ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত আটঘরিয়ায়

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৪৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
  • / 64

আটঘরিয়া উপজেলা সংবাদ

আটঘরিয়া, পাবনা

 

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ১২:৫৯ রাত, ২৪ এপ্রিল ২০২২

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত আটঘরিয়ায়, খবর বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা)’র।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাংচুর চালিয়ে ক্ষতিসাধন করেছে দূর্বৃত্তরা।

পূর্ব শত্রæতার জের ধরে গত বুধবার বেলা আড়াইটের দিকে এ ঘটনা ঘটে আটঘরিয়া বাজার নিউমার্কেটের নিচতলাতে অলি টেলিকম নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আল মাকাবির শান্ত এর মাথায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র, গøাস, মোবাইল, চেয়ার প্রভৃতি ভাংচুর করে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়।

আহত ব্যবসায়ী আটঘরিয়ার কুষ্টিয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শান্তকে প্রথমে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তিতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগী আহত ব্যবসায়ী শান্ত আটঘরিয়া থানায় মামলা দায়ের (মামলা নম্বর-১০,তারিখ-২১/০৪/২০২২) করেছেন। মামলার আসামিরা হলো রোস্তমপুরের আলিউজ্জমানের ছেলে আকাশ,ধলেশ^রের রমজান আলীর ছেলে নুরু হোসেন, রোস্তমপুরের আবুল কালামের ছেলে হালিম,চাঁদভার গোয়ালপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে জাহিদুল, কলেজপাড়ার মোহর কশাইয়ের ছেলে সজীব ও শেরকোল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন।

আহত ব্যবসায়ী শান্ত এজাহারে জানান, উল্লেখিতরা ছাড়াও আরো তিন-চারজন অজ্ঞাত যুবক এই হামলায় অংশগ্রহণ করে। হামলার নেতৃত্বদানকারীর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলেও ব্যবসায়ীদের জানান তিনি। এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান আহত ব্যবসায়ী শান্ত।

এদিকে প্রকাশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে এমন হামলা ছুরিকাঘাত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এমন হামলার সঠিক বিচার না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ফের ঘটবে। এ কারণে তারা থানা পুলিশ, ব্যবসায়ীনেতৃবৃন্দ ও রাজনীতিবীদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

 

আটঘরিয়ার গোড়রী বাজারে মামা ব্রেড এ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীতে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাবার

কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার গোড়রী বাজারে একটি টিনের তৈরি ঘরের ভেতরেই তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন বেকারি পণ্য। আর এই সব খাবার যাচ্ছে পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন দোকান থেকে শুরু করে নামিদামি বেকারিতে। বিক্রি হচ্ছে বিস্কুট, কেক, পাউরুটি সহ নানা বাহারি খাবার। কখনও কি কেউ ভেবে দেখেছেন এই খাবারগুলো কোথায় তৈরি হচ্ছে? কী দিয়ে তৈরি হচ্ছে? এসব খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও যাচাই করার দায়িত্বে যারা আছেন তারা তাদের দায়িত্ব কতটা পালন করছেন? এক কথায় না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাবার দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোন বেকারির উৎপাদন।

এসব বেকারিতে মানা হয় না নিরাপদ খাদ্য তৈরির কোন নিয়ম। তৈরি করা খাবারে বসছে মশা-মাছি আর পোকা। আবার ধূলা বালি ও শ্রমিকের ঘাম। কারখানায় নেই স্যানিটেশন এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এমনকি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোড পর্যন্ত নেই। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরি পণ্য। ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভনভন করছে। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ বাহারি মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, পুডিংসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারি সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। আটঘরিয়া উপজেলায় এমন আরো প্রতিষ্ঠান আছে যাদের অবস্থাও এমন ধরনের। ভোর রাতে ফ্যাক্টরির ভ্যানে বিভিন্ন এলাকার পাড়া মহল্লায়, অলিগলির জেনারেল স্টোর ও চায়ের দোকানে ওই সব পণ্য পৌঁছে দেন ডেলিভারিম্যানরা। বিভিন্ন চায়ের স্টলে গিয়ে দেখা যায়, বিকল্প বেকারির মোড়কে একাধিক পলি প্যাকেটে ঝুলছে পারুটি, বাটারবন, কেক, পেটিস, সিঙ্গাড়াসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য।

গোড়রী বাজারের মামা ব্রেড এ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরির মালিক মানিক সরদার ও সুজন আহমেদ জানান, কয়েকদিন যাবত এ কারখানা শুরু করেছেন। তাই পরিবেশ তৈরি করতে একটু সময় লাগবে। তারা আরও বলেন, ট্রেড লাইসেন্স ও সরকারি অনুমোদন নিতে সময়ের প্রয়োজন।

 

 আরও পড়ুনঃ

এই রকম আরও টপিক

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত আটঘরিয়ায়

প্রকাশিত সময় ১২:৪৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
আটঘরিয়া, পাবনা

 

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ১২:৫৯ রাত, ২৪ এপ্রিল ২০২২

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত আটঘরিয়ায়, খবর বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা)’র।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাংচুর চালিয়ে ক্ষতিসাধন করেছে দূর্বৃত্তরা।

পূর্ব শত্রæতার জের ধরে গত বুধবার বেলা আড়াইটের দিকে এ ঘটনা ঘটে আটঘরিয়া বাজার নিউমার্কেটের নিচতলাতে অলি টেলিকম নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আল মাকাবির শান্ত এর মাথায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র, গøাস, মোবাইল, চেয়ার প্রভৃতি ভাংচুর করে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়।

আহত ব্যবসায়ী আটঘরিয়ার কুষ্টিয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শান্তকে প্রথমে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তিতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগী আহত ব্যবসায়ী শান্ত আটঘরিয়া থানায় মামলা দায়ের (মামলা নম্বর-১০,তারিখ-২১/০৪/২০২২) করেছেন। মামলার আসামিরা হলো রোস্তমপুরের আলিউজ্জমানের ছেলে আকাশ,ধলেশ^রের রমজান আলীর ছেলে নুরু হোসেন, রোস্তমপুরের আবুল কালামের ছেলে হালিম,চাঁদভার গোয়ালপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে জাহিদুল, কলেজপাড়ার মোহর কশাইয়ের ছেলে সজীব ও শেরকোল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন।

আহত ব্যবসায়ী শান্ত এজাহারে জানান, উল্লেখিতরা ছাড়াও আরো তিন-চারজন অজ্ঞাত যুবক এই হামলায় অংশগ্রহণ করে। হামলার নেতৃত্বদানকারীর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলেও ব্যবসায়ীদের জানান তিনি। এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান আহত ব্যবসায়ী শান্ত।

এদিকে প্রকাশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে এমন হামলা ছুরিকাঘাত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এমন হামলার সঠিক বিচার না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ফের ঘটবে। এ কারণে তারা থানা পুলিশ, ব্যবসায়ীনেতৃবৃন্দ ও রাজনীতিবীদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

 

আটঘরিয়ার গোড়রী বাজারে মামা ব্রেড এ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীতে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাবার

কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার গোড়রী বাজারে একটি টিনের তৈরি ঘরের ভেতরেই তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন বেকারি পণ্য। আর এই সব খাবার যাচ্ছে পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন দোকান থেকে শুরু করে নামিদামি বেকারিতে। বিক্রি হচ্ছে বিস্কুট, কেক, পাউরুটি সহ নানা বাহারি খাবার। কখনও কি কেউ ভেবে দেখেছেন এই খাবারগুলো কোথায় তৈরি হচ্ছে? কী দিয়ে তৈরি হচ্ছে? এসব খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও যাচাই করার দায়িত্বে যারা আছেন তারা তাদের দায়িত্ব কতটা পালন করছেন? এক কথায় না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাবার দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোন বেকারির উৎপাদন।

এসব বেকারিতে মানা হয় না নিরাপদ খাদ্য তৈরির কোন নিয়ম। তৈরি করা খাবারে বসছে মশা-মাছি আর পোকা। আবার ধূলা বালি ও শ্রমিকের ঘাম। কারখানায় নেই স্যানিটেশন এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এমনকি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোড পর্যন্ত নেই। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরি পণ্য। ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভনভন করছে। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ বাহারি মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, পুডিংসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারি সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। আটঘরিয়া উপজেলায় এমন আরো প্রতিষ্ঠান আছে যাদের অবস্থাও এমন ধরনের। ভোর রাতে ফ্যাক্টরির ভ্যানে বিভিন্ন এলাকার পাড়া মহল্লায়, অলিগলির জেনারেল স্টোর ও চায়ের দোকানে ওই সব পণ্য পৌঁছে দেন ডেলিভারিম্যানরা। বিভিন্ন চায়ের স্টলে গিয়ে দেখা যায়, বিকল্প বেকারির মোড়কে একাধিক পলি প্যাকেটে ঝুলছে পারুটি, বাটারবন, কেক, পেটিস, সিঙ্গাড়াসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য।

গোড়রী বাজারের মামা ব্রেড এ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরির মালিক মানিক সরদার ও সুজন আহমেদ জানান, কয়েকদিন যাবত এ কারখানা শুরু করেছেন। তাই পরিবেশ তৈরি করতে একটু সময় লাগবে। তারা আরও বলেন, ট্রেড লাইসেন্স ও সরকারি অনুমোদন নিতে সময়ের প্রয়োজন।

 

 আরও পড়ুনঃ