ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

টিটিই শফিকুলকে বরখাস্তকারী কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
  • / 156

টিটিই শফিকুলকে বরখাস্তকারী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন

টিটিই শফিকুলকে বরখাস্তকারী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৩৭ সন্ধ্যা, ৯ মে ২০২২

  

রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনায় পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে কারন দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) প্রেরণ করা হয়েছে। সেই বরখাস্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাওয়া যাচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ।

রবিবার ৮ মে বিকেলে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম এ নোটিশ প্রেরণ করেন।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সংস্থাপন ও প্রধান তথ্য প্রধানকারী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো তিনি (নাসির উদ্দিন) মানেননি। ফলে ডিআরএম মহোদয় তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ(শোকজ) পাঠিয়েছেন। এবং আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের কারন দর্শানোর নোটিশ(শোকজ) শোকজ এর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে পাকশী রেলওয়ে সদর দপ্তরসহ রেল অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে সকলেই আলোচনা মুখর হয়ে উঠেছেন।

অনেক ভুক্তভোগী বলেছেন, বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের ক্ষমতার দাপটে কেউ তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলার সাহস ছিল না। কিন্তু এখন অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন তার বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একজন জানিয়েছেন, তিনি যখন রেলওয়ে সদরদপ্তর পাকশীতে ডিটিও পদে চাকরিরত ছিলেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার শশুরকুল এবং পারিবারের প্রায় ১৫/১৬ জন যুবককে অস্হায়ী গেট কিপার পদে চাকরি দিয়েছেন। তারা হলেন-

মোঃ সোলাইমান কবীর (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- রুহুল আমীন (নাসিরের বড় ভাইয়ের ছেলে)
গ্রাম- হলুদিয়া, মধুপুর, টাঙ্গাইল।

মোঃ হাবিবুর রহমান হবি (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- সাহেব আলী (নাসিরের চাচার ছেলে)
গ্রাম- হলুদিয়া, মধুপুর, টাঙ্গাইল।

মোঃ শহীদুল ইসলাম (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- হামিদ (নাসিরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে)
গ্রাম- হলুদিয়া, মধুপুর, টাঙ্গাইল।

মোঃ রাসেল (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- আমীর আলী (নাসিরের আপন বোনের ছেলে)
গ্রাম- বোকারবাঈদ, মধুপুর, টাঙ্গাইল।

মোঃ সাইফুল ইসলাম টুটুল (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- অঙ্গাত (নাসিরের আপন বোনের ননদের ছেলে)
গ্রাম- ছাতারকান্দি, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।

মোঃ রানা পারভেজ (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- শামছুউদ্দীন- (নাসিরের আপন শ্যালক)
গ্রাম- শাজনপুর, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।

এবিষয়ে ডিটিও অফিসার আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন যে, রানা পারভেজ বাদে সবাই চাকরী করছেন।

অপরদিকে এঘটনার পর ডিসিও’র বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। যার (মামলা নং ১৩১২/২০১৯) ।

এবিষয়ে মতামতা নেওয়ার জন্য ডিসিও নাসির উদ্দিনের অফিসে গেলে তিনি বাহিরে আছেন বলে জানান অফিসের পিয়ন। অপরদিকে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) দিবাগত রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে এসি রুমে উঠেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয় পরিচয়ে তিন যাত্রী। মাঝপথে তাদের বিনা টিকিটে রেলভ্রমণের দায়ে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত হন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম। এ নিয়ে চলছে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড়।

 আরও পড়ুনঃ

টিটিই শফিকুলকে বরখাস্তকারী কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ

প্রকাশিত সময় ০৭:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
টিটিই শফিকুলকে বরখাস্তকারী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৩৭ সন্ধ্যা, ৯ মে ২০২২

  

রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনায় পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে কারন দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) প্রেরণ করা হয়েছে। সেই বরখাস্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাওয়া যাচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ।

রবিবার ৮ মে বিকেলে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম এ নোটিশ প্রেরণ করেন।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সংস্থাপন ও প্রধান তথ্য প্রধানকারী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো তিনি (নাসির উদ্দিন) মানেননি। ফলে ডিআরএম মহোদয় তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ(শোকজ) পাঠিয়েছেন। এবং আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের কারন দর্শানোর নোটিশ(শোকজ) শোকজ এর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে পাকশী রেলওয়ে সদর দপ্তরসহ রেল অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে সকলেই আলোচনা মুখর হয়ে উঠেছেন।

অনেক ভুক্তভোগী বলেছেন, বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের ক্ষমতার দাপটে কেউ তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলার সাহস ছিল না। কিন্তু এখন অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন তার বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একজন জানিয়েছেন, তিনি যখন রেলওয়ে সদরদপ্তর পাকশীতে ডিটিও পদে চাকরিরত ছিলেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার শশুরকুল এবং পারিবারের প্রায় ১৫/১৬ জন যুবককে অস্হায়ী গেট কিপার পদে চাকরি দিয়েছেন। তারা হলেন-

মোঃ সোলাইমান কবীর (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- রুহুল আমীন (নাসিরের বড় ভাইয়ের ছেলে)
গ্রাম- হলুদিয়া, মধুপুর, টাঙ্গাইল।

মোঃ হাবিবুর রহমান হবি (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- সাহেব আলী (নাসিরের চাচার ছেলে)
গ্রাম- হলুদিয়া, মধুপুর, টাঙ্গাইল।

মোঃ শহীদুল ইসলাম (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- হামিদ (নাসিরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে)
গ্রাম- হলুদিয়া, মধুপুর, টাঙ্গাইল।

মোঃ রাসেল (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- আমীর আলী (নাসিরের আপন বোনের ছেলে)
গ্রাম- বোকারবাঈদ, মধুপুর, টাঙ্গাইল।

মোঃ সাইফুল ইসলাম টুটুল (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- অঙ্গাত (নাসিরের আপন বোনের ননদের ছেলে)
গ্রাম- ছাতারকান্দি, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।

মোঃ রানা পারভেজ (অস্থায়ী গেট কিপার)
পিতা- শামছুউদ্দীন- (নাসিরের আপন শ্যালক)
গ্রাম- শাজনপুর, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।

এবিষয়ে ডিটিও অফিসার আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন যে, রানা পারভেজ বাদে সবাই চাকরী করছেন।

অপরদিকে এঘটনার পর ডিসিও’র বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। যার (মামলা নং ১৩১২/২০১৯) ।

এবিষয়ে মতামতা নেওয়ার জন্য ডিসিও নাসির উদ্দিনের অফিসে গেলে তিনি বাহিরে আছেন বলে জানান অফিসের পিয়ন। অপরদিকে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) দিবাগত রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে এসি রুমে উঠেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয় পরিচয়ে তিন যাত্রী। মাঝপথে তাদের বিনা টিকিটে রেলভ্রমণের দায়ে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত হন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম। এ নিয়ে চলছে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড়।

 আরও পড়ুনঃ