ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বিরামপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
  • / 85

বিরামপুর বাজারে ঈদের কেনাকাটা

বিরামপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ছবি: নয়ন হাসান

 

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৫০ রাত, ২৯ এপ্রিল ২০২২

বিরামপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

জমে উঠেছে বিরামপুরের ঈদ মার্কেট। ছোট ছোট বিপণী বিতানগুলোতে নতুন ডিজাইনের বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। নতুন পোশাকে ঈদ কাটবে, এমন প্রত্যাশায় দিনের গরমকে উপেক্ষা করে ক্রেতারা আসছেন তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) গতকাল সকালে বিরামপুর শহরের ত্বাহা গার্মেন্টস, বেবি ফ্যাশন, জহুরা এন্ড ক্লথ ষ্টোর ও বেবি চয়েজ এন্ড গিফট কর্ণারসহ বিভিন্ন ছোট বড় দোকানে গিয়ে উপচে পড়া মানুষের ভিড় দেখা গেছে। জানা গেছে, ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে প্রতিটি দোকানে নানান ডিজাইনের কাপড় সাজিয়ে এবং জুলিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। এসব দোকানে নারী ও তরুণীদের জন্য রঙ-বেরঙের থ্রি-পিস, শাড়ি, ওয়ান পিচ, ল্যাহাঙ্গা পাওয়া যাচ্ছে। পুরুষদের জন্য রয়েছে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি ও লুঙ্গী। ছোটদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। এদিকে জুতা ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগম চোখে পড়ার মতো।

প্রাণঘাতী করোনার কারণে গত দুই বছর মানুষ ঈদের আনন্দ উপভোগ কিংবা ভাগাভাগি করতে পারেনি আপনজনদের সঙ্গে। শান্তিপূর্ণ ভাবে সবাই ঈদের কেনাকাটা করছে। নতুন পোশাকে ঈদগাহে যাবে মুসলিম, করবে এবার একে অপরকে আলিঙ্গন।

বিরামপুর বাজারে ঈদের কেনা-কাটা করতে আসা সোহেল রানা বলেন, বাড়ির জন্য মার্কেট করতে এসেছি। এবার ঈদটা অনেক ভাল এবং আনন্দের হবে। পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনছি। প্রায় দোকানে বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় দেখা যাচ্ছে। পছন্দ মতো কেনা-কাটা করছি, তবে দামটা একটু বেশি।

ত্বাহা গার্মেন্টসের কর্মচারী সেলিম রানা বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে মহাজনরা তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। তাই আমরা ভাল ভাবে বেতন-ভাতা পাইনি। এবার করোনা নাই, দোকানে অনেক ক্রেতারা আসছে, বেচা-বিক্রিও বেশি, আশা করি ঈদও আমাদের ভাল হবে।

রহমান গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী আরিফুল ইসলাম বলেন, করোনা কাটিয়ে একটু সুদিন ফিরে এসেছে। আর কয়েকদিন পর পবিত্র ইদুল ফিতর। বেচা-বিক্রি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদ উপলক্ষে অনেক পোশাক দোকানে তুলেছি। ক্রেতারা আসছে, বিক্রিও হচ্ছে। আশা করছি বাঁকি দিনগুলোতে বিক্রি আরও বাড়বে।

বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে শহরে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে মার্কেট ও বাজার গুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আশা করি, ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদে তাদের কেনাকাটা করতে পারবেন।’

বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী বলেন, আর মাত্র কয়েকদিন পরই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঈদকে ঘিরে শুরু হয়েছে মার্কেটে ঈদের বেচাকেনা। লোকজন যেন ভালোভাবে মার্কেট করতে পারে, এজন্য পৌর শহরে বিভিন্ন জায়গায় মোড়ে মোড়ে আনসার মোতায়েন করেছি।’

নয়ন হাসান/বিরামপুর

 

 

 

 আরও পড়ুনঃ

এই রকম আরও টপিক

বিরামপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

প্রকাশিত সময় ১১:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
বিরামপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ছবি: নয়ন হাসান

 

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৫০ রাত, ২৯ এপ্রিল ২০২২

বিরামপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

জমে উঠেছে বিরামপুরের ঈদ মার্কেট। ছোট ছোট বিপণী বিতানগুলোতে নতুন ডিজাইনের বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। নতুন পোশাকে ঈদ কাটবে, এমন প্রত্যাশায় দিনের গরমকে উপেক্ষা করে ক্রেতারা আসছেন তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) গতকাল সকালে বিরামপুর শহরের ত্বাহা গার্মেন্টস, বেবি ফ্যাশন, জহুরা এন্ড ক্লথ ষ্টোর ও বেবি চয়েজ এন্ড গিফট কর্ণারসহ বিভিন্ন ছোট বড় দোকানে গিয়ে উপচে পড়া মানুষের ভিড় দেখা গেছে। জানা গেছে, ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে প্রতিটি দোকানে নানান ডিজাইনের কাপড় সাজিয়ে এবং জুলিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। এসব দোকানে নারী ও তরুণীদের জন্য রঙ-বেরঙের থ্রি-পিস, শাড়ি, ওয়ান পিচ, ল্যাহাঙ্গা পাওয়া যাচ্ছে। পুরুষদের জন্য রয়েছে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি ও লুঙ্গী। ছোটদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। এদিকে জুতা ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগম চোখে পড়ার মতো।

প্রাণঘাতী করোনার কারণে গত দুই বছর মানুষ ঈদের আনন্দ উপভোগ কিংবা ভাগাভাগি করতে পারেনি আপনজনদের সঙ্গে। শান্তিপূর্ণ ভাবে সবাই ঈদের কেনাকাটা করছে। নতুন পোশাকে ঈদগাহে যাবে মুসলিম, করবে এবার একে অপরকে আলিঙ্গন।

বিরামপুর বাজারে ঈদের কেনা-কাটা করতে আসা সোহেল রানা বলেন, বাড়ির জন্য মার্কেট করতে এসেছি। এবার ঈদটা অনেক ভাল এবং আনন্দের হবে। পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনছি। প্রায় দোকানে বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় দেখা যাচ্ছে। পছন্দ মতো কেনা-কাটা করছি, তবে দামটা একটু বেশি।

ত্বাহা গার্মেন্টসের কর্মচারী সেলিম রানা বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে মহাজনরা তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। তাই আমরা ভাল ভাবে বেতন-ভাতা পাইনি। এবার করোনা নাই, দোকানে অনেক ক্রেতারা আসছে, বেচা-বিক্রিও বেশি, আশা করি ঈদও আমাদের ভাল হবে।

রহমান গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী আরিফুল ইসলাম বলেন, করোনা কাটিয়ে একটু সুদিন ফিরে এসেছে। আর কয়েকদিন পর পবিত্র ইদুল ফিতর। বেচা-বিক্রি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদ উপলক্ষে অনেক পোশাক দোকানে তুলেছি। ক্রেতারা আসছে, বিক্রিও হচ্ছে। আশা করছি বাঁকি দিনগুলোতে বিক্রি আরও বাড়বে।

বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে শহরে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে মার্কেট ও বাজার গুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আশা করি, ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদে তাদের কেনাকাটা করতে পারবেন।’

বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী বলেন, আর মাত্র কয়েকদিন পরই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঈদকে ঘিরে শুরু হয়েছে মার্কেটে ঈদের বেচাকেনা। লোকজন যেন ভালোভাবে মার্কেট করতে পারে, এজন্য পৌর শহরে বিভিন্ন জায়গায় মোড়ে মোড়ে আনসার মোতায়েন করেছি।’

নয়ন হাসান/বিরামপুর

 

 

 

 আরও পড়ুনঃ