ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নিরাপদ সড়ক চাই এর ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:২৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / 91

১ ডিসেম্বর নিরাপদ সড়ক চাই জাতীয় আন্দোলন সংগঠনের ২৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে পাবনা প্রেসক্লাব সংলগ্নে সকাল ১০টায় পথসভা শুরু করে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শহরের আব্দুল হামিদ রোড প্রদক্ষিণ করে নিসচা কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

নিরাপদ সড়ক চাই জাতীয় আন্দোলনের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনন্দ র‌্যালীর শুভ উদ্বোধন করেন পাবনার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন।

র‌্যালী শেষে নিসচা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য খন্দকার গোলাম হাসনাইন কোয়েল।

নিরাপদ সড়ক চাই পাবনা জেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে “নিসচার ২৫ বছর ও প্রেক্ষিত সড়ক দূর্ঘটনার” শিরোনামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ একেএম মির্জা শহিদুল ইসলাম।

আলোচনা সভার উপস্থিতিতে আরও বক্তব্য রাখেন পাবনা জজ কোর্টের এ্যাড. মো. তারেক, নিসচার সহ-সভাপতি মীর ফজলুল করিম বাচ্চু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিম হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন পাবনা রোভার স্কাউটের সদস্যবৃন্দ ও পাবনা থেকে রাজশাহী হেঁটে যাওয়া ৪ জন প্রতিযোগী।

আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথিবৃন্দের বক্তব্যে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন প্রকার দিক নির্দেশনা সম্পর্কে জানা যায়।

সংগঠনের সভাপতি সড়ক দূর্ঘটনার উপরে বিভিন্ন গবেষণায় যে সমস্ত তথ্যগুলো প্রকাশ পেয়েছে তা হলো-২৫ বছর পূর্বে এ দেশের জনসংখ্যা ছিল ১১ কোটি, গাড়ী ও সড়কের সংখ্যা ছিল অনেক কম কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনা ও হতাহতের পরিমান ছিল অনেক বেশী।

সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজারের উপরে ছিল। আহতের সংখ্যা ছিল গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার। আজ দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি, রেজিষ্ট্রেশনকৃত গাড়ীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ, তবে আনরেজেষ্ট্রার্ড গাড়ী তথা নছিমন করিমন, ইজবাইক, ভটভডি, মোটর সাইকেল মিলিয়ে এ সংখ্যা হবে প্রায় ৬০ লাখের উপরে।

বর্তমান সময়ে সড়কের পরিধি  অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে,  সড়ক দূর্ঘটনা অনেকাংশে কমে এসেছে। ২০১৬ সালে এই পরিসংখ্যানে সড়ক দূর্ঘটনার পরিমান ছিল ২৩১৬টি নিহতের সংখ্যা ছিল ৪১৪৪ জন, আহতের সংখ্যা ছিল ৫২২৫ জন।

আন্দোলনের ফলে সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে বিধায় দূর্ঘটনা কমে গিয়েছে অনেক। তবে কাঙ্খিত সচেতনতা এখনও তৈরী হয়নি বলে মনে করা যাচ্ছে। দু:খের সঙ্গে বলতে হয় গত বছর ২০১৭ সালে এসে সড়ক দূর্ঘটনার হার বেড়ে যাওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

তখন দূর্ঘটনার হার বেড়ে হয় ৩৩৪৯টি এতে আহত হয় ৭৯০৮ জন এবং নিহত হয় ৫৬৪৫ জন। হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া দূর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে যে তথ্য উঠে এসেছে সেটি হচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর মোটর সাইকেল চালকগণ অতিরিক্ত গতিতে মোটর সাইকেল চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দূর্ঘটনার স্বীকার হন এবং ক্রমেই তা বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক সমূহের হঠাৎ গর্জে উঠা ইজিবাইক, ভডভডি, নছিমন-করিমনের দৌরাত্মে সড়ক নিরাপত্তা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে।

এ সব ঝুকিপূর্ণ বাহনের সংখ্যা ব্যাঙের ছাতার মত ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। ২০১৭ সালের দূর্ঘটনায় নিহতের ২৭ ভাগই মোটর সাইকেল আরহী। অদক্ষ চালক শুধুমাত্র বাস-ট্রাক নয়। এখানে অদক্ষ চালক বলতে সিএনজি, মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, ভডভডি, নছিমন-করিমন ইত্যাদি চালকও উল্লেখযোগ্য।

ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন মালিকের অব্যবস্থাপনা, মনিটরিং এর অভাব, দূর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, জনগণের অসচেতনতা, অনিয়ন্ত্রিত গতি, আইন ও তার যথারীতি প্রয়োগ ইত্যাদি উঠে আসে। এই সকল ত্রুটিপূর্ণতার সার্বিক ব্যবস্থা সময় মত গ্রহণ করতে হবে।

নিরাপদ সড়ক চাই এর ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

প্রকাশিত সময় ০৯:২৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

১ ডিসেম্বর নিরাপদ সড়ক চাই জাতীয় আন্দোলন সংগঠনের ২৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে পাবনা প্রেসক্লাব সংলগ্নে সকাল ১০টায় পথসভা শুরু করে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শহরের আব্দুল হামিদ রোড প্রদক্ষিণ করে নিসচা কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

নিরাপদ সড়ক চাই জাতীয় আন্দোলনের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনন্দ র‌্যালীর শুভ উদ্বোধন করেন পাবনার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন।

র‌্যালী শেষে নিসচা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য খন্দকার গোলাম হাসনাইন কোয়েল।

নিরাপদ সড়ক চাই পাবনা জেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে “নিসচার ২৫ বছর ও প্রেক্ষিত সড়ক দূর্ঘটনার” শিরোনামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ একেএম মির্জা শহিদুল ইসলাম।

আলোচনা সভার উপস্থিতিতে আরও বক্তব্য রাখেন পাবনা জজ কোর্টের এ্যাড. মো. তারেক, নিসচার সহ-সভাপতি মীর ফজলুল করিম বাচ্চু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিম হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন পাবনা রোভার স্কাউটের সদস্যবৃন্দ ও পাবনা থেকে রাজশাহী হেঁটে যাওয়া ৪ জন প্রতিযোগী।

আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথিবৃন্দের বক্তব্যে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন প্রকার দিক নির্দেশনা সম্পর্কে জানা যায়।

সংগঠনের সভাপতি সড়ক দূর্ঘটনার উপরে বিভিন্ন গবেষণায় যে সমস্ত তথ্যগুলো প্রকাশ পেয়েছে তা হলো-২৫ বছর পূর্বে এ দেশের জনসংখ্যা ছিল ১১ কোটি, গাড়ী ও সড়কের সংখ্যা ছিল অনেক কম কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনা ও হতাহতের পরিমান ছিল অনেক বেশী।

সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজারের উপরে ছিল। আহতের সংখ্যা ছিল গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার। আজ দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি, রেজিষ্ট্রেশনকৃত গাড়ীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ, তবে আনরেজেষ্ট্রার্ড গাড়ী তথা নছিমন করিমন, ইজবাইক, ভটভডি, মোটর সাইকেল মিলিয়ে এ সংখ্যা হবে প্রায় ৬০ লাখের উপরে।

বর্তমান সময়ে সড়কের পরিধি  অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে,  সড়ক দূর্ঘটনা অনেকাংশে কমে এসেছে। ২০১৬ সালে এই পরিসংখ্যানে সড়ক দূর্ঘটনার পরিমান ছিল ২৩১৬টি নিহতের সংখ্যা ছিল ৪১৪৪ জন, আহতের সংখ্যা ছিল ৫২২৫ জন।

আন্দোলনের ফলে সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে বিধায় দূর্ঘটনা কমে গিয়েছে অনেক। তবে কাঙ্খিত সচেতনতা এখনও তৈরী হয়নি বলে মনে করা যাচ্ছে। দু:খের সঙ্গে বলতে হয় গত বছর ২০১৭ সালে এসে সড়ক দূর্ঘটনার হার বেড়ে যাওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

তখন দূর্ঘটনার হার বেড়ে হয় ৩৩৪৯টি এতে আহত হয় ৭৯০৮ জন এবং নিহত হয় ৫৬৪৫ জন। হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া দূর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে যে তথ্য উঠে এসেছে সেটি হচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর মোটর সাইকেল চালকগণ অতিরিক্ত গতিতে মোটর সাইকেল চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দূর্ঘটনার স্বীকার হন এবং ক্রমেই তা বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক সমূহের হঠাৎ গর্জে উঠা ইজিবাইক, ভডভডি, নছিমন-করিমনের দৌরাত্মে সড়ক নিরাপত্তা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে।

এ সব ঝুকিপূর্ণ বাহনের সংখ্যা ব্যাঙের ছাতার মত ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। ২০১৭ সালের দূর্ঘটনায় নিহতের ২৭ ভাগই মোটর সাইকেল আরহী। অদক্ষ চালক শুধুমাত্র বাস-ট্রাক নয়। এখানে অদক্ষ চালক বলতে সিএনজি, মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, ভডভডি, নছিমন-করিমন ইত্যাদি চালকও উল্লেখযোগ্য।

ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন মালিকের অব্যবস্থাপনা, মনিটরিং এর অভাব, দূর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, জনগণের অসচেতনতা, অনিয়ন্ত্রিত গতি, আইন ও তার যথারীতি প্রয়োগ ইত্যাদি উঠে আসে। এই সকল ত্রুটিপূর্ণতার সার্বিক ব্যবস্থা সময় মত গ্রহণ করতে হবে।