ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দূর্নীতির মামলার জন্য হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দিচ্ছে না মাদ্রাসার অধ্যক্ষ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:১৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • / 45

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দুই প্রতারক মিষ্টি ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছে

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দূর্নীতির মামলা তুলে না নেয়ায় শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটিয়ে চলেছেন, শাহজাদপুরের উপজেলার করশালিকা রহমানিয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী মিয়া। শুধু তাই নয়, স্বাক্ষর না করতে দেয়া শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়;’র নিয়মিত বেতনও কর্তন করছেন তিনি।

জানা গেছে, উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রায় ৬ বছর আগে তার একক স্বাক্ষরে সোনালী ব্যাংক, শাহজাদপুর শাখার ব্যাংক হিসাব হতে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৪শ’  টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন।

যে কারণে মাদ্রাসার গভর্ণিং বডি পর্যায়ক্রমে বিধি মোতাবেক তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে। পাশাপাশি বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়;কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানসহ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইদ্রিস আলী মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করারও দায়িত্ব দেন।

বাকী বিল্লাহ সে অনুযায়ী মামলাও করছেন। মামলাটি ইতোমধ্যেই চার্জ গঠনসহ আদালতে বিচারাধীন আছে। এদিকে মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির মেয়াদ শেষ হয় ২০-১০-২০১৮ খ্রিঃ তারিখে।

পরবর্তীতে গভর্ণিং বডি না থাকায় এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়;কে চার্জ বুঝে না দিয়ে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ জোরপূর্বক বিধি বহির্ভূতভাবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন এবং এ পর্যন্তও পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু, আদালতে মামলা চলমান আছে।

মাঝে কোভিড-১৯ (করোনা) এর কারণে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। সরকারি সিন্ধান্ত অনুযায়ী গত ২২-০২-২০২২ খ্রি: তারিখ হতে মাদ্রাসা খুললে সকল শিক্ষক নিয়মিত মাদ্রাসায় যাচ্ছেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসও নিচ্ছেন।

তবে, সব শিক্ষককে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দিলেও বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়;কে ওই মামলা না তুলা পর্যন্ত স্বাক্ষর করতে দিবে না বলে অধ্যক্ষ সাফ জানিয়ে দেন।

শুধু তাই নয়, বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়;’র মাসিক ৪০ হাজার ৩৫২ টাকা বেতনের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১৪ হাজার ৩৩ টাকা, ফেব্রæয়ারি মাসে ১১ হাজার ২১৩ টাকা প্রদান এবং মার্চ মাসে কোন বেতনই দেননি অধ্যক্ষ।

যেকোন শিক্ষকের দূর্নীতি এবং সে কারণে বেতন কর্তনের একমাত্র কর্তৃপক্ষ গভর্ণিং বডি। অথচ, অধ্যক্ষ নিজেই যেহেতু বরখাস্তকৃত সেখানে তিনি কিভাবে শিক্ষককে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেন না এবং বেতন কর্তন করেন?

বিষয়টি দেখার জন্য অভিযোগকারী শিক্ষক বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়; সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী মিয়া বলেন, আমি কোন দূর্নীতি করিনি ওই টাকা শিক্ষকদের বেতন দিয়েছি। আমি বর্হিস্কৃত হয়নি।

কমিটির রেজ্যুলেশন আছে কিন্তু বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়; মামলা তুলে নাই সেজন্য শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দিচ্ছি না এবং বেতনও দিচ্ছি
না।

আরও পড়ুনঃ সম্মিলিত নাট্যদল পাবনার ইফতার ও দোয়া মাহফিল

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দূর্নীতির মামলার জন্য হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দিচ্ছে না মাদ্রাসার অধ্যক্ষ

প্রকাশিত সময় ১১:১৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দূর্নীতির মামলা তুলে না নেয়ায় শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটিয়ে চলেছেন, শাহজাদপুরের উপজেলার করশালিকা রহমানিয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী মিয়া। শুধু তাই নয়, স্বাক্ষর না করতে দেয়া শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়;’র নিয়মিত বেতনও কর্তন করছেন তিনি।

জানা গেছে, উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রায় ৬ বছর আগে তার একক স্বাক্ষরে সোনালী ব্যাংক, শাহজাদপুর শাখার ব্যাংক হিসাব হতে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৪শ’  টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন।

যে কারণে মাদ্রাসার গভর্ণিং বডি পর্যায়ক্রমে বিধি মোতাবেক তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে। পাশাপাশি বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়;কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানসহ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইদ্রিস আলী মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করারও দায়িত্ব দেন।

বাকী বিল্লাহ সে অনুযায়ী মামলাও করছেন। মামলাটি ইতোমধ্যেই চার্জ গঠনসহ আদালতে বিচারাধীন আছে। এদিকে মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির মেয়াদ শেষ হয় ২০-১০-২০১৮ খ্রিঃ তারিখে।

পরবর্তীতে গভর্ণিং বডি না থাকায় এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়;কে চার্জ বুঝে না দিয়ে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ জোরপূর্বক বিধি বহির্ভূতভাবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন এবং এ পর্যন্তও পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু, আদালতে মামলা চলমান আছে।

মাঝে কোভিড-১৯ (করোনা) এর কারণে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। সরকারি সিন্ধান্ত অনুযায়ী গত ২২-০২-২০২২ খ্রি: তারিখ হতে মাদ্রাসা খুললে সকল শিক্ষক নিয়মিত মাদ্রাসায় যাচ্ছেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসও নিচ্ছেন।

তবে, সব শিক্ষককে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দিলেও বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়;কে ওই মামলা না তুলা পর্যন্ত স্বাক্ষর করতে দিবে না বলে অধ্যক্ষ সাফ জানিয়ে দেন।

শুধু তাই নয়, বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়;’র মাসিক ৪০ হাজার ৩৫২ টাকা বেতনের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১৪ হাজার ৩৩ টাকা, ফেব্রæয়ারি মাসে ১১ হাজার ২১৩ টাকা প্রদান এবং মার্চ মাসে কোন বেতনই দেননি অধ্যক্ষ।

যেকোন শিক্ষকের দূর্নীতি এবং সে কারণে বেতন কর্তনের একমাত্র কর্তৃপক্ষ গভর্ণিং বডি। অথচ, অধ্যক্ষ নিজেই যেহেতু বরখাস্তকৃত সেখানে তিনি কিভাবে শিক্ষককে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেন না এবং বেতন কর্তন করেন?

বিষয়টি দেখার জন্য অভিযোগকারী শিক্ষক বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়; সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী মিয়া বলেন, আমি কোন দূর্নীতি করিনি ওই টাকা শিক্ষকদের বেতন দিয়েছি। আমি বর্হিস্কৃত হয়নি।

কমিটির রেজ্যুলেশন আছে কিন্তু বাকী বিল্লাহ্ধসঢ়; মামলা তুলে নাই সেজন্য শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দিচ্ছি না এবং বেতনও দিচ্ছি
না।

আরও পড়ুনঃ সম্মিলিত নাট্যদল পাবনার ইফতার ও দোয়া মাহফিল