ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পদ্মা নদী তীরবর্তী নাটোর ঈশ্বরদী প্রভৃতি অঞ্চলগুলোতে বালু নিয়ে অবৈধ কারবার

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:১৩:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০২২
  • / 175

 





সম্পাদকীয়

প্রকাশিত: ০৫:০৪ সকাল, এপ্রিল ১৫, ২০২২

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বালু উত্তোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক মো. আবু সাঈদ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে এই নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া, লালপুরের অপর নদীগুলো থেকে বালু উত্তোলন করা হলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের কার্য সহকারী রাজু আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আগামী ৫ জুনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে পদ্মার লাখ লাখ টাকার বালু লুট হওয়ার সংবাদ প্রচার হলে তা আদালতের দৃষ্টিগোচর হয় এবং তা আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ।’

প্রাথমিক অনুসন্ধানে কারা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন আদালত। এ ছাড়া তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তকালে আসামিদের শনাক্ত, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচিপত্র প্রস্তুতের পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে তা জব্দ করার নির্দেশ দেন।

আদেশে নাটোরের লালপুরের ওপর দিয়ে বহমান অন্য যেকোনো নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে তা বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতের আমলে নেওয়া গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রভাবশালীরা নদী থেকে প্রতিদিন অন্তত ৭০টি ড্রাম ট্রাকে করে বালু তুলে নিচ্ছে এবং বালু পরিবহনের জন্য চরের কৃষি জমি নষ্ট করে ৪ কিলোমিটার লম্বা রাস্তাও বানানো হয়েছে। এ ছাড়াও বালু উত্তোলনের কারণে আগামী বর্ষায় কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, অপরদিকে পরিবর্তন হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে নদীর গতিপথেও। অনেক সময় সরকারি প্রকল্পে বালু ভরাটের নামে লিজ ছাড়াই নদী থেকে বালু তুলে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব ঘটনায় জড়িতদের যে পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে এবং যে অপরাধের বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা নিরূপণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ নিয়েছেন আদালত।

পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি এখনও হাতে পাইনি। আদেশের কপি হাতে পেলে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে।’

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘আদালতের আদেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘আদালতের আদেশ দু-একদিন পর হাতে পেতে পারি। আদেশ পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আমরা নাটোর আদালতের এই আদেশের পক্ষে শতভাগ একমত, কেননা পদ্মা নদী তীরবর্তী নাটোর, ঈশ্বরদী প্রভৃতি অঞ্চলগুলোতে বালু নিয়ে অবৈধ কারবার চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।



 

 আরও পড়ুনঃ

পদ্মা নদী তীরবর্তী নাটোর ঈশ্বরদী প্রভৃতি অঞ্চলগুলোতে বালু নিয়ে অবৈধ কারবার

প্রকাশিত সময় ০৫:১৩:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০২২

 





সম্পাদকীয়

প্রকাশিত: ০৫:০৪ সকাল, এপ্রিল ১৫, ২০২২

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বালু উত্তোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক মো. আবু সাঈদ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে এই নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া, লালপুরের অপর নদীগুলো থেকে বালু উত্তোলন করা হলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের কার্য সহকারী রাজু আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আগামী ৫ জুনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে পদ্মার লাখ লাখ টাকার বালু লুট হওয়ার সংবাদ প্রচার হলে তা আদালতের দৃষ্টিগোচর হয় এবং তা আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ।’

প্রাথমিক অনুসন্ধানে কারা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন আদালত। এ ছাড়া তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তকালে আসামিদের শনাক্ত, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচিপত্র প্রস্তুতের পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে তা জব্দ করার নির্দেশ দেন।

আদেশে নাটোরের লালপুরের ওপর দিয়ে বহমান অন্য যেকোনো নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে তা বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতের আমলে নেওয়া গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রভাবশালীরা নদী থেকে প্রতিদিন অন্তত ৭০টি ড্রাম ট্রাকে করে বালু তুলে নিচ্ছে এবং বালু পরিবহনের জন্য চরের কৃষি জমি নষ্ট করে ৪ কিলোমিটার লম্বা রাস্তাও বানানো হয়েছে। এ ছাড়াও বালু উত্তোলনের কারণে আগামী বর্ষায় কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, অপরদিকে পরিবর্তন হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে নদীর গতিপথেও। অনেক সময় সরকারি প্রকল্পে বালু ভরাটের নামে লিজ ছাড়াই নদী থেকে বালু তুলে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব ঘটনায় জড়িতদের যে পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে এবং যে অপরাধের বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা নিরূপণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ নিয়েছেন আদালত।

পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি এখনও হাতে পাইনি। আদেশের কপি হাতে পেলে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে।’

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘আদালতের আদেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘আদালতের আদেশ দু-একদিন পর হাতে পেতে পারি। আদেশ পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আমরা নাটোর আদালতের এই আদেশের পক্ষে শতভাগ একমত, কেননা পদ্মা নদী তীরবর্তী নাটোর, ঈশ্বরদী প্রভৃতি অঞ্চলগুলোতে বালু নিয়ে অবৈধ কারবার চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।



 

 আরও পড়ুনঃ