ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বেড়ার চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:১১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / 96

বেড়া চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী

পাবনায় বেড়া চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী (ইনসেটে)

 

পাবনা ব্যুরো প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৩২ সন্ধ্যা, ২৮ এপ্রিল ২০২২

পাবনা বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস আলী সরদারের বিরুদ্ধে ২০২০-২১ অর্থবছরের টিআর কাবিখা কাবিটা নগদ অর্থ খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি বিধি অনুয়ায়ী ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক মিটিং এর মাধ্যমে প্রকল্প যাচাই-বাছাই আনতে উপজেলাতে প্রেরণ করা হয়। প্রকল্প অনুমোদনের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে সেই প্রকল্প অনুমোদিত হলে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার চেয়ারম্যান তাদের মতামত এবং আলোচনার ভিত্তিতে প্রকল্পের সভাপতিসহ সদস্য নির্বাচন করা হয়। কিন্তু ইদ্রিস আলী সরদার ইউপি সদস্যদের কোন কিছু না জানিয়ে নিজের আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গোপনীয়ভাবে ২০২১ অর্থবছরের প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দকৃত চারটি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে তুলে নেয়। জানা যায়, তার নিজস্ব বলয় দিয়ে এবং নিজে প্রকল্পের পিআইসি হয়ে সকল টাকা উত্তোলন করেন। বিষয়টি ইউপি সদস্যদের মধ্যে জানাজানি হলে বর্তমানে সেই টাকাগুলো আত্মসাতের না করতে পারায় কোনভাবে গরিমশি করে প্রকল্পের নির্ধারিত দুএক জায়গায় সামান্য করে বালি ফেলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। প্রকল্প গুলো নিম্নরূপ খাকছাড়া পূর্বপাড়া কুদরতের বাড়ি হইতে রেজাউলের বাড়ির অভিমুখে রাস্তা নির্মান বরাদ্দ ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

পাচুরিয়া গোলজার মেম্বারের বাড়ি হইতে খাসপাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা পূর্ন নির্মান বরাদ্দ ২ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা।

খাকছাড়া মতিরের বাড়ি হইতে হবিবারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ১ লাখ ৫৭ হাজার হাজার। পাচুরিয়া গোলজার মেম্বার এর বাড়ি হইতে পেশকারের বাড়ি নিকট মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা পুনঃ নির্মাণ ২৫৪০০০ টাকা।

কুশিয়ারা হোসেন গাড়িয়ালের বাড়ি হইতে কুশিয়ারা কবরস্থান অভিমুখে রাস্তা নির্মান ৪.৩০০ মেঃ টন চাউল বরাদ্দ ছিল অথচ ৪ থেকে ৫ ট্রাক মাটি ফেলে টাকা উত্তোলন করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপি আর রাজস্ব উন্নয়ন উদ্বৃত্ত উপজেলা তহবিল হতে তিন টি প্রকল্প গৃহীত হয় যা ইউপি রেজুলেশন ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব না এটা আইনগত ভাবে গুরুতর অপরাধ বলে জানা যায়। এডিপি ২০২১ অর্থবছরের দুটি প্রকল্প গঠিত হয়। যা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের সাথে সমন্বয় না করে গোপনীয় ভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকল্প অনুমোদন করেন এবং সেই প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের জন্য নিজে পিসি হয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য কমিটি ফরম পুরণ করেন। এই বিষয় গুলোকে খুব জোরালো চোখে দেখেন না মর্মে অভিযোগ দেন বঙ্গবন্ধু হাইস্কুলের বাউন্ডারি নির্মাণ এদিক-ওদিক ২ লাখ ৫৭ হাজার এবং রাজস্ব উন্নয়ন উদ্বৃত্ত কর্তৃক এক লক্ষ ৮৮ হাজার অপূর্ব গল্প এডিপির ২ লক্ষ —- বিভিন্ন ওর্য়াডে নলকূপ সরবরাহ প্রকল্প গুলো তার ইচ্ছামত মনগড়াভাবে করা হয়েছে যা ইউপি সদস্যরা কোন কিছুই জানেন না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক ইউপি সদস্যরা জানান।

এছাড়াও ইউনিয়নে এর অতিদরিদ্রদের কর্মসূচি কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় ১২৯ জন উপকারভোগী কাজ করার কথা থাকলেও নামেমাত্র ১২৯ জন শ্রমিকের তালিকা পাওয়া গেলেও কর্ম ক্ষেত্রে অনেকেই কাজ করেন নাই কাজ না করা অধিকাংশ ব্যক্তিই ইউপি চেয়ারম্যানের আত্মীয়-স্বজনদের নাম মোবাইল নাম্বার দিয়ে অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে।

অনিয়ম হয়েছে এমন দুইটি প্রকল্পের বাড়ির পাশের রোস্তম আলী ও আমিনুল ইসলামের সাথে কথা হলে তারা জানান, চাকলা ইউনিয়নে কোন প্রকল্পেই ২০ শতাংশ কাজও হয়নি। কিছু যায়গায় ৮-১০ ট্রাক মাটি ফেলেই লক্ষ লক্ষ টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই।

চেয়ারম্যান সরকারি অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সুকৌশলে এভাবে তার চাচাত ভাই সেলিম আলী মাস্টার, মোঃ সোবান পিতা কদ্দুস সোহরাব পিতা নুরমোহাম্মদ মোঃ আব্দুস সাত্তার পিতা নৈয়ুমুদ্দিন চেয়ারম্যানের ভাবি সুফিয়া খাতুন, চেয়ারম্যানের ভাতিজা আত্মীয়-স্বজনসহ অপকর্ম করে পার পেতে ৪ নং ওয়ার্ড আওমীলীগের সভাপতিও সাধারণ সম্পাদকের তালিকা সংযুক্ত করেন (রাজা, আনছার) ৭ নং ওয়ার্ডের রাজ্জাক পিতা ইসাক খাদেম পিতা রইজ, কুশিয়ারা গ্রামের রহম , নাজমুল, আলামিন,সহ প্রায় ৪৫থেকে ৪৬ জন ভুয়া লোকের নাম চেয়ারম্যান তালিকা সংযুক্ত করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নলভাঙ্গ গ্রামের হজের আলী জানান ৪০দিন কাজ করেছেন কিন্তু নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার কারণে তাকে কাজের বিল দেওয়া হবে না। তার পরিবর্তে নতুন করে অন্য কোনো লোকের নাম দিয়ে টাকা উত্তোলনের করেছেন বলে জানা যায়চেযাম্যান ইদ্রিসএককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের করে টাকা উত্তোলনের পায়তারা করার বিয়য়ে ইউপি সদস্যদের ব্যাপক ক্ষোভের সুষ্টি হয়েছে।

১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদে কোন মিটিং হয় না। সে একের পর এক অর্থ অবৈধভাবে উত্তোলন করলে এলাকার কোন উন্নয়ন করা সম্ভব না। এভাবে অপকর্ম করতে থাকলে আমরা উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য হব।

চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব ভিত্তিহীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার চাকলার ইউনিয়নবাসি আমায় ভালবাসে বিধায় আমি এবার জয়লাভ করেছি। আমি কোন দুর্নীতি বা কোন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করি নাই করবো না।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জানান, কাজের প্রথম কিস্তির বিল দেওয়া হয়েছে, চূড়ান্ত কিস্তির বিল এখনো দেওয়া হয়নি। এধরনের যদি কোনো অভিযোগ আসে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।


পাবনা/জুয়েল আসিফ

 

 আরও পড়ুনঃ

বেড়ার চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ০৯:১১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
পাবনায় বেড়া চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী (ইনসেটে)

 

পাবনা ব্যুরো প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৩২ সন্ধ্যা, ২৮ এপ্রিল ২০২২

পাবনা বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস আলী সরদারের বিরুদ্ধে ২০২০-২১ অর্থবছরের টিআর কাবিখা কাবিটা নগদ অর্থ খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি বিধি অনুয়ায়ী ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক মিটিং এর মাধ্যমে প্রকল্প যাচাই-বাছাই আনতে উপজেলাতে প্রেরণ করা হয়। প্রকল্প অনুমোদনের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে সেই প্রকল্প অনুমোদিত হলে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার চেয়ারম্যান তাদের মতামত এবং আলোচনার ভিত্তিতে প্রকল্পের সভাপতিসহ সদস্য নির্বাচন করা হয়। কিন্তু ইদ্রিস আলী সরদার ইউপি সদস্যদের কোন কিছু না জানিয়ে নিজের আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গোপনীয়ভাবে ২০২১ অর্থবছরের প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দকৃত চারটি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে তুলে নেয়। জানা যায়, তার নিজস্ব বলয় দিয়ে এবং নিজে প্রকল্পের পিআইসি হয়ে সকল টাকা উত্তোলন করেন। বিষয়টি ইউপি সদস্যদের মধ্যে জানাজানি হলে বর্তমানে সেই টাকাগুলো আত্মসাতের না করতে পারায় কোনভাবে গরিমশি করে প্রকল্পের নির্ধারিত দুএক জায়গায় সামান্য করে বালি ফেলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। প্রকল্প গুলো নিম্নরূপ খাকছাড়া পূর্বপাড়া কুদরতের বাড়ি হইতে রেজাউলের বাড়ির অভিমুখে রাস্তা নির্মান বরাদ্দ ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

পাচুরিয়া গোলজার মেম্বারের বাড়ি হইতে খাসপাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা পূর্ন নির্মান বরাদ্দ ২ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা।

খাকছাড়া মতিরের বাড়ি হইতে হবিবারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ১ লাখ ৫৭ হাজার হাজার। পাচুরিয়া গোলজার মেম্বার এর বাড়ি হইতে পেশকারের বাড়ি নিকট মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা পুনঃ নির্মাণ ২৫৪০০০ টাকা।

কুশিয়ারা হোসেন গাড়িয়ালের বাড়ি হইতে কুশিয়ারা কবরস্থান অভিমুখে রাস্তা নির্মান ৪.৩০০ মেঃ টন চাউল বরাদ্দ ছিল অথচ ৪ থেকে ৫ ট্রাক মাটি ফেলে টাকা উত্তোলন করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপি আর রাজস্ব উন্নয়ন উদ্বৃত্ত উপজেলা তহবিল হতে তিন টি প্রকল্প গৃহীত হয় যা ইউপি রেজুলেশন ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব না এটা আইনগত ভাবে গুরুতর অপরাধ বলে জানা যায়। এডিপি ২০২১ অর্থবছরের দুটি প্রকল্প গঠিত হয়। যা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের সাথে সমন্বয় না করে গোপনীয় ভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকল্প অনুমোদন করেন এবং সেই প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের জন্য নিজে পিসি হয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য কমিটি ফরম পুরণ করেন। এই বিষয় গুলোকে খুব জোরালো চোখে দেখেন না মর্মে অভিযোগ দেন বঙ্গবন্ধু হাইস্কুলের বাউন্ডারি নির্মাণ এদিক-ওদিক ২ লাখ ৫৭ হাজার এবং রাজস্ব উন্নয়ন উদ্বৃত্ত কর্তৃক এক লক্ষ ৮৮ হাজার অপূর্ব গল্প এডিপির ২ লক্ষ —- বিভিন্ন ওর্য়াডে নলকূপ সরবরাহ প্রকল্প গুলো তার ইচ্ছামত মনগড়াভাবে করা হয়েছে যা ইউপি সদস্যরা কোন কিছুই জানেন না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক ইউপি সদস্যরা জানান।

এছাড়াও ইউনিয়নে এর অতিদরিদ্রদের কর্মসূচি কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় ১২৯ জন উপকারভোগী কাজ করার কথা থাকলেও নামেমাত্র ১২৯ জন শ্রমিকের তালিকা পাওয়া গেলেও কর্ম ক্ষেত্রে অনেকেই কাজ করেন নাই কাজ না করা অধিকাংশ ব্যক্তিই ইউপি চেয়ারম্যানের আত্মীয়-স্বজনদের নাম মোবাইল নাম্বার দিয়ে অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে।

অনিয়ম হয়েছে এমন দুইটি প্রকল্পের বাড়ির পাশের রোস্তম আলী ও আমিনুল ইসলামের সাথে কথা হলে তারা জানান, চাকলা ইউনিয়নে কোন প্রকল্পেই ২০ শতাংশ কাজও হয়নি। কিছু যায়গায় ৮-১০ ট্রাক মাটি ফেলেই লক্ষ লক্ষ টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই।

চেয়ারম্যান সরকারি অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সুকৌশলে এভাবে তার চাচাত ভাই সেলিম আলী মাস্টার, মোঃ সোবান পিতা কদ্দুস সোহরাব পিতা নুরমোহাম্মদ মোঃ আব্দুস সাত্তার পিতা নৈয়ুমুদ্দিন চেয়ারম্যানের ভাবি সুফিয়া খাতুন, চেয়ারম্যানের ভাতিজা আত্মীয়-স্বজনসহ অপকর্ম করে পার পেতে ৪ নং ওয়ার্ড আওমীলীগের সভাপতিও সাধারণ সম্পাদকের তালিকা সংযুক্ত করেন (রাজা, আনছার) ৭ নং ওয়ার্ডের রাজ্জাক পিতা ইসাক খাদেম পিতা রইজ, কুশিয়ারা গ্রামের রহম , নাজমুল, আলামিন,সহ প্রায় ৪৫থেকে ৪৬ জন ভুয়া লোকের নাম চেয়ারম্যান তালিকা সংযুক্ত করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নলভাঙ্গ গ্রামের হজের আলী জানান ৪০দিন কাজ করেছেন কিন্তু নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার কারণে তাকে কাজের বিল দেওয়া হবে না। তার পরিবর্তে নতুন করে অন্য কোনো লোকের নাম দিয়ে টাকা উত্তোলনের করেছেন বলে জানা যায়চেযাম্যান ইদ্রিসএককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের করে টাকা উত্তোলনের পায়তারা করার বিয়য়ে ইউপি সদস্যদের ব্যাপক ক্ষোভের সুষ্টি হয়েছে।

১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদে কোন মিটিং হয় না। সে একের পর এক অর্থ অবৈধভাবে উত্তোলন করলে এলাকার কোন উন্নয়ন করা সম্ভব না। এভাবে অপকর্ম করতে থাকলে আমরা উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য হব।

চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব ভিত্তিহীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার চাকলার ইউনিয়নবাসি আমায় ভালবাসে বিধায় আমি এবার জয়লাভ করেছি। আমি কোন দুর্নীতি বা কোন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করি নাই করবো না।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জানান, কাজের প্রথম কিস্তির বিল দেওয়া হয়েছে, চূড়ান্ত কিস্তির বিল এখনো দেওয়া হয়নি। এধরনের যদি কোনো অভিযোগ আসে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।


পাবনা/জুয়েল আসিফ

 

 আরও পড়ুনঃ