ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

আগামী নির্বাচন হবে ইভিএমে, আ. লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৪৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২
  • / 133

প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ প্রভাত, ৮ এপ্রিল ২০২২

  

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নেতারা বলেন, রুদ্ধদ্বার সভায় দলীয় সভাপতি আমাদের বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সারা দেশে ইভিএমে হবে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে। যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে সারা দেশে জরিপ চলছে বলেও সবাইকে জানান সভাপতি।

আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
দলের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কথা তুললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবকিছুই কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবার। বিএনপি নেতা তারেক রহমান এবার রমজানে ইফতার পার্টির মাধ্যমে ওয়ার্ড নেতাদের সঙ্গেও ভার্চুয়ালি সভা করেছে। পশ্চিমা দেশে অন্তত পঞ্চাশটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে। তারা কিন্তু চুপ করে বসে নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, দল গোছাতে হবে। সর্বস্তরে সম্মেলন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।

দলীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্মেলন যথাসময়েই হবে।

তবে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, দলীয় সভাপতি তাঁর বক্তব্যে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় সম্মেলনের কথা বললেও, সম্মেলনের তারিখ কিংবা সম্মেলনকে ঘিরে উপকমিটির বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা দেননি।

আরেক যুগ্ম সম্পাদক ১৪ দলীয় জোটে থাকা ছোট দলগুলোর যারা অনেকটাই অস্তিত্বহীন তাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাখার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে শেখ হাসিনা বলেন, জোট থাকবে।

জানা গেছে, বৈঠকে সাংগঠনিক সম্পাদকেরা তাদের রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে তারা তৃণমূলের সম্মেলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন, নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের মদদ দাতাদের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এ সময় যেসব সাংগঠনিক শাখায় এখনো সম্মেলনে হয়নি, সেই শাখার অধীনে থাকা ইউপিসহ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যারা বিরোধিতা করেছেন, তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, যদি কোনো সাংগঠনিক শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠে, তাদের সম্মেলনের কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রস্তুতি কমিটি করে সম্মেলন শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একই সঙ্গে নবগঠিত কমিটিতে যাতে তারা নেতৃত্বে আসতে না পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে তৃণমূলের আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সমন্বয়ের কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হচ্ছে, কিন্তু সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন হচ্ছে না। এতে আমাদের তৃণমূলের সব সংগঠনকে নিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়বে।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভাগওয়ারি আটটি কমিটি রয়েছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়েও তারা দেখভাল করবেন।

বৈঠকে সাংগঠনিক সম্পাদকেরা নিজ নিজ বিভাগের প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে গেলে কিছুটা হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রতিবেদন পেশকালে সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সংক্ষেপে প্রতিবেদন শেষ করতে গেলে কিছুটা রসিকতা করে দলীয় প্রধান বলেন, তোমার তো ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে শুরু করে কক্সবাজার পর্যন্ত। তুমি তাড়াহুড়ো করছ কেন? এ সময় তিনি আরও একটু সময় নিয়ে প্রতিবেদন উত্থাপন করেন।

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাঁর সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় প্রয়োজনের বাইরে গিয়ে বক্তব্য দেন আগে যখন বিমানে সফর করতাম তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাতে অন্ধকার দেখাত। এখন বিমান ভ্রমণে যখন যাই নিচে সবই আলোয় পরিপূর্ণ দেখতে পাই। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কী সাংগঠনিক প্রতিবেদনের অংশ?

সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের সাংগঠনিক টিমের বড় নেতাদের নাম না বললেই নয়। আমাদের সঙ্গে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ আমরা কখনো নৌকায়, কখনো পানিতে-এভাবে করে ঘরে ঘরে আপনার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এইটা সাংগঠনিক রিপোর্ট? আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমার প্রতিবেদন তো রমেশ চন্দ্র সেন দাদা বলেই দিয়েছে। তুমি বস।

এর আগে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর সর্বশেষ সীমিত পরিসের আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করাসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

 আরও পড়ুনঃ

আগামী নির্বাচন হবে ইভিএমে, আ. লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত সময় ০৫:৪৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ প্রভাত, ৮ এপ্রিল ২০২২

  

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নেতারা বলেন, রুদ্ধদ্বার সভায় দলীয় সভাপতি আমাদের বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সারা দেশে ইভিএমে হবে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে। যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে সারা দেশে জরিপ চলছে বলেও সবাইকে জানান সভাপতি।

আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
দলের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কথা তুললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবকিছুই কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবার। বিএনপি নেতা তারেক রহমান এবার রমজানে ইফতার পার্টির মাধ্যমে ওয়ার্ড নেতাদের সঙ্গেও ভার্চুয়ালি সভা করেছে। পশ্চিমা দেশে অন্তত পঞ্চাশটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে। তারা কিন্তু চুপ করে বসে নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, দল গোছাতে হবে। সর্বস্তরে সম্মেলন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।

দলীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্মেলন যথাসময়েই হবে।

তবে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, দলীয় সভাপতি তাঁর বক্তব্যে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় সম্মেলনের কথা বললেও, সম্মেলনের তারিখ কিংবা সম্মেলনকে ঘিরে উপকমিটির বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা দেননি।

আরেক যুগ্ম সম্পাদক ১৪ দলীয় জোটে থাকা ছোট দলগুলোর যারা অনেকটাই অস্তিত্বহীন তাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাখার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে শেখ হাসিনা বলেন, জোট থাকবে।

জানা গেছে, বৈঠকে সাংগঠনিক সম্পাদকেরা তাদের রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে তারা তৃণমূলের সম্মেলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন, নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের মদদ দাতাদের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এ সময় যেসব সাংগঠনিক শাখায় এখনো সম্মেলনে হয়নি, সেই শাখার অধীনে থাকা ইউপিসহ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যারা বিরোধিতা করেছেন, তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, যদি কোনো সাংগঠনিক শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠে, তাদের সম্মেলনের কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রস্তুতি কমিটি করে সম্মেলন শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একই সঙ্গে নবগঠিত কমিটিতে যাতে তারা নেতৃত্বে আসতে না পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে তৃণমূলের আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সমন্বয়ের কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হচ্ছে, কিন্তু সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন হচ্ছে না। এতে আমাদের তৃণমূলের সব সংগঠনকে নিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়বে।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভাগওয়ারি আটটি কমিটি রয়েছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়েও তারা দেখভাল করবেন।

বৈঠকে সাংগঠনিক সম্পাদকেরা নিজ নিজ বিভাগের প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে গেলে কিছুটা হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রতিবেদন পেশকালে সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সংক্ষেপে প্রতিবেদন শেষ করতে গেলে কিছুটা রসিকতা করে দলীয় প্রধান বলেন, তোমার তো ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে শুরু করে কক্সবাজার পর্যন্ত। তুমি তাড়াহুড়ো করছ কেন? এ সময় তিনি আরও একটু সময় নিয়ে প্রতিবেদন উত্থাপন করেন।

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাঁর সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় প্রয়োজনের বাইরে গিয়ে বক্তব্য দেন আগে যখন বিমানে সফর করতাম তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাতে অন্ধকার দেখাত। এখন বিমান ভ্রমণে যখন যাই নিচে সবই আলোয় পরিপূর্ণ দেখতে পাই। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কী সাংগঠনিক প্রতিবেদনের অংশ?

সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের সাংগঠনিক টিমের বড় নেতাদের নাম না বললেই নয়। আমাদের সঙ্গে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ আমরা কখনো নৌকায়, কখনো পানিতে-এভাবে করে ঘরে ঘরে আপনার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এইটা সাংগঠনিক রিপোর্ট? আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমার প্রতিবেদন তো রমেশ চন্দ্র সেন দাদা বলেই দিয়েছে। তুমি বস।

এর আগে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর সর্বশেষ সীমিত পরিসের আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করাসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

 আরও পড়ুনঃ