পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধান উৎপাদন ব্যয় কমাতে পার্চিং পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে সাড়া পড়েছে
- প্রকাশিত সময় ০৩:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২
- / 43
স্টাফ রিপোর্টার: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় কৃষকেরা ধান ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার না করে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে সাড়া পড়েছে ।
ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা দমনে বাঁশের কঞ্চি বা গাছের ডাল পুঁতে পাখি বসানোর ব্যবস্থা করছেন। আর এ পদ্ধতিকে বলা হয় পার্চিং পদ্ধতি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মাঠ পর্যায়ে দিন দিন এই প্রাচীন পদ্ধতিতে ধান চাষে কীট পতঙ্গ দমনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ভোক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, এ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক পরিবেশ ভারসাম্য থাকার পাশাপাশি ধান উৎপাদন ব্যয় কমেছে।স্থানীয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে ,
বিগত বছর গুলোতে পার্চিং পদ্ধতিতে বোরো ধান আবাদে সফলতা পাওয়ায় কৃষকেরা চলতি বোরো মৌসুমেও এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে সাঁড়া পড়েছে।
চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় ৬ হাজার ২শত ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল।
চলতি মৌসুমে আবাদ করা জমির পরিমাণ ৬হাজার ৪শত ৫০ হেক্টর। তন্মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ জমি পার্চিং পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে।
উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পুকুরপাড় গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম ফকির বলেন, এ বছর তিনি বিশবিঘার অধিক জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন।
বিগত বছর গুলোতে ধানক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার না করে পার্চিং পদ্ধতিতে পোকা দমনে সফলতা পাওয়ায় এ বছরেও তিনি এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক বলেন, কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই ধানক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা দমনের একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি হচ্ছে পার্চিং।
এ পদ্ধতিতে খেতে পাখি বসানোর ব্যবস্থা করে পোকা দমন করা যায়। উপজেলার কৃষকদের পার্চিংয়ে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।