ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ীদের খুঁটির জোর কোথায়

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:০৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
  • / 141

পলিথিন কারখানা

ঈশ্বরদীর একটি অবৈধ পলিথিন কারখানার ভেতরের অংশে পলিথিন রোল ও অন্যান্য মালামাল দেখা যাচ্ছে। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

 

স্বতঃকণ্ঠ নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ বিকাল, এপ্রিল ১৯, ২০২২

ঈশ্বরদীতে অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ীদের খুঁটির জোর কোথায়?

সরকারনিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব হয়ে গেছে ঈশ্বরদী বাজারসহ সারাদেশ। অথচ পরিবেশেকে স্থায়ীভাবে দূষণমুক্ত করতে পলিথিনকে বাজার থেকে সরাতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ পরিচালনা করে আসছে দেশ জুঁড়ে।

সেই সরকারী নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দাপটের সাথে পলিথিনের রমরমা উৎপাদন ও ব্যবসা পরিচালনা করে আসা ব্যবসায়ীদের খুঁটির জোর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

গত রবিবার বিকেলে ঈশ্বরদীর শৈলপাড়া এলাকায় একটি অবৈধ পলিথিন উৎপদন কারখানাকে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক তল্লাশী এবং সরকারী নীতিমালাকে অমান্য করায় কারখানার স্বত্ত্বাধীকারী মো. শিপন মালিথাকে আটক এবং কারখানা সিলগালা করার পর ঈশ্বরদীবাসীর মনে স্বস্তি প্রকাশ পেয়েছে।

শৈলপাড়া পলিথিন কারখানা সিলগালাপরবর্তীতে গিয়ে জানা যায়, এসমস্ত অবৈধ কারখানা বন্ধে চরম খুশি এলাকাবাসী। তারা বলেন, পলিথিন কারখানা বন্ধ হোক এবং পরিবেশ সুস্থ্যতা পাক সেটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু ঈশ্বরদীতে একাধিক অবৈধ পলিথিন কারখানা থাকার পরও প্রসাশন কেবল একটিকে বন্ধ করে আরেক টিকে সচল রেখে গেল এটা আমাদের কাছে পক্ষপাত তুষ্ট বলে মনে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকার নিষিদ্ধ করা পলিথিনে সয়লাব ঈশ্বরদী বাজার। ঈশ্বরদীতে দুটি বড় পলিথিন উৎপাদন কারখানা ছিল যার একটিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সিলগালা করে দিলেও আরেকটি এখনো বহাল রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলার মধ্য অরণকোলা ময়লার ভাগাড় সংলগ্ন আমির এ্যান্ড সন্স নামে একটি অবৈধ পলিথিন কারখানা রয়েছে । যার উৎপাদিত পলিথিন ঈশ্বরদী বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে রেখেছে। শুধু তাই নয় সুষ্ঠূ বাজার জাত করার জন্য ঈশ্বরদী মাছ বাজারস্থ আমিরের নিজস্ব পলিথিনের দোকান ও একাধিক গোডাউন রয়েছে বলে তিনি জানান।

এসময় অপর একজন বলেন, দেশকে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে রেখে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে এসমস্ত অবৈধ কারবার করে মালিকগণ রাতারাতি শিল্পপতি বনে গেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম আমির এ্যান্ড সন্স এর স্বত্বাধীকারী মোঃ আমির হোসেন শিকদার।

আমিরের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিতের ঘটনাও রয়েছে মর্মে একজন দৈনিক স্বতঃকন্ঠকে বলেন, মধ্য অরণকোলা (হাড়োখালী) আমির এ্যান্ড সন্স নামের একটি অবৈধ পলিথিন কারখানার সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে সরেজমিনে দেখার জন্য গেলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নানা চাপ দিয়ে আমাদের বাধাগ্রস্থসহ লাঞ্ছিত করেন আমির গংরা ।

সেসময় তারা আমিরকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতা আখ্যা দিয়ে বলেন, এখানে যা ইচ্ছে তাই করা হবে। ক্ষমতা থাকলে গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখুন বলেও সংবাদ কর্মীদের শাসিয়ে দেন।

আমির এ্যান্ড সন্স এর স্বত্বাধীকারী মোঃ আমির হোসেন শিকদার ঈশ্বরদী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক এবং আলহাজ্ব মোড় ওয়ার্কশপ সমবায় সমিতিরও উপদেষ্টা। কিছুসংখ্যক পলিথিনবান্ধব সাংবাদিকও তার পোষ্য।

মোঃ আমির হোসেন রাজনৈতিক ছত্রছায়াকে পুজি করে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে সরকারী নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার এই অবৈধ ধ্বংশাত্বক পলিথিন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন যা ওপেন সিক্রেট, জানে আমজনতা।

 

 আরও পড়ুনঃ

ঈশ্বরদীতে অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ীদের খুঁটির জোর কোথায়

প্রকাশিত সময় ০৪:০৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
ঈশ্বরদীর একটি অবৈধ পলিথিন কারখানার ভেতরের অংশে পলিথিন রোল ও অন্যান্য মালামাল দেখা যাচ্ছে। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

 

স্বতঃকণ্ঠ নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ বিকাল, এপ্রিল ১৯, ২০২২

ঈশ্বরদীতে অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ীদের খুঁটির জোর কোথায়?

সরকারনিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব হয়ে গেছে ঈশ্বরদী বাজারসহ সারাদেশ। অথচ পরিবেশেকে স্থায়ীভাবে দূষণমুক্ত করতে পলিথিনকে বাজার থেকে সরাতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ পরিচালনা করে আসছে দেশ জুঁড়ে।

সেই সরকারী নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দাপটের সাথে পলিথিনের রমরমা উৎপাদন ও ব্যবসা পরিচালনা করে আসা ব্যবসায়ীদের খুঁটির জোর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

গত রবিবার বিকেলে ঈশ্বরদীর শৈলপাড়া এলাকায় একটি অবৈধ পলিথিন উৎপদন কারখানাকে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক তল্লাশী এবং সরকারী নীতিমালাকে অমান্য করায় কারখানার স্বত্ত্বাধীকারী মো. শিপন মালিথাকে আটক এবং কারখানা সিলগালা করার পর ঈশ্বরদীবাসীর মনে স্বস্তি প্রকাশ পেয়েছে।

শৈলপাড়া পলিথিন কারখানা সিলগালাপরবর্তীতে গিয়ে জানা যায়, এসমস্ত অবৈধ কারখানা বন্ধে চরম খুশি এলাকাবাসী। তারা বলেন, পলিথিন কারখানা বন্ধ হোক এবং পরিবেশ সুস্থ্যতা পাক সেটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু ঈশ্বরদীতে একাধিক অবৈধ পলিথিন কারখানা থাকার পরও প্রসাশন কেবল একটিকে বন্ধ করে আরেক টিকে সচল রেখে গেল এটা আমাদের কাছে পক্ষপাত তুষ্ট বলে মনে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকার নিষিদ্ধ করা পলিথিনে সয়লাব ঈশ্বরদী বাজার। ঈশ্বরদীতে দুটি বড় পলিথিন উৎপাদন কারখানা ছিল যার একটিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সিলগালা করে দিলেও আরেকটি এখনো বহাল রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলার মধ্য অরণকোলা ময়লার ভাগাড় সংলগ্ন আমির এ্যান্ড সন্স নামে একটি অবৈধ পলিথিন কারখানা রয়েছে । যার উৎপাদিত পলিথিন ঈশ্বরদী বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে রেখেছে। শুধু তাই নয় সুষ্ঠূ বাজার জাত করার জন্য ঈশ্বরদী মাছ বাজারস্থ আমিরের নিজস্ব পলিথিনের দোকান ও একাধিক গোডাউন রয়েছে বলে তিনি জানান।

এসময় অপর একজন বলেন, দেশকে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে রেখে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে এসমস্ত অবৈধ কারবার করে মালিকগণ রাতারাতি শিল্পপতি বনে গেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম আমির এ্যান্ড সন্স এর স্বত্বাধীকারী মোঃ আমির হোসেন শিকদার।

আমিরের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিতের ঘটনাও রয়েছে মর্মে একজন দৈনিক স্বতঃকন্ঠকে বলেন, মধ্য অরণকোলা (হাড়োখালী) আমির এ্যান্ড সন্স নামের একটি অবৈধ পলিথিন কারখানার সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে সরেজমিনে দেখার জন্য গেলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নানা চাপ দিয়ে আমাদের বাধাগ্রস্থসহ লাঞ্ছিত করেন আমির গংরা ।

সেসময় তারা আমিরকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতা আখ্যা দিয়ে বলেন, এখানে যা ইচ্ছে তাই করা হবে। ক্ষমতা থাকলে গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখুন বলেও সংবাদ কর্মীদের শাসিয়ে দেন।

আমির এ্যান্ড সন্স এর স্বত্বাধীকারী মোঃ আমির হোসেন শিকদার ঈশ্বরদী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক এবং আলহাজ্ব মোড় ওয়ার্কশপ সমবায় সমিতিরও উপদেষ্টা। কিছুসংখ্যক পলিথিনবান্ধব সাংবাদিকও তার পোষ্য।

মোঃ আমির হোসেন রাজনৈতিক ছত্রছায়াকে পুজি করে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে সরকারী নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার এই অবৈধ ধ্বংশাত্বক পলিথিন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন যা ওপেন সিক্রেট, জানে আমজনতা।

 

 আরও পড়ুনঃ