গোদাগাড়ী সহকারি কমিশনার (ভূমি)-র অপসারণ চান কলেজ শিক্ষিকা ও মুক্তিযোদ্ধা কন্যা
- প্রকাশিত সময় ০৩:১৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২
- / 83
প্রকাশিত: ০৩:০৭ রাত, ৮ এপ্রিল ২০২২
গোদাগাড়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি)-র অপসারণ চান কলেজ শিক্ষিকা ও মুক্তিযোদ্ধা কন্যা ফজিলাতুন নেছা
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছমিনা খাতুন ও সার্ভেয়ার মোক্তারুজ্জামানের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ সহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোদাগাড়ী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফজিলাতুন নেছা। ৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ৩টার সময় রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ফজিলাতুন নেছা তার লিখিত বক্ত্যব্যে বলেন, রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার রামনগর মৌজার জেএল দাগ নং ১৯, আরএস ২০৭, জমির পরিমান ০.২৭ – উল্লেখিত জমি আমার মায়ের ক্রয়কৃত। সেই জমির সকল বৈধতা দেখে জেনে খারিজ হয়। ১৪২৮ সন পর্যন্ত খাজনা গ্রহণ করেন ভুমি অফিস। উল্লেখিত জায়গার উপর একটি কুচক্রী মহলের নজর পড়ে। সেই কুচক্রী মহল গোদাগাড়ীর সহকারি কমিশনার ভূমির সাথে আঁতাত করে সেই জমি নিজেদের দাবি করে একটি নাটকীয় আবেদনের মাধ্যমে গত ২০/৪/২০২২ তারিখে একটি মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেন সহকারী কমিশনার ভূমি। প্রতিবেদনে তিনি সুস্পষ্ট ভাবে কিছু উল্লেখ করেন নি।
তিনি বৈধ দলীল ও কাগজের নাম মাত্র অযুহাত দেখিয়ে অপর পক্ষের নিকট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে তাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। তার এমন বিষয় নিয়ে আমার পুরো পরিবার চিন্তিত হয়ে পড়ি। আমার মায়ের ক্রয়কৃত জায়গাটি ভাগ-বাটোয়ারায় আমার ভাগে পড়ার কারণে বিষয়টি নিয়ে আমি ও আমার স্বামী বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর করে জানতে পারি যে এই জমি দখল নিতে একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র জড়িত। যারা কালো অর্থে সজ্জিত তাদের সাথে হাত মিলিয়ে আমার পরিবারকে হয়রানি করছেন।
গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আমার বৈধ দলীল থাকার পরেও তিনি কিভাবে এমন নাটকীয় ঘটনার জন্ম দিলেন সেটি আমার কাছে স্পষ্ট নয়। একজন শিক্ষিকা হয়েও সত্য উদঘাটন নিয়ে আজ আমি অসহায় বোধ করছি। মাদক সম্রাট ভুমি দস্যু আর স্বার্থ লোভী সহকারী কমিশনার ভুমির রোষানলে পড়ে নিজের বৈধ জায়গা নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছি। গোদাগাড়ী ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মোক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধেও পুর্বের নানা অভিযোগ রয়েছে।
সিরাজগঞ্জের এই চতুর ব্যক্তির বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী উপজেলার মাদার পুরের জনৈক ব্যক্তির ২য় স্ত্রীর সাথে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। পুর্বে সরকারী পুকুর অবৈধ ভাবে দেওয়ার চেষ্টার ঘটনা নিয়ে আদালতে মামলাসহ নানা অভি্যোগ রয়েছে এই ভুমি অফিসের বিরুদ্ধে।
অধ্যাপক ফজিলাতুন নেছা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে অপরাধীদের রোষানলে পড়ে আজ নিজের জমি নিয়ে ভুমি সহকারী কর্মকর্তার অনৈতিক ফাঁদে আটকে আছি, সঠিক সমাধানের উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। ভূমি সহকারী কর্মকর্তার এহেন অপকর্ম তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান কলেজ শিক্ষিকা ফজিলাতুন নেছা।
আরও পড়ুনঃ
বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জনের পরিচয় মিলেছে
টিকিট ছাড়া ভ্রমণ করা যাত্রীরা আমার আত্মীয় নন : রেলমন্ত্রী
পাবনার গয়েশপুরে র্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সিংড়ায় আ.লীগ কর্মীর হাত-পা ভেঙে দিল প্রতিপক্ষ
শাহজাদপুরে কবি আতিক সিদ্দিকীর কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন
নাটোরে দুই বাসের সংঘর্ষে ৭ জনের মৃত্যু
আপত্তিকর অবস্থায় মা ও তার পরকিয়া প্রেমিককে ধরিয়ে দিল মেয়ে
ঈশ্বরদী-লালপুর রোডে ঈদপরবর্তী কয়েকদিন যাবত প্রচণ্ড যানজটে নাজেহাল মানুষ
ভূয়াপুর ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে বয়স সংশোধনী সনদে বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ
শাহজাদপুরে বিপুল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন