ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় ভিজিএফের চাউল বিতরণে ১০ কেজির পরিবর্তে দেওয়া হলো ৮ কেজি ২০০ গ্রাম

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • / 83

ভাঙ্গুড়ায় ভিজিএফের চাউল বিতরণে ১০ কেজির পরিবর্তে দেওয়া হলো ৮ কেজি ২০০ গ্রাম

পাবনা: ভাঙ্গুড়ার মন্ডতোষ ইউপিতে ভিজিএফের নির্ধারিত ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৮ কেজি ২০০ গ্রাম। ছবি: আব্দুর রহিম

 

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:০২ রাত, ৩০ এপ্রিল ২০২২

ভাঙ্গুড়ায় ভিজিএফের চাউল বিতরণে ১০ কেজির পরিবর্তে দেওয়া হলো ৮ কেজি ২০০ গ্রাম

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আফছার আলীর বিরুদ্ধে ঈদে দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৮ কেজি ২০০ গ্রাম। চাল কম দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গরীব ও দুস্থ উপকারভোগীরা। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।

গত বৃহস্পতিবার(২৮ এপ্রিল) মন্ডতোষ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভিজিএফএর সুফল ভোগীদের মধ্যে একাধিক সুফল ভোগীর চাউল গ্রহণ করে স্কেলে মাপলে তারা চাউল কমের সত্যতা পান। এ সময় হতদরিদ্ররা চাঊল বিতরণে কাজে নিয়োজিত একাধিক ব্যক্তির কাছে মৌখিক অভিযোগ করলেও তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দরিদ্রদের কথায় কোনো কর্ণপাত করেন নি। অবশ্য ইউপি চেয়ারম্যান মো. আফছার আলী বলেন, মাথা পিছু চাউল কিছুটা কম দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানান, মন্ডতোষ ইউনিয়নে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ভিজিএফ চাউল বিতরণের জন্য ৮শত কার্ড বরাদ্দ পান। যেখানে মাথাপিছু ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু কাগজ করলে ১০ কেজি থাকলেও সুফল ভোগীরা পেয়েছেন ৮ কেজি ২০০ গ্রাম করে । ৬ জন সুফল ভোগীর প্রাপ্ত চাঊর স্কেলে মেপে এমন সত্যতা পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে মন্ডতোষ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পবিত্র ঈদুর ফিতর উপলক্ষে গরীব ও দুস্থ মানুষদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। ইউএনও’র প্রতিনিধি হিসেবে একজন ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিতরণের কথা থাকলেও সেখানে তার দেখা মেলে নি। দাঁড়িপাল্লা বা ডিজিটাল ওজনে চাল দেওয়ার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বালতিতে করে অনুমান করে চাল দেওয়া হয়েছে। চাল পাওয়া উপকারভোগী কয়েকজনের চাল পুনরায় ডিজিটাল ওজনে মাপা হলে কেউ ৮ কেজি আবার কেউ ৮ কেজি ২০০গ্রাম করে চাল পেয়েছেন ।

চাল পাওয়া মোস্তফা বাউল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে আমি ও আমার ভাইয়ের পাওয়া দুটি কার্ডের চাল ইউনিয়ন পরিষদে থেকে বাড়িতে আনি । পরে চাল ওজন করে দেখি ৮ কেজি। আমরা দুইজন ১৬ কেজি পেয়েছি। যা ৪ কেজি কম। তারা ডিজিটালে ওজন না করে বালতিতে করে দেওয়ায় ২ কেজি করে কম দিয়েছে। উপকারভোগী আলোয়া খাতুন বলেন, চাল নিয়ে পাশের দোকানে মেপে দেখি ৮ কেজি। ১০ কেজি দেওয়ার কথা। তারা তাদের ইচ্ছামত চাল দিচ্ছে। জনগনের কোন দাম নেই। এখানে তারা যা বলছে তাই করছে।

আরেক উপকারভোগী সুরমা খাতুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু তারা ৮ কেজি করে চাল দিয়েছে। আমরা ২ কেজি করে চাল কেন কম নিব। আমাদের ১০ কেজি করে চাল বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। চেয়ারম্যান কাউকে ৮ কেজি, আবার কাউকে ৮ কেজি ২০০ গ্রাম করে চাল দিয়েছে।

চাল পাওয়া মানিক আলী বলেন, ঈদ উপলক্ষে চেয়ারম্যান চাল দিলো সেই চাল নিয়ে গিয়ে মেপে দেখি সাড়ে ৮ কেজি হয়েছে। চাল নিয়ে আসতে আসতে ওখানেই ২ কেজি চাল নাই। চাল কম হলে আমরা গরীব মানুষ খাবো কিভাবে চলবো কিভাবে!

এবিষয়ে জানতে চাইলে মন্ডতোষ ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী বলেন, চাউল কিছুটা কম দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেন নি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 আরও পড়ুনঃ

এই রকম আরও টপিক

ভাঙ্গুড়ায় ভিজিএফের চাউল বিতরণে ১০ কেজির পরিবর্তে দেওয়া হলো ৮ কেজি ২০০ গ্রাম

প্রকাশিত সময় ০৪:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
পাবনা: ভাঙ্গুড়ার মন্ডতোষ ইউপিতে ভিজিএফের নির্ধারিত ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৮ কেজি ২০০ গ্রাম। ছবি: আব্দুর রহিম

 

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:০২ রাত, ৩০ এপ্রিল ২০২২

ভাঙ্গুড়ায় ভিজিএফের চাউল বিতরণে ১০ কেজির পরিবর্তে দেওয়া হলো ৮ কেজি ২০০ গ্রাম

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আফছার আলীর বিরুদ্ধে ঈদে দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৮ কেজি ২০০ গ্রাম। চাল কম দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গরীব ও দুস্থ উপকারভোগীরা। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।

গত বৃহস্পতিবার(২৮ এপ্রিল) মন্ডতোষ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভিজিএফএর সুফল ভোগীদের মধ্যে একাধিক সুফল ভোগীর চাউল গ্রহণ করে স্কেলে মাপলে তারা চাউল কমের সত্যতা পান। এ সময় হতদরিদ্ররা চাঊল বিতরণে কাজে নিয়োজিত একাধিক ব্যক্তির কাছে মৌখিক অভিযোগ করলেও তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দরিদ্রদের কথায় কোনো কর্ণপাত করেন নি। অবশ্য ইউপি চেয়ারম্যান মো. আফছার আলী বলেন, মাথা পিছু চাউল কিছুটা কম দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানান, মন্ডতোষ ইউনিয়নে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ভিজিএফ চাউল বিতরণের জন্য ৮শত কার্ড বরাদ্দ পান। যেখানে মাথাপিছু ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু কাগজ করলে ১০ কেজি থাকলেও সুফল ভোগীরা পেয়েছেন ৮ কেজি ২০০ গ্রাম করে । ৬ জন সুফল ভোগীর প্রাপ্ত চাঊর স্কেলে মেপে এমন সত্যতা পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে মন্ডতোষ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পবিত্র ঈদুর ফিতর উপলক্ষে গরীব ও দুস্থ মানুষদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। ইউএনও’র প্রতিনিধি হিসেবে একজন ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিতরণের কথা থাকলেও সেখানে তার দেখা মেলে নি। দাঁড়িপাল্লা বা ডিজিটাল ওজনে চাল দেওয়ার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বালতিতে করে অনুমান করে চাল দেওয়া হয়েছে। চাল পাওয়া উপকারভোগী কয়েকজনের চাল পুনরায় ডিজিটাল ওজনে মাপা হলে কেউ ৮ কেজি আবার কেউ ৮ কেজি ২০০গ্রাম করে চাল পেয়েছেন ।

চাল পাওয়া মোস্তফা বাউল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে আমি ও আমার ভাইয়ের পাওয়া দুটি কার্ডের চাল ইউনিয়ন পরিষদে থেকে বাড়িতে আনি । পরে চাল ওজন করে দেখি ৮ কেজি। আমরা দুইজন ১৬ কেজি পেয়েছি। যা ৪ কেজি কম। তারা ডিজিটালে ওজন না করে বালতিতে করে দেওয়ায় ২ কেজি করে কম দিয়েছে। উপকারভোগী আলোয়া খাতুন বলেন, চাল নিয়ে পাশের দোকানে মেপে দেখি ৮ কেজি। ১০ কেজি দেওয়ার কথা। তারা তাদের ইচ্ছামত চাল দিচ্ছে। জনগনের কোন দাম নেই। এখানে তারা যা বলছে তাই করছে।

আরেক উপকারভোগী সুরমা খাতুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু তারা ৮ কেজি করে চাল দিয়েছে। আমরা ২ কেজি করে চাল কেন কম নিব। আমাদের ১০ কেজি করে চাল বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। চেয়ারম্যান কাউকে ৮ কেজি, আবার কাউকে ৮ কেজি ২০০ গ্রাম করে চাল দিয়েছে।

চাল পাওয়া মানিক আলী বলেন, ঈদ উপলক্ষে চেয়ারম্যান চাল দিলো সেই চাল নিয়ে গিয়ে মেপে দেখি সাড়ে ৮ কেজি হয়েছে। চাল নিয়ে আসতে আসতে ওখানেই ২ কেজি চাল নাই। চাল কম হলে আমরা গরীব মানুষ খাবো কিভাবে চলবো কিভাবে!

এবিষয়ে জানতে চাইলে মন্ডতোষ ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী বলেন, চাউল কিছুটা কম দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেন নি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 আরও পড়ুনঃ