমড়ো বড়ি সুদূর আমেরিকাতেও যাচ্ছে। চাটমোহরের বেশ কিছু যুবক ডিবি লটারীর কল্যাণে এখন আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা। এলাকার স্বজনরা সেখানে পাঠাচ্ছেন এই সুস্বাদু বড়ি। চাটমোহর পৌর শহরের আংশিক আর বিলচলন ইউনিয়নের আংশিক এলাকা নিয়ে দোলং গ্রাম। এ গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এ মৌসুমে তৈরি হয় কুমড়ো বড়ি। শতাধিক পরিবার এই কুমড়ো বড়ি তৈরি ও বিক্রির সাথে জড়িত।

কুমড়ো বড়ি মুলতঃ শীতকালের একটি সুস্বাদু আকর্ষনীয় খাবার। বর্তমানে দোলং গ্রামের শিশু, নারী-পুরুষ বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। শীতের ছয় মাস চলে এই বড়ি তৈরির কাজ। দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। বড়ি তৈরির সব উপকরণই পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ। এতে ভেজাল বলে কিছু নেই। শীতকালে যে কোন তরকারিতেই এই বড়ি ব্যবহার করা যায়।

পাবনা জেলার মধ্যে দোলং গ্রামেই কেবল বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে কুমড়ো বড়ি। কুমড়ো বড়ি তৈরির সাথে জড়িত দোলং গ্রামের স্বপ্না রানী, বেলা ভৌমিক, শেফালী মন্ডলসহ অন্যরা জানান, এই বড়ি মুলতঃ মাসকলালাইয়ের ডাল, চাল কুমড়ো, জিরা, কালো জিরা, মেহেদী দিয়ে তৈরি করা হয়। আবার ছোলা বা এ্যাংকর ডাল দিয়েও বড়ি তৈরি করা হয়ে থাকে। বড়ি বিক্রেতা গৌতম সরকার, হজরত আলী, সুনীল সরকার জানালেন, ভালো মানের বড়ি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা থেকে ৩শ” টাকা বিক্রি করা হয়।

এছাড়া ১৫০ টাকা কেজি দরেও এই বড়ি বিক্রি হয়। তারা জানান, দেশের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে লালমনিরহাট, জয়পুরহাট, দিনাজপর, রংপুর ও দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এই কুমড়ো বড়ি চলে যাচ্ছে। বেপারী এসে বড়ি নিয়ে যান। শীতকাল হচ্ছে কুমড়ো বড়ির মৌসুম। তারা জানালেন ডাল পানিতে ভিজিয়ে মেশিনে গুড়া করা হয় এবং অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে বাড়ির নারীরা এই বড়ি তৈরি করে থাকেন।

চাটমোহরের কুমড়ো বড়ির সুনাম রয়েছে। শতাধিক পরিবার এই বড়ি তৈরি ও বিক্রি করে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছে। এই বড়ি প্রতিনিয়ত চালান হচ্ছে দেশজুড়ে।

চাটমোহরে বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদন হচ্ছে কুমড়ো বড়ি

প্রকাশিত সময় ০৭:২৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

চাটমোহর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহর উপজেলার দোলং গ্রামে ঢুকলেই চোখে পড়ে রোদে চাটাইয়ের ওপর সারি সারি বিছানো সাদা ও হলুদ রংয়ের মাসকালাই ও এ্যাংকর ডালের কুমড়ো বড়ি। কেউ শুকানো বড়গুলা চাটাই থেকে খুলছেন, আবার কেউ বড়ি তৈরি করে শুকাতে দিচ্ছেন। দোলং গ্রাম এখন কুমড়ো বড়ির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই গ্রামের নারী-পুরুষ এখন কুমড়ো বড়ি তৈরি, শুকানো আর বিক্রির সাথে জড়িত।

এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এ বড়ি চলে যাচ্ছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে চাটমোহরের কুমড়ো বড়ি সুদূর আমেরিকাতেও যাচ্ছে। চাটমোহরের বেশ কিছু যুবক ডিবি লটারীর কল্যাণে এখন আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা। এলাকার স্বজনরা সেখানে পাঠাচ্ছেন এই সুস্বাদু বড়ি। চাটমোহর পৌর শহরের আংশিক আর বিলচলন ইউনিয়নের আংশিক এলাকা নিয়ে দোলং গ্রাম। এ গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এ মৌসুমে তৈরি হয় কুমড়ো বড়ি। শতাধিক পরিবার এই কুমড়ো বড়ি তৈরি ও বিক্রির সাথে জড়িত।

কুমড়ো বড়ি মুলতঃ শীতকালের একটি সুস্বাদু আকর্ষনীয় খাবার। বর্তমানে দোলং গ্রামের শিশু, নারী-পুরুষ বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। শীতের ছয় মাস চলে এই বড়ি তৈরির কাজ। দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। বড়ি তৈরির সব উপকরণই পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ। এতে ভেজাল বলে কিছু নেই। শীতকালে যে কোন তরকারিতেই এই বড়ি ব্যবহার করা যায়।

পাবনা জেলার মধ্যে দোলং গ্রামেই কেবল বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে কুমড়ো বড়ি। কুমড়ো বড়ি তৈরির সাথে জড়িত দোলং গ্রামের স্বপ্না রানী, বেলা ভৌমিক, শেফালী মন্ডলসহ অন্যরা জানান, এই বড়ি মুলতঃ মাসকলালাইয়ের ডাল, চাল কুমড়ো, জিরা, কালো জিরা, মেহেদী দিয়ে তৈরি করা হয়। আবার ছোলা বা এ্যাংকর ডাল দিয়েও বড়ি তৈরি করা হয়ে থাকে। বড়ি বিক্রেতা গৌতম সরকার, হজরত আলী, সুনীল সরকার জানালেন, ভালো মানের বড়ি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা থেকে ৩শ” টাকা বিক্রি করা হয়।

এছাড়া ১৫০ টাকা কেজি দরেও এই বড়ি বিক্রি হয়। তারা জানান, দেশের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে লালমনিরহাট, জয়পুরহাট, দিনাজপর, রংপুর ও দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এই কুমড়ো বড়ি চলে যাচ্ছে। বেপারী এসে বড়ি নিয়ে যান। শীতকাল হচ্ছে কুমড়ো বড়ির মৌসুম। তারা জানালেন ডাল পানিতে ভিজিয়ে মেশিনে গুড়া করা হয় এবং অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে বাড়ির নারীরা এই বড়ি তৈরি করে থাকেন।

চাটমোহরের কুমড়ো বড়ির সুনাম রয়েছে। শতাধিক পরিবার এই বড়ি তৈরি ও বিক্রি করে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছে। এই বড়ি প্রতিনিয়ত চালান হচ্ছে দেশজুড়ে।