ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

হাইকোর্টের রায়ের পর ইছামতি নদী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে খুশি পাবনার মানুষ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:১৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / 112

হাইকোর্টের রায়ের পর পাবনার ইছামতি নদী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত

হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী পুনরায় পাবনার ইছামতি নদী পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ২ নং গেট ইংলিশ রোডের পাশে ইছামতি নদীর মধ্যে বসবাসকারী আইনজীবী নাজমুল হোসেন শাহিনের দ্বিতল ভবনসহ তিনটি পাকা ভবন ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী জেলা পানি ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ অভিযানের ছবি ফেসবুকে আপলোড হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। পাবনা বাসীর অনেকেই বলেন, দীর্ঘ ২ বছর এই আইনজীবীর মামলার কারনে ইছামতি নদী খনন কাজ বিলম্ব ঘটেছে। এ ব্যাপারে শহরের সচেতন মহল মনে করেন, অবৈধ বসতিতের আর কোন সময় দেওয়া ঠিক হবে না। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সি এস ম্যাপ অনুসরণ করে ইছামতি নদী পুনুরুজ্জীবীত করতে হবে।

উল্লেখ্য নদী পাড়ের কতিপয় ভ‚মিদস্যু ২০০৯ সালে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার নং ৩৫০৩। এ মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ৪ জানুয়ারি ২০২২ শোনানী শেষ হয়। ২৪ এপ্রিল মহামান্য হাইকোর্টর বিজ্ঞ বিচারক মো. মজিবুর রহমান মিঞা এবং মো. কামরুল হাসান মোল্লা যৌথ ব্রেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়েছে ইছামতি নদী পুনুরুজ্জীবীত করার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা নেই। এ রায় অনুযায়ী ২৬ এপ্রিল নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান এর নেতৃত্বে বাপাউবোর নিবার্হী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহীন রেজা, সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিনুর রহমান শাহিন, সার্ভেয়ার রাসেল হোসেন সহ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এ ব্যাপারে মহামান্য হার্কোটের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের এ রায়ের পর নি¤œ আদালতের সকল নিদের্শনার কার্যকর থাকার কোন সুযোগ নেই। এ রির্পোর্ট লেখা পর্যন্ত গতকাল (২৭ এপ্রিল) ইছামতি নদীর তীরে অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ইছামতি নদী রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক সহকারি অধ্যাপক এস,এম মাহবুব আলম জানান, ঈদুল ফিতরের পর পুরোদমে নদী পাড়ের অবৈধ্য স্থাপনা অপসারনে অভিযান বেগবান করা হবে।

আমরা পাবনাবাসীও সর্বান্তকরণে এই আশাবাদ পোষণ করি যে, ভবিষ্যতে আর কোনও ভূমিদস্যু, পরিবেশ-প্রতিবেশের শত্রু সর্বপোরি দেশ মাটি ও মানুষের শত্রুরা যেন নদী দখলের মত ক্ষতিকর কাজ করতে সাহস না পায়, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার অগ্রযাত্রা চলুক অবিরাম সহজ সাবলীল গতিতে।

 

abm_fazlur_rahman
লেখা: এবিএম ফজলুর রহমান
সভাপতি, পাবনা প্রেসক্লাব ও নির্বাহী সম্পাদক, বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা)

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল, ২০২২

এই রকম আরও টপিক

হাইকোর্টের রায়ের পর ইছামতি নদী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে খুশি পাবনার মানুষ

প্রকাশিত সময় ০১:১৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী পুনরায় পাবনার ইছামতি নদী পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ২ নং গেট ইংলিশ রোডের পাশে ইছামতি নদীর মধ্যে বসবাসকারী আইনজীবী নাজমুল হোসেন শাহিনের দ্বিতল ভবনসহ তিনটি পাকা ভবন ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী জেলা পানি ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ অভিযানের ছবি ফেসবুকে আপলোড হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। পাবনা বাসীর অনেকেই বলেন, দীর্ঘ ২ বছর এই আইনজীবীর মামলার কারনে ইছামতি নদী খনন কাজ বিলম্ব ঘটেছে। এ ব্যাপারে শহরের সচেতন মহল মনে করেন, অবৈধ বসতিতের আর কোন সময় দেওয়া ঠিক হবে না। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সি এস ম্যাপ অনুসরণ করে ইছামতি নদী পুনুরুজ্জীবীত করতে হবে।

উল্লেখ্য নদী পাড়ের কতিপয় ভ‚মিদস্যু ২০০৯ সালে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার নং ৩৫০৩। এ মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ৪ জানুয়ারি ২০২২ শোনানী শেষ হয়। ২৪ এপ্রিল মহামান্য হাইকোর্টর বিজ্ঞ বিচারক মো. মজিবুর রহমান মিঞা এবং মো. কামরুল হাসান মোল্লা যৌথ ব্রেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়েছে ইছামতি নদী পুনুরুজ্জীবীত করার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা নেই। এ রায় অনুযায়ী ২৬ এপ্রিল নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান এর নেতৃত্বে বাপাউবোর নিবার্হী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহীন রেজা, সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিনুর রহমান শাহিন, সার্ভেয়ার রাসেল হোসেন সহ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এ ব্যাপারে মহামান্য হার্কোটের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের এ রায়ের পর নি¤œ আদালতের সকল নিদের্শনার কার্যকর থাকার কোন সুযোগ নেই। এ রির্পোর্ট লেখা পর্যন্ত গতকাল (২৭ এপ্রিল) ইছামতি নদীর তীরে অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ইছামতি নদী রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক সহকারি অধ্যাপক এস,এম মাহবুব আলম জানান, ঈদুল ফিতরের পর পুরোদমে নদী পাড়ের অবৈধ্য স্থাপনা অপসারনে অভিযান বেগবান করা হবে।

আমরা পাবনাবাসীও সর্বান্তকরণে এই আশাবাদ পোষণ করি যে, ভবিষ্যতে আর কোনও ভূমিদস্যু, পরিবেশ-প্রতিবেশের শত্রু সর্বপোরি দেশ মাটি ও মানুষের শত্রুরা যেন নদী দখলের মত ক্ষতিকর কাজ করতে সাহস না পায়, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার অগ্রযাত্রা চলুক অবিরাম সহজ সাবলীল গতিতে।

 

abm_fazlur_rahman
লেখা: এবিএম ফজলুর রহমান
সভাপতি, পাবনা প্রেসক্লাব ও নির্বাহী সম্পাদক, বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা)

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল, ২০২২