ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনা প্রেসক্লাবের গৌরবের পাঁচ যুগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ মে ২০২২
  • / 112

পাবনা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাকাল: ১ মে, ১৯৬১ সাল।

পাবনা প্রেসক্লাব, স্থাপিত: ১ মে, ১৯৬১

 

এবিএম ফজলুর রহমান
প্রকাশিত: ১১:০৪ রাত, ১ মে ২০২২

আজ ১ মে পাবনা প্রেসক্লাব ৬২ বছরে পা রাখছে। ১৯৬১ সালের এ দিনে পাবনা শহরে পাবনা প্রেসক্লাবের গোড়াপত্তন ঘটে। সেই থেকে অনেক স্মৃতি, নানা ইতিহাস ও গৌরবময় ঘটনার সঙ্গে পাবনা প্রেসক্লাবের নাম জড়িয়ে রয়েছে। সারা দেশে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য ও সাংবাদিকদের একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও পাবনা প্রেসক্লাব সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এই প্রতিষ্ঠান এখনো দেশের মধ্যে অখন্ড এবং ঐক্যর অন্যন্য নজির হিসেবে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।

মহানয়িকা সুচিত্রা সেন, উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার গৌরি প্রসন্ন মজুমদার, সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী, ওস্তাদ বারীন মজুমদার, কবি বন্দে আলী মিয়া, মনসুর উদ্দিন আহমেদসহ অসংখ্য গুনি সাংষ্কৃতিক ও সাহিত্যিকের জন্মভুমি পাবনা। ব্রিটিশ পরবর্তি শাসনামলপুর্ব এ অঞ্চলে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটে। তারই ধারবাহিকতায় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল পাবনা প্রেসক্লাব। তাই এ অঞ্চলের সাংবাদিকতার গৌরব ও অহংকারের নাম পাবনা প্রেসক্লাব।

আজ ১ মে পাবনা প্রেসক্লাব ৬২ বছরে পা রাখছে। ১৯৬১ সালের এ দিনে পাবনা শহরে পাবনা প্রেসক্লাবের গোড়াপত্তন ঘটে। সেই থেকে অনেক স্মৃতি, নানা ইতিহাস ও গৌরবময় ঘটনার সঙ্গে পাবনা প্রেসক্লাবের নাম জড়িয়ে রয়েছে। সারা দেশে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য ও সাংবাদিকদের একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও পাবনা প্রেসক্লাব সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এই প্রতিষ্ঠান এখনো দেশের মধ্যে অখন্ড এবং ঐক্যর অন্যন্য নজির হিসেবে দৃষ্টান্ত হয়ে রইছে।

পদ্মা যমুনা বিধৌত এবং ইছামতি নদী তীরে গড়ে উঠা পাবনার জনপদে সাংবাদিকতার সুত্রপাত ঘটে উনিশ শতকের প্রথম দিকে। এ অঞ্চলের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে দিক নির্দেশনায়, সৎ বস্তুনিষ্ট ও বলিষ্ঠ লেখনির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে এবং অসহায় নির্যাতিত মানুষের চালচিত্র নিঃশঙ্কভাবে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার ব্রত নিয়ে সর্বপরি সাংবাদিকগণ ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীতা অনুভব করেন। সাংবাদিকতায় লালিত এই ঐতিহ্যের ধারায় বিশ শতকের ষাটের দশকের শুরুতে তৃনমূল পর্যায়ের সাংবাদিকতা পেশার স্বীকৃতির দাবীকে সামনে রেখে ১৯৬১ সালের ১ মে পাবনা শহরে স্থাপিত হয় পাবনা প্রেসক্লাব।

দৈনিক আজাদ ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের (এপিপি) এর পাবনা প্রতিনিধি একেএম আজিজুল হক বিএসসি ক্যাল এর সভাপতিত্বে তার বাসা সানভিউ ভিলায় অনুষ্ঠিত সভায় তিনিই (একেএম আজিজুল হক) পাবনা প্রেসক্লাবের প্রথম সভাপতি এবং সংবাদ প্রতিনিধি শ্রী রণেশ মৈত্র সাধারন সম্পাদক নির্বাচত হন। এছাড়া দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনা প্রতিনিধি এম আনোয়ারুল হক, বিশিষ্ট চিকিৎসক মেজর (অব.) ডা. মোফাজ্জল হোসেন, লোকশিক্ষক শহীদ মাওলানা কছিমুদ্দিন আহমেদ, ফটোগ্রফার শ্রী হিমাংশু কুমার বিশ্বাস প্রমুখ অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। বর্তমানে পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৬৫।

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মাশাল (অব.) একে খন্দকার, স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরী, ভাষা সৈনিক প্রয়াত আব্দুল মতিন, স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ছিলেন এবং রয়েছেন।

পাবনা প্রেস ক্লাব
পাবনা প্রেস ক্লাবের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরী, তারিখ: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সাল

 

প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার বছরেই ৮ ও ৯ মে পাবনায় অনুষ্ঠিত হয় পুর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সম্মেলন। যে সভা থেকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় পুর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সমিতি যা বর্তমানে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি হিসেবে পরিচিত। সেই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন মন্ত্রীসভার সদস্য বগুড়ার মো: হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাকিস্তান অবজারভারের সম্পাদক আব্দুস সালাম, মনিং নিউজের এসজিএম বদরুদ্দিন। যে সম্মেলনের মাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকরা পেশার স্বীকৃতি তথা রিটেইনার, লাইনেজ, পোষ্টাল চার্জ, টেলিগ্রাম চার্জ, ছবির বিলসহ অন্যান্য খরচ পাওয়া শুরু করেন। পাবনা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই সেদিন সংবাদপত্রে মফস্বলে কর্মরত প্রতিনিধিদের পেশার স্বীকৃতি ঘটেছিল। এখন ঢাকার বাইরে অনেকে এটাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন।

পাবনা প্রেসক্লাবের ৭ জন সদস্য সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এ ছাড়া ৩ জন একুশে পদক পান। পাবনা প্রেসক্লাবের অতীত ঐতিহ্য ও বিশাল ইতিহাস থাকলেও আজও পাবনা প্রেসক্লাবের নিজস্ব ভবন হয়নি। পরিত্যক্ত সম্পত্তির উপর গড়ে উঠা এই ক্লাবটির শরীরে শীর্ণতা থাকলেও মর্যাদা ও আভিজত্যে এখোনো অটুট। সম্প্রতি ঐ পরিত্যক্ত ভবনেই একটি অত্যাধুনিক অফিস কক্ষ, ভিআইপি মিলনায়তন, সাধারণ মিলনায়তন এবং লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

‘স্বাধীনতার পঞ্চাশে পাবনা প্রেসক্লাবের গৌরবের পাঁচ যুগ’ এই প্রতিপাদ্যে প্রেসক্লাবের ৬০ বছর পুর্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বছরব্যাপী কর্মসুচি নেওয়া হলেও করোনার কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। আজ ১ মে রোববার রাত ৯টায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটার আয়োজন করা হয়েছে।

abm_fazlur_rahman

লেখক: এবিএম ফজলুর রহমান
সভাপতি, পাবনা প্রেসক্লাব এবং স্টাফ রির্পোটার
সমকাল, পাবনা অফিস

 

 আরও পড়ুনঃ

পাবনা প্রেসক্লাবের গৌরবের পাঁচ যুগ

প্রকাশিত সময় ১২:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ মে ২০২২
পাবনা প্রেসক্লাব, স্থাপিত: ১ মে, ১৯৬১

 

এবিএম ফজলুর রহমান
প্রকাশিত: ১১:০৪ রাত, ১ মে ২০২২

আজ ১ মে পাবনা প্রেসক্লাব ৬২ বছরে পা রাখছে। ১৯৬১ সালের এ দিনে পাবনা শহরে পাবনা প্রেসক্লাবের গোড়াপত্তন ঘটে। সেই থেকে অনেক স্মৃতি, নানা ইতিহাস ও গৌরবময় ঘটনার সঙ্গে পাবনা প্রেসক্লাবের নাম জড়িয়ে রয়েছে। সারা দেশে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য ও সাংবাদিকদের একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও পাবনা প্রেসক্লাব সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এই প্রতিষ্ঠান এখনো দেশের মধ্যে অখন্ড এবং ঐক্যর অন্যন্য নজির হিসেবে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।

মহানয়িকা সুচিত্রা সেন, উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার গৌরি প্রসন্ন মজুমদার, সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী, ওস্তাদ বারীন মজুমদার, কবি বন্দে আলী মিয়া, মনসুর উদ্দিন আহমেদসহ অসংখ্য গুনি সাংষ্কৃতিক ও সাহিত্যিকের জন্মভুমি পাবনা। ব্রিটিশ পরবর্তি শাসনামলপুর্ব এ অঞ্চলে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটে। তারই ধারবাহিকতায় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল পাবনা প্রেসক্লাব। তাই এ অঞ্চলের সাংবাদিকতার গৌরব ও অহংকারের নাম পাবনা প্রেসক্লাব।

আজ ১ মে পাবনা প্রেসক্লাব ৬২ বছরে পা রাখছে। ১৯৬১ সালের এ দিনে পাবনা শহরে পাবনা প্রেসক্লাবের গোড়াপত্তন ঘটে। সেই থেকে অনেক স্মৃতি, নানা ইতিহাস ও গৌরবময় ঘটনার সঙ্গে পাবনা প্রেসক্লাবের নাম জড়িয়ে রয়েছে। সারা দেশে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য ও সাংবাদিকদের একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও পাবনা প্রেসক্লাব সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এই প্রতিষ্ঠান এখনো দেশের মধ্যে অখন্ড এবং ঐক্যর অন্যন্য নজির হিসেবে দৃষ্টান্ত হয়ে রইছে।

পদ্মা যমুনা বিধৌত এবং ইছামতি নদী তীরে গড়ে উঠা পাবনার জনপদে সাংবাদিকতার সুত্রপাত ঘটে উনিশ শতকের প্রথম দিকে। এ অঞ্চলের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে দিক নির্দেশনায়, সৎ বস্তুনিষ্ট ও বলিষ্ঠ লেখনির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে এবং অসহায় নির্যাতিত মানুষের চালচিত্র নিঃশঙ্কভাবে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার ব্রত নিয়ে সর্বপরি সাংবাদিকগণ ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীতা অনুভব করেন। সাংবাদিকতায় লালিত এই ঐতিহ্যের ধারায় বিশ শতকের ষাটের দশকের শুরুতে তৃনমূল পর্যায়ের সাংবাদিকতা পেশার স্বীকৃতির দাবীকে সামনে রেখে ১৯৬১ সালের ১ মে পাবনা শহরে স্থাপিত হয় পাবনা প্রেসক্লাব।

দৈনিক আজাদ ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের (এপিপি) এর পাবনা প্রতিনিধি একেএম আজিজুল হক বিএসসি ক্যাল এর সভাপতিত্বে তার বাসা সানভিউ ভিলায় অনুষ্ঠিত সভায় তিনিই (একেএম আজিজুল হক) পাবনা প্রেসক্লাবের প্রথম সভাপতি এবং সংবাদ প্রতিনিধি শ্রী রণেশ মৈত্র সাধারন সম্পাদক নির্বাচত হন। এছাড়া দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনা প্রতিনিধি এম আনোয়ারুল হক, বিশিষ্ট চিকিৎসক মেজর (অব.) ডা. মোফাজ্জল হোসেন, লোকশিক্ষক শহীদ মাওলানা কছিমুদ্দিন আহমেদ, ফটোগ্রফার শ্রী হিমাংশু কুমার বিশ্বাস প্রমুখ অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। বর্তমানে পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৬৫।

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মাশাল (অব.) একে খন্দকার, স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরী, ভাষা সৈনিক প্রয়াত আব্দুল মতিন, স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ছিলেন এবং রয়েছেন।

পাবনা প্রেস ক্লাব
পাবনা প্রেস ক্লাবের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরী, তারিখ: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সাল

 

প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার বছরেই ৮ ও ৯ মে পাবনায় অনুষ্ঠিত হয় পুর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সম্মেলন। যে সভা থেকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় পুর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সমিতি যা বর্তমানে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি হিসেবে পরিচিত। সেই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন মন্ত্রীসভার সদস্য বগুড়ার মো: হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাকিস্তান অবজারভারের সম্পাদক আব্দুস সালাম, মনিং নিউজের এসজিএম বদরুদ্দিন। যে সম্মেলনের মাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকরা পেশার স্বীকৃতি তথা রিটেইনার, লাইনেজ, পোষ্টাল চার্জ, টেলিগ্রাম চার্জ, ছবির বিলসহ অন্যান্য খরচ পাওয়া শুরু করেন। পাবনা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই সেদিন সংবাদপত্রে মফস্বলে কর্মরত প্রতিনিধিদের পেশার স্বীকৃতি ঘটেছিল। এখন ঢাকার বাইরে অনেকে এটাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন।

পাবনা প্রেসক্লাবের ৭ জন সদস্য সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এ ছাড়া ৩ জন একুশে পদক পান। পাবনা প্রেসক্লাবের অতীত ঐতিহ্য ও বিশাল ইতিহাস থাকলেও আজও পাবনা প্রেসক্লাবের নিজস্ব ভবন হয়নি। পরিত্যক্ত সম্পত্তির উপর গড়ে উঠা এই ক্লাবটির শরীরে শীর্ণতা থাকলেও মর্যাদা ও আভিজত্যে এখোনো অটুট। সম্প্রতি ঐ পরিত্যক্ত ভবনেই একটি অত্যাধুনিক অফিস কক্ষ, ভিআইপি মিলনায়তন, সাধারণ মিলনায়তন এবং লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

‘স্বাধীনতার পঞ্চাশে পাবনা প্রেসক্লাবের গৌরবের পাঁচ যুগ’ এই প্রতিপাদ্যে প্রেসক্লাবের ৬০ বছর পুর্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বছরব্যাপী কর্মসুচি নেওয়া হলেও করোনার কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। আজ ১ মে রোববার রাত ৯টায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটার আয়োজন করা হয়েছে।

abm_fazlur_rahman

লেখক: এবিএম ফজলুর রহমান
সভাপতি, পাবনা প্রেসক্লাব এবং স্টাফ রির্পোটার
সমকাল, পাবনা অফিস

 

 আরও পড়ুনঃ