ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের আরও খবর

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:৪০:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • / 147

পাবনা-জেলা-প্রশাসন

রোববার দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ছবি:স্বতঃকণ্ঠ



রফিকুল ইসলাম সুইট, পাবনা

প্রকাশিত: ০৩:২৬ রাত, এপ্রিল ১৭, ২০২২


যথাযোগ্য মর্যাদায় পাবনায় উদযাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। রোববার পাবনা জেলা প্রশাসন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন দিবনটি পালন করে।

জেলা প্রশাসন
রোববার দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে প্রামান্য চিত্র, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করেন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন, পাবনা জেলা পরিষদেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান, বিআরডিবির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশেদুল কবীর, বাসস প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, সহকারী কমিশনার হাফিজুর রহমান প্রমূখ।

জেলা আওয়ামী লীগ


দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে এসব কর্মসুচীতে অংশ গ্রহন করেন, আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় ভুষন রায়, এ্যাড, তসলিম হাসান সুমন, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক উল আলম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুর নাহার রেখা, জেলা যুবলীগের সভাপতি এ্যাড. আরেফা খানম শেফালী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু, সাবেক ছাত্র নেতা মোস্তাক আহমেদ আজাদ প্রমূখ।

জেলা তথ্য অফিসের আয়োজন
জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে পাবনা আরএম একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও চরচ্চিত্র প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়। জেলা তথ্য কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকন প্রমূখ।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
দিবসটি উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের প্রধান অনুষ্ঠান ছিল মূলত পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যথাযোগ্য মর্যাদায় রবিবার মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। দুপর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জনক জ্যোতির্ময়’ এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এ সময় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিকে একত্রিত করার জন্য অস্থায়ী সরকার গঠনের প্রয়োজন দেখা দেয়। তৎকালীন নেতৃত্বের দক্ষতায় অল্পসময়েই অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। ১৭ এপ্রিল সেই সরকারের শপথের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধকে সঠিক দিকনির্দেশনায় পরিচালিত করেন। ফলে অল্প সময়ে বাঙালির বিজয় অর্জিত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের ভ‚মিকা অন্যতম। সেদিনের শপথের ধারাবাহিকতায় আমরা পেযেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। অস্থায়ী সরকার গঠনের মাধ্যমে দ্রুত মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সারাবিশ্বে জনমত গঠিত হয়। এই সরকারের মাধ্যমে সারাবিশ্বের রাষ্ট্রসমূহ জানতে পারে পাকহানাদের বর্বরতা। একপর্যায়ে অনেক দেশ এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। আমরা মুজিবনগর সরকারের আদর্শ ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেব। জাতীয় চারনেতাকে আমরা সবসময় স্মরণ করব। তাঁদের দেখানো পথ অনুসরণ করব।

এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 আরও পড়ুনঃ

এই রকম আরও টপিক

পাবনায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের আরও খবর

প্রকাশিত সময় ০৩:৪০:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
রোববার দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ছবি:স্বতঃকণ্ঠ



রফিকুল ইসলাম সুইট, পাবনা

প্রকাশিত: ০৩:২৬ রাত, এপ্রিল ১৭, ২০২২


যথাযোগ্য মর্যাদায় পাবনায় উদযাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। রোববার পাবনা জেলা প্রশাসন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন দিবনটি পালন করে।

জেলা প্রশাসন
রোববার দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে প্রামান্য চিত্র, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করেন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন, পাবনা জেলা পরিষদেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান, বিআরডিবির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশেদুল কবীর, বাসস প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, সহকারী কমিশনার হাফিজুর রহমান প্রমূখ।

জেলা আওয়ামী লীগ


দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে এসব কর্মসুচীতে অংশ গ্রহন করেন, আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় ভুষন রায়, এ্যাড, তসলিম হাসান সুমন, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক উল আলম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুর নাহার রেখা, জেলা যুবলীগের সভাপতি এ্যাড. আরেফা খানম শেফালী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু, সাবেক ছাত্র নেতা মোস্তাক আহমেদ আজাদ প্রমূখ।

জেলা তথ্য অফিসের আয়োজন
জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে পাবনা আরএম একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও চরচ্চিত্র প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়। জেলা তথ্য কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকন প্রমূখ।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
দিবসটি উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের প্রধান অনুষ্ঠান ছিল মূলত পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যথাযোগ্য মর্যাদায় রবিবার মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। দুপর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জনক জ্যোতির্ময়’ এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এ সময় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিকে একত্রিত করার জন্য অস্থায়ী সরকার গঠনের প্রয়োজন দেখা দেয়। তৎকালীন নেতৃত্বের দক্ষতায় অল্পসময়েই অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। ১৭ এপ্রিল সেই সরকারের শপথের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধকে সঠিক দিকনির্দেশনায় পরিচালিত করেন। ফলে অল্প সময়ে বাঙালির বিজয় অর্জিত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের ভ‚মিকা অন্যতম। সেদিনের শপথের ধারাবাহিকতায় আমরা পেযেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। অস্থায়ী সরকার গঠনের মাধ্যমে দ্রুত মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সারাবিশ্বে জনমত গঠিত হয়। এই সরকারের মাধ্যমে সারাবিশ্বের রাষ্ট্রসমূহ জানতে পারে পাকহানাদের বর্বরতা। একপর্যায়ে অনেক দেশ এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। আমরা মুজিবনগর সরকারের আদর্শ ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেব। জাতীয় চারনেতাকে আমরা সবসময় স্মরণ করব। তাঁদের দেখানো পথ অনুসরণ করব।

এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 আরও পড়ুনঃ